শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৭:৫০ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের দৃষ্টান্ত তৈরি হোক’

যুক্তরাজ্য সংসদের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের এমপিদের অবগতির জন্য তৈরি এবং ২৯ নভেম্বর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের আসন্ন সংসদ নির্বাচন পরিস্থিতি সবার জন্য সমান সুযোগ বা ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’-এর ধারেকাছেও নেই।

এখানে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার সুযোগ নিচ্ছে। আর বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন তীব্রই রয়ে গেছে। এবারের সংসদ নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে কোনো পর্যবেক্ষক দল বাংলাদেশে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত উল্লেখ করা হয়েছে বাংলাদেশবিষয়ক হালনাগাদ এ প্রতিবেদনে।

ইইউর এমন সিদ্ধান্তের কারণে যুক্তি দেয়া হয় যে, আন্তর্জাতিক মহলে এ নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এদিকে দেশে মাঠের প্রধান বিরোধী দল ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি, দলটির আবরণে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং অন্যসব বিরোধী জোট ও দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অধীনে একাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে না বলে বারবার অভিযোগ করে আসছে।

সুশীলসমাজের অধিকাংশ সদস্য মনে করেন, সব দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি না করা হলে এবং চলমান অবস্থা বিরাজ করলে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য একাদশ সংসদ নির্বাচনের কোনো সম্ভাবনা নেই। কেন গ্রহণযোগ্যতার এ সংকট এবং কীভাবে তা উতরে নির্বাচনে গ্রহণযোগ্যতা আনা যায়, তা আলোচনা করাই এ নিবন্ধের উদ্দেশ্য।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুষ্ঠুতা ও গ্রহণযোগ্যতা অর্জনে বাধাগুলোর মধ্যে রয়েছে- এক. জাতীয় সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন অনুষ্ঠান। ফলে একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় জাতীয় সংসদের কমবেশি ৯০ ভাগ আসনে অধিষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা (তাদের অনেকে মন্ত্রী) ক্ষমতায় থাকবেন এবং তাদের অধিকাংশই নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হয়েছেন।

তাদের এবং কাজী রকিবউদ্দীন কমিশনের সময় ভোট ডাকাতির মাধ্যমে একচেটিয়াভাবে নির্বাচিত স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের প্রভাবমুক্ত হয়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সব দলের জন্য ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরি করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে।

এ নিয়ে বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ সব বিরোধী দলই উদ্বিগ্ন। উল্লেখ্য, গত বছরের মাঝামাঝি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল, সুশীলসমাজের প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধি সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন সংসদ নির্বাচনের সুপারিশ করে। শাসক দল আওয়ামী লীগ এর বিরোধিতা করে।

দুই. জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দাবি ছিল নির্বাচনের ১০ দিন আগ থেকে নির্বাচনের পর সরকার গঠন পর্যন্ত ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োগ ও নিয়ন্ত্রণের পূর্ণ ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্তকরণ।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ৮ নভেম্বর তার ভাষণে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে অসামরিক প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করার কথা বলেছেন। এটা ঠিক যে, ২০০১ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছাড়া নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার অধীনে অনুষ্ঠিত অন্যসব সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে অসামরিক প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য  মোতাবেক সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল।

২০০১ সালের অক্টোবরের সংসদ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা শুধু নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অংশ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেননি, বরং তাদেরকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতারের ক্ষমতাও দেয়া হয়।

একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দলীয় সরকারের আমলে এবং বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচনের ইতিহাসে দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত কোনো সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার এবং কোনো দলীয় সরকারের হেরে যাওয়ার নজির নেই।

তিন. নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগে থেকে মাঠের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির হাজারও নেতাকর্মী ‘গায়েবি ও হয়রানিমূলক’ মামলায় আটক রয়েছেন। এর বাইরে তফসিল ঘোষণার পরও দলটির শত শত নেতাকর্মীকে পুলিশ আটক করেছে।

