বিনোদন ডেক্স : মহানায়ক বুলবুল আহমেদের সুযোগ্য কন্যা ঐন্দ্রিলা আহমেদ। মডেলিং, অভিনয় আর গানও করেন। তবে তার নামের আগে বা পরে যখন বাবার পরিচয়টি যুক্ত হয় তখন তিনি আরও অনেক বেশি গর্বিত, আনন্দিত হয়ে থাকেন।
ঐন্দ্রিলা বলেন, ‘মহানায়ক বুলবুল আহমেদের মেয়ে হতে পারাটা অন্য যে কোনো পরিচয়ের চেয়ে বেশি তৃপ্তির ও গর্বের।’ সেই ঐন্দ্রিলা জানালেন ক্ষোভ ও বেদনার কথা। ৪ সেপ্টেম্বর ছিল ঢাকাই সিনেমার কিংবদন্তি পুরুষ বুলবুল আহমেদের জন্মদিন। কিছু গণমাধ্যম ছাড়া আর কোথাও তাকে নিয়ে কোনো আয়োজন চোখে পড়েনি। যেন বুলবুল আহমেদ বলে কেউ ছিলেনই না এ দেশের অভিনয়ের আঙিনায়। এ বিষয়টি বেদনা জাগিয়েছে বুলবুল আহমেদের পরিবারে।
ঐন্দ্রিলা আরও বলেন, ‘এসব নিয়ে বলার ইচ্ছে করে না। চারদিকে গুণীর কদর কমছে। তবে গুণীদের প্রতি এমন নীরবতা হতাশার। আগামী প্রজন্মের কাছে আমরা আমাদের শ্রেষ্ঠ মানুষদের উপস্থাপন করছি না। তারা অনুপ্রেরণার জন্য আদর্শ মানুষ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এটা ঠিক নয়। একজন মহানায়ক কালে কালে জন্মায় না। এর মূল্যায়ন করা উচিত। শুধু আমার বাবা কেন, এ দেশে আরও অনেক গুণী মানুষই উপেক্ষিত। কিছু দায়সারা আয়োজন হয়তো মাঝে মাঝে হয়ে থাকে।
কিন্তু সেগুলোতে মনের পুরোপুরি শ্রদ্ধা প্রকাশ হয় না। বুলবুল আহমেদ, নায়করাজ রাজ্জাক, আনোয়ার হোসেনরা এ দেশের চলচ্চিত্রের রাজতিলক। তাদের মূল্যায়ন কি সঠিকভাবে করতে পারছি আমরা? আরও অনেক ব্যক্তিত্ব রয়েছেন এই আঙিনায় যাদের কথা মনেও হয় না কারো। কিন্তু তাদেরকে সঠিকভাবে তুলে ধরা খুব প্রয়োজন। তা হলে নতুনরা অনেক কিছু জানবে ও শিখবে। চলচ্চিত্র ও অভিনয়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে। এফডিসি ছিল আমার বাবার দ্বিতীয় সংসার। তিনি তার বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন এই এফডিসিতেই। এফডিসির মানুষরাই আজ বাবাকে ভুলে গেছেন। যারা আমার বাবাকে স্মরণ করেছেন তাদের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা।’
চলচ্চিত্রের উজ্জ্বল ক্যারিয়ারের পাশাপাশি পারিবারিক জীবনে বুলবুল আহমেদ ছিলেন বেশ সুখী। স্ত্রী ডেইজি আহমেদ আর তিন সন্তান- ঐন্দ্রিলা, তিলোত্তমা ও শুভকে নিয়ে ছিল তার সাজানো সংসার।
জীবনের শেষ প্রান্তে পৌঁছে বুলবুল আহমেদ ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে ভুগছিলেন। ২০১০ সালের ১৫ জুলাই তিনি চিরবিদায় নেন।
