শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৭:০৯ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
পোপ ঢাকায় : শাহজালালে ২১ বার তোপধ্বনি ও গার্ড অব অনারে বরণ

স্টাফ রিপোর্টার : পোপ এখন ঢকায়।  বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে মিয়ানমার থেকে সরসরি হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে নামেন পোপ। শাহজালাল বিমানবন্দরে তাকে ২১ বার তোপধ্বনি ও গার্ড অব অনার দিয়ে বরন করেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। সর্বশেষ সফর করেছিলেন পোপ দ্বিতীয় জন পল, ১৯৮৬ সালে। এটা তার বাংলাদেশে দ্বিতীয় সফর।

পোপ ফ্রান্সিস বর্তমানে মিয়ানমার থেকে বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে নামেন তিনি।

বিমানবন্দরে রোমান ক্যাথলিকদের প্রধান ধর্মগুরুকে অভ্যর্থনা জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

সফরসূচিতে থেকে জানা যায় ,  বিমানবন্দর থেকে সরাসরি সাভারে যাবেন পোপ ফ্রান্সিস, জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি।

সাভার থেকে ঢাকার ধানমণ্ডিতে গিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শনে যান পোপ।

বঙ্গবন্ধু জাদুঘর থেকে বঙ্গভবনে  পোপ, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করবেন তিনি।

বঙ্গভবনে দরবার হলে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও কূটনীতিকদের উপস্থিতিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দেবেন।

রাতে বারিধারার ভ্যাটিকান দূতাবাসে থাকবেন পোপ ফ্রান্সিস।

সফরের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নাগরিক সমাবেশে প্রার্থনা করবেন পোপ ফ্রান্সিস। এরপর ভ্যাটিকান দূতাবাসে সাক্ষাৎ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।

বিকালে তিনি যাবেন কাকরাইলের রমনা ক্যাথেড্রালে, সেখানে আর্চবিশপ হাউজে বিশপদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। শান্তি কামনায় আন্তঃধর্মীয় ও সম্প্রদায়গত ঐক্য বিষয়ক সভায় তিনি অংশ নেবেন।

সফরের শেষ দিন শনিবার সকালে তেজগাঁওয়ে মাদার টেরিজা হাউজ পরিদর্শনে যাবেন পোপ। এরপর তেজগাঁও হলি রোজারিও চার্চে খ্রিস্টান যাজক, ধর্মগুরু ও ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে চার্চের কবরস্থান পরিদর্শন করবেন পোপ।

দুপুরের পর তিনি ঢাকায় নটরডেম কলেজে তরুণদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।

সফরের ইতি টেনে বিকাল ৫টায় শাহজালাল বিমানবন্দর ছাড়বেন ক্যাথলিক ধর্মগুরু। তাকে বিদায় জানাবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

২০১৩ সালের ১৩ মার্চ ভ্যাটিকানের ২৬৬তম পোপ নির্বাচিত হন ফ্রান্সিস। রোমের বিশপ হিসেবে তিনি বিশ্বব্যাপী ক্যাথলিক চার্চ এবং সার্বভৌম ভ্যাটিকান সিটির প্রধান।

পোপ ফ্রান্সিসের জন্ম ১৯৩৬ সালের ১৭ ডিসেম্বর আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেসে। ক্যাথলিক পুরোহিত হিসেবে তার অভিষেক হয় ১৯৬৯ সালে। পুরো আমেরিকা অঞ্চল এবং দক্ষিণ গোলার্ধ থেকে নির্বাচিত প্রথম পোপ তিনি।

এ দিকে পোপ ফ্রান্সিসের সফরের সময় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। পুলিশ- র‌্যাবের তৎপরতা ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। তার সফর কর্মসূচিতে ব্লক রেইড ব্যবস্থা থাকছে।

পোপের সফরের গুরুত্ব তুলে ধরে পুলিশ সদর দপ্তরে বৈঠকে আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক বলেন, “তার বাংলাদেশে সফর আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের, আনন্দের।

পোপ কাকরাইলে রমনা ক্যাথেড্রালে যাবেন। সেজন্য রমনা থানা এলাকায় সব ধরনের সভা- সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে পুলিশ।

পোপের সফরের শেষ দিন শনিবার ঈদে মিলাদুন্নবি। এই দিনটিতে মুসলিম সম্প্রদায় শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে থাকে।

তিন দিনের সফর শেষে শনিবার বিকাল ৫টায় ঢাকা ছাড়বেন পোপ ফ্রন্সিস। শনিবার তার কর্মসূচি রয়েছে তেজগাঁও চার্চ এবং মতিঝিলের নটরডেম কলেজে।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।