সিইসি তার ৮ নভেম্বরের ভাষণে বলেন, ভোটার, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, প্রার্থী, প্রার্থীর সমর্থক এবং এজেন্ট যেন বিনা কারণে হয়রানির শিকার না হন বা মামলা-মোকদ্দমার সম্মুখীন না হন, তার নিশ্চয়তা প্রদানের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর কঠোর নির্দেশ থাকবে। নির্বাচনী প্রচারণায় সব প্রার্থী ও রাজনৈতিক দল সমান সুযোগ পাবে। সবার জন্য অভিন্ন আচরণ ও সমান সুযোগ সৃষ্টির অনুকূলে নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করা হবে। এসব নিয়ে শিগগিরই প্রয়োজনীয় পরিপত্র জারি করা হবে।

অথচ নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর সারা দেশে বিরোধী দলের নেতাকর্মী আটক অব্যাহত রয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় দফতর সূত্রের বরাত দিয়ে যুগান্তরের ১ ডিসেম্বরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে এ পর্যন্ত সারা দেশে দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৫২১টি মামলা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে ১ হাজার ৮৬ জনকে।

২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৯০ হাজার ৩৪০টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ২৫ লাখ ৭০ হাজার ৫৪৭ জন আসামি। তাদের মধ্যে কারাগারে আছেন ৭৫ হাজার ৯২৫ জন।

১৮ নভেম্বর বিএনপি এই তালিকা নির্বাচন কমিশনে জমা দিলেও কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক কারণে বিরোধী দল বা গোষ্ঠীর হাজার হাজার নেতাকর্মীকে আটক রেখে নির্বাচন করা হলে তা সব দলের জন্য ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরির নামে প্রহসন হবে মাত্র। এ পরিস্থিতি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য মোটেই সহায়ক নয়।

চার. সংবিধান জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত করলেও কমিশনের পক্ষে এ নির্বাচন পরিচালনা করে মূলত মাঠ প্রশাসন। নির্বাচন পরিচালনার কেন্দ্রবিন্দু রিটার্নিং অফিসার। তাকে দায়িত্ব পালনে সহায়তা করেন সহকারী রিটার্নিং অফিসার।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২-এ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে কাকে নিয়োগ দেয়া হবে, সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা না থাকলেও কমিশন কর্তৃক জেলা প্রশাসককে (ডিসি) রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ প্রদান একটা নিয়মে পরিণত হয়েছে।

প্রশাসন ক্যাডারের উপসচিবদের মধ্য থেকে ডিসি এবং সিনিয়র স্কেলপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ইউএনও হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। তবে গত বছর নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, সুশীলসমাজ, গণমাধ্যম, পর্যবেক্ষকসংস্থা, নারীনেত্রী ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত নির্বাচন কমিশনের সংলাপে এ ব্যবস্থায় সংশোধন আনার জন্য বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও সুশীলসমাজ ভিন্ন প্রস্তাব করেন।

তারা একাদশ সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের অগ্রাধিকার দেয়ার প্রস্তাব করেন। এ সুপারিশ উপেক্ষা করে শাসক দলের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে কমিশন দেশের ৬৪টি জেলায় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় বিভাগীয় কমিশনারদের রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।

নব্বইয়ের দশকে দেশের দুটি বড় দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে প্রশাসনকে দলীয়করণের যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়, গত দশ বছরে তা চরম আকার ধারণ করেছে। আওয়ামী লীগের দীর্ঘ প্রায় দশ বছরের একটানা শাসনামলে রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বেসামরিক প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীর একটি বিপুল অংশ সরকারের আনুকূল্যে অপ্রত্যাশিত সুযোগ-সুবিধা পেয়ে দলটির অনুরক্ত হয়ে পড়েছেন। এসব কর্মকর্তার মধ্য থেকে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে এবং মাঠ প্রশাসনে বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি অব পুলিশ, জেলা প্রশাসক, সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ (এসপি) প্রভৃতি পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার মূল দায়িত্ব পালন করে পুলিশ। ২২ নভেম্বর প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৯২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ এনে তাদের বদলি করার দাবি জানিয়ে কমিশনে চিঠি দেয় বিএনপি।

এ তালিকায় নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ প্রশাসনের ২২ জন কর্মকর্তা এবং পুলিশের অতিরিক্ত আইজি, র‌্যাবের মহাপরিচালক, ডিএমপি কমিশনারসহ ৭০ জন পুলিশ কর্মকর্তার নাম রয়েছে বলে গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়। এসব কর্মকর্তাকে বিতর্কিত উল্লেখ করে তাদের প্রত্যাহারসহ নির্বাচন সংক্রান্ত সব ধরনের দায়িত্ব থেকে বিরত রাখারও দাবি জানায় দলটি।

কিন্তু এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির আনীত অভিযোগ কমিশন প্রত্যাখ্যান করে। এদিকে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম ২ ডিসেম্বর কমিশনের সঙ্গে ২ ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেছেন, বিএনপি তো মেনেই নিয়েছে যে, এ সরকার ও প্রশাসনের অধীনেই তারা নির্বাচন করবে।

এখন তো প্রশাসনে রদবদল অবান্তর। শাসক দলের ইঙ্গিতেই যে উল্লিখিত ৯২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিএনপি আনীত অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাও কমিশন নেয়নি, তা বলা বোধহয় অত্যুক্তি হবে না।

অন্যদিকে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনের একজন কমিশনার সম্প্রতি স্বীকার করেছেন যে, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য সংসদ নির্বাচনে মূল চ্যালেঞ্জটি হল নির্বাচনী প্রশাসন।

পাঁচ. নির্বাচন কমিশন সচিব সম্প্রতি বলেছেন, পর্যবেক্ষকদের নির্বাচন ‘পর্যবেক্ষণ করতে হবে মূর্তির মতো।’ তিনি সম্ভবত দেশি-বিদেশি উভয় শ্রেণীর পর্যবেক্ষকের কথা বলেছেন। এর অর্থ হল, পর্যবেক্ষকদের কাজের ক্ষেত্র থাকবে সীমিত।

নির্দিষ্ট এলাকার বাইরে তাদের যাওয়ার সুযোগ নেই। ভোট কেন্দ্রেও তারা দর্শকের ভূমিকার বাইরে কিছু করতে পারবেন না। কোনো অনিয়ম বা বিশৃঙ্খলার ছবিও তারা তুলতে পারবেন না।

সাংবাদিকরাও যে তাদের দায়িত্ব পালনে অনিয়ম বা বিশৃঙ্খলার ছবি তোলাসহ নানা রকম বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হবেন, তা অনেকটা জোর দিয়ে বলা যায়। এতে একদিকে যেমন পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ ও অধিকার মারাত্মকভাবে সংকুচিত হবে, অন্যদিকে প্রভাবশালীদের নেতাকর্মীদের দ্বারা সংঘটিত নির্বাচনী অপরাধ যথা- প্রতিপক্ষের পোলিং এজেন্টদের জোরপূর্বক বের করে দেয়া, প্রতিপক্ষের ভোটার হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিদের ভোট কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেয়া, জাল ভোট দেয়া, ব্যালট বাক্স ছিনতাই ইত্যাদি গণমাধ্যমে প্রকাশ পাবে না।

উপর্যুক্ত কারণে একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে যে সন্দেহ দেশে-বিদেশে দেখা দিয়েছে, তা নিরসনের দায়িত্ব সরকার ও নির্বাচন কমিশনের। এসব সমস্যা সমাধানের সময় এখনও পেরিয়ে যায়নি। দেশের সংসদ নির্বাচনের ইতিহাসে দলীয় সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের নজির নেই। তাই দলীয় সরকারের অধীনেও যে দেশে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য সংসদ নির্বাচন হতে পারে, তার নজির সৃষ্টি হোক।

আবদুল লতিফ মন্ডল : সাবেক সচিব, কলাম লেখক

 

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।