বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০৬:২৩ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
ফৌজধারি মামলায় অভিযুক্ত হয়ে গ্রেফতার, প্রায় একমাস ধরে জেলে অন্তরীন থাকলেও নির্বাহী প্রকৌশলী আছির উদ্দিনকে এখনও সাসপেন্ড করেনি সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ !

বিশেষ সংবাদদাতা : বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন অথরীটি (সিএএবি)’র নির্বাহী প্রকৌশলী আছির উদ্দিনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা দায়ের এবং উক্ত মামলায় তিনি দুদকের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলে অন্তরীন থাকলেও তাকে এখনও পর্যন্ত চাকরি থেকে সাসপেন্ড করেনি সিএএবি প্রশাসন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিএএবির প্রশাসন বিভাগের এক কর্মকর্তা। তিনি জানান, ফৌজধারি মামলায় অভিযুক্ত হলে চাকরি থেকে সাসপেন্ড হওয়ার নিয়ম রয়েছে। সিএএবিতে এমন নজির রয়েছে। কিন্ত কোন কোন ক্ষেত্রে এর ব্যত্যয়ও ঘটে।
ফৌজধারি মামলায় অভিযুক্ত হয়ে বর্তমানে জেলে থাকার পর প্রকৌশলী আছির উদ্দিনকে সাসপেন্ড না করে তার পদে সিএএবি কর্তৃপক্ষ একজন সহকারি প্রকৌশলীকে এ্্যাক্টিং নির্বাহী প্রকৌশলী পদে বদলি করা হয়েছে। আর সিএএবির একজন আইন কর্মকতর্কা এই বদলির দাপ্তরিক চিঠিতে সই করেছেন। অথচ ওই বদলির দাপ্তরিক চিঠিতে সই করার নিয়ম হচ্ছে সিএএবির পরিচালক প্রশাসন বা উপপরিচালকের। গত ১৯ ডিসেম্বর বদলির ওই দাপ্তরিক চিঠিতে সই করেন আইন কর্মকর্তা। কারন দেখানো হয় পরিচালক ( প্রশাসন) দেশের বাইরে আছেন। কিন্ত উপপরিচালক তো দেশেই ছিলেন এবং তিনি যথারীতি অফিসও করেছেন। তাহলে কেন অবৈধ ওই বদলির চিঠিতে আইন কর্মকর্তা সই করলেন- এ প্রশ্ন সংশ্লিষ্টদের।
সূত্র জানায়, নির্বাহী প্রকৌশলী পদে একজন সহকারি প্রকৌশলীকে এ্যাক্টিং করা হলেও নির্বাহী প্রকৌশলীকে বছরের পর বছর বসিয়ে বসিয়ে বেতন দেয়া হচ্ছে। তাকে অকর্মন্য করে রাখা হয়েছে। একজন নির্বাহী প্রকৌশলী গ্রেফতার হয়ে জেলে আছেন তার বিপরীতে আরেকজন নির্বাহী প্রকৌশলীকে তার পদে দায়িত্ব দেয়ার কথা কিন্ত সিএএবির ইএম বিভাগে এ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটানো হলো।
সূত্র জানায়, দুদকের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর নির্বাহী প্রকৌশলী আছির উদ্দিনকে সাসপেন্ড না করে তার পদে আরেকজন সহকারি প্রকৌশলীকে বদলি করার প্রক্রিয়া প্রায় চুড়ান্ত করেছে সিএএবির প্রশাসন বিভাগ। কিন্ত ফৌজধারি ধারার মামলায় অভিযুক্ত হয়ে প্রকৌশলী আছির উদ্দিন গ্রেফতার হয়ে জেলে থাকলেও তাকে কেন সিএএবি কর্তৃপক্ষ সাসপেন্ড করছে না- তা নিয়ে খোদ সিএএবিতেই প্রশ্ন ওঠছে। এ প্রক্রিয়ায় সিএএবির যারা ইতিপূর্বে গ্রেফতার হয়েছেন তাদেরকে সাসাপেন্ড করে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। কিন্ত প্রকৌশলী আছির উদ্দিনকে আগলে রেখেছে সিএএবি কর্তৃপক্ষ। তাকে সাসপেন্ড না করে মোটা অংকের টাকায় সমঝোতায় তার ফাইল ধামাচাপা দেয়া হয়েছে বলে অনেকে বলাবলি করছেন।
সিভিল এভিয়েশনের এক কর্মকর্তা জানান, দুদকের হাতে গ্রেফতার হয়ে প্রকৌশলী আছির উদ্দিন জেলে থাকলেও তাকে সাসপেন্ড করা হয়নি। তাকে সাসপেন্ড না করে তার পদে অন্য একজন সহকারি প্রকৌশলী বদলি করার প্রক্রিয়া চুড়ান্ত করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। তবে প্রকৌশলী আছির উদ্দিনকে সাসপেন্ড করার সুপারিশ সম্বলিত ফাইল সিএএবির চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরের অপেক্ষায় পড়ে রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইএম-১ নির্বাহী প্রকৌশলী পদে জুনিয়র প্রকৌশলী মামুনের বদলির চিঠি বাতিল করা হয়েছে। প্রকৌশলী মিহির চান দেকে ইএম-১ নির্বাহী প্রকৌশলী পদে বদলির বিষয়টি সিএএবির চেয়ারম্যান অনুমোদন দিয়েছেন, মতামত চেয়ে প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরে মিহির চাদের ফাইল পাঠানো হয়েছে।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।