মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ১০:৪৩ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ করেছে এপিবিএন

২১ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে  একুশে বার্তায় (অনলাইন ভার্সন)   প্রকাশিত ‘‘শাহজালাল বিমানবন্দরে এপিবিএন পুলিশ কর্তৃক যাত্রী হয়রানি চরমে ওঠায় বিমান প্রতিমন্ত্রীর যাত্রী হয়রানি ‘না’ করার আদেশ ভুলুন্ঠিত : : ১০০ দিনে ম্লান হয়ে যাচ্ছে বিমান প্রতিমন্ত্রীর অবদান’’ শীর্ষক  সংবাদের প্রতিবাদ করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। এপিবিনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন  স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদপত্রে বলা হয়েছে, প্রকাশিত সংবাদটি  আমাদের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। সংবাদের প্রতিবেদনে যা বলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও মিথ্যা। প্রকৃতপক্ষে অবৈধভাবে মানব পাচার ও অন্যান্য অভিযোগে  যাত্রী অফলোড করা সম্পূর্ণ ইমিগ্রেশন পুলিশের এখতিয়ারে। সব সময় বিমানবন্দর এপিবিএন ইমিগ্রেশনের সাথে সমন্বয় করে কাজ করে থাকে। আর্মড পুলিশের কোন সদস্য অফলোডের সাথে যুক্ত নয় বিধায় এ নিয়ে এধরণের সংবাদ প্রকাশ করা সম্পূর্ণঅনভিপ্রেত।

২০১০ সালে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ প্রতিষ্টার  পর থেকে পাল্টে গেছে বিমানবন্দরের সার্বিক চিত্র। গত ৯ বছরে প্রায় ১০ দশ হাজার বিভিন্ন ধরনের অপরাধী গ্রেফতার হয়। আর পুলিশের এইউনিটটি পরপর চারবার চোরাচালান পণ্য উদ্ধারে প্রথম স্থান অধিকার করে। সার্বক্ষণিক ৩৫০ জন পুলিশের নজরদারিতে থাকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে বিমানবন্দরের চরম নাজুক অবস্থাতে ২০১০ সালের ১৩ এপ্রিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বসে দশম গোয়েন্দা সম্মেলন। এই গোয়েন্দা সম্মেলনদেশের বিমানবন্দরগুলোর নাজুক পরিস্থিতি উঠে আসে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বিমানবন্দরগুলোকে কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন (কেপিআই) হিসাবে ধরে নিয়ে নিরাপওার জন্য বিশেষায়িত পুলিশেরপ্রয়োজনীয়তা অনুধাবিত হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তক্রমে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ গঠনের প্রস্তাব করা হয়। এরপর ঐ বছরের ১ জুন বিমানবন্দরে কার্যক্রম শুরু করে আর্মডপুলিশ।

দীর্ঘদিন অনিয়ম দুর করতে গিয়ে প্রথমেই প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয় এই ইউনিটকে । যখন বিমানবন্দরে বিভিন্ন কোটারি স্বার্থ  ক্ষতিগ্রস্থ হতে লাগল, তখনই আর্মড পুলিশ যাতে কোনকাজ করতে না পারে তার জন্য প্রতি পদে বাধা সৃষ্টি করা হল। এর পরও আর্মড পুলিশ তাদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখে বর্তমানে বিমানবন্দরকে নিরাপওা দিয়ে যাচ্ছে যা সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।