শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
মায়ের মৃত্যুবার্ষিকীতেআদালত মূলতবির আবেদন গ্রহণ না করায়- বৃহস্পতিবারও আদালতে যাবেন খালেদা

আদালত প্রতিবেদক : বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মা বেগম তৈয়বা মজুমদারের মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল বৃহস্পতিবার। এদিন আবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার শুনানি। আদালত ব্যাক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিলেও মূলতবি না করায় আদালতে যাবেন খালেদা।

১৭ জানুয়ারি বুধবার বকশীবাজারস্থ অস্থায়ী ওই বিশেষ জজ আদালতে বেলা ১১টা ২৩ মিনিটে খালেদা জিয়া উপস্থিