শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১২:২৭ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
নিউইয়র্ক টাইমসের তথ্য : ইরান আক্রমণের ছক কষছে যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেক্স : চলমান উত্তেজনার মধ্যে ইরানের বিরুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্যে এক লাখ ২০ হাজার সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে হালনাগাদ করা সামরিক পরিকল্পনা হস্তান্তর করেছেন এক জ্যেষ্ঠ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা।

ওই পরিকল্পনায় ইরানের হামলা ঠেকাতে মধ্যপ্রাচ্যে এক লাখ ২০ হাজার সেনা প্রেরণ অথবা পরমাণু কর্মসূচি জোরদারের প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

সোমবার মার্কিন প্রশাসনের অজ্ঞাতনামা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও হুশিয়ারি দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে আঘাত হানে এমন কোনো ধরনের পদক্ষেপ নিলে ইরানকে চরম ভুগতে হবে।

নিউইয়র্ক টাইমস বলেছে, ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্যাট্রিক শ্যানন বৃহস্পতিবার ট্রাম্পের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তার কাছে ইরানকে প্রতিরোধ সংক্রান্ত পরিকল্পনা হস্তান্তর করেছেন। এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ট্রাম্পের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন, সিআইএ’র পরিচালক জিনা হ্যাসপেল, ন্যাশনাল ইন্টিলিজেন্সের পরিচালক ড্যান কোটস এবং জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল জোসেফ ডানফোর্ড। বৈঠকে একাধিক পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়।

এগুলোর মধ্যে শীর্ষে ছিল, মধ্যপ্রাচ্যে এক লাখ ২০ হাজার সেনা মোতায়েন, যা শেষ করতে কয়েক সপ্তাহ বা মাস লাগতে পারে।

২০০৩ সালে ইরাকে আক্রমণের সময়ও একই সংখ্যক সেনা মোতায়েন করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউস তাৎক্ষণিকভাবে এ ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। আর পেন্টাগন এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ২০১৭ সালে ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে করা ইরান চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন ট্রাম্প। এরপরই তিনি ইরানের ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ শুরু করেন।

সম্প্রতি তিনি ইরানের সব ধরনের তেল রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। চলতি সপ্তাহে সামরিক চাপ সৃষ্টির জন্য পারস্য উপসাগরে যুদ্ধজাহাজ এবং প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে, পেন্টাগন অভিযোগ তুলেছে, সৌদি আরবের দুটি তেলবাহী ট্যাংকারসহ চারটি বাণিজ্যিক জাহাজে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ছিদ্র করেছিল ইরান।

নাম প্রকাশ না করে এক কর্মকর্তা জানান, ছিদ্রগুলো পাঁচ থেকে ১০ ফুটের মধ্যে ছিল। রোববার আমিরাতের ফুজাইরা বন্দরে চারটি বাণিজ্যিক জাহাজকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

এ বিস্ফোরণকে ‘অন্তর্ঘাতমূলক হামলা’ বলে উল্লেখ করেছে আমিরাত কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনা তদন্তে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সহায়তাও চেয়েছে তারা। আমেরিকার একটি সামরিক দলের প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী, ইরানের ইন্ধনেই ওই হামলা চালানো হয়েছে।

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।