শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
বিমানের ১৭ সিবিএ নেতার দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ উচ্চ আদালতের রুল : রুলে দুদকের পদক্ষেপ গ্রহণে  নিষ্কিৃয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা  হবে না- জানতে চাওয়া হয়েছে

নিউজ ডেক্স : ব্যাংক বীমা ও রেজিস্ট্রি অফিস থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সাবেক ১৭ সিবিএ নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) এক সম্পূরক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এসএম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে এইচআরপিবির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মানজিল মোরশেদ। অ্যাডভোকেট মানজিল মোরশেদ জানান, ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে বিমানের তৎকালীন ১৭ সিবিএ নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিষয় তদন্তের জন্য নোটিশ দেয় দুদক। পরে সিবিএ নেতা মো. মশিকুর রহমান, আজাহারুল ইমাম মজুমদার, আনোয়ার হোসেন, মো. ইউনুস খান, মো. মনতাসার রহমান, মো. রুবেল চৌধুরী, মো. রফিকুল আলম, মো. আতিকুর রহমান, মো. হারুনর রশিদ, আবদুল বারী, মো. ফিরোজুল ইসলাম, মো. আবদুস সোবহান, গোলাম কায়সার আহমেদ, মো. আবদুল জব্বার, মো. আবুল কালাম, আসমা খানম ও মো. আবদুল আজিজ ওই নোটিশে দুদকে হাজির হতে অস্বীকৃতি জানায়। এ বিষয়ে দুদকের পক্ষ থেকে আর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি মর্মে গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে হাইকোর্টে রিট করা হয়। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুল জারি করেন। রুলে দুদকের পদক্ষেপ গ্রহণে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। একই সঙ্গে তাদের দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে দুদক তাদের বিরুদ্ধে তদন্তে দুর্নীতির প্রমাণ মেলেনি উল্লেখ করে হাইকোর্টে একটি তদন্ত প্রতবেদন দাখিল করেন। তদন্ত প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, শুধু ওইসব সিবিএ নেতার দেওয়া সম্পদের বিবরণী ও ট্যাক্স ফাইলের সঙ্গে মিলিয়ে ওই প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। সাধারণত কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তির জমি ও অর্থসম্পদ আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখার জন্য ব্যাংক, বীমা ও সাব রেজিস্ট্রি অফিসের তথ্য নেওয়া হয়। কিন্তু এসব সিবিএ নেতার ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। এজন্য এইচআরপিবির পক্ষ থেকে এই ১৭ সিবিএ নেতার ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য নির্দেশনা চেয়ে একটি সম্পূরক আবেদন দাখিল করা হয়। বুধবার সে আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট উপরোক্ত আদেশ দেন।

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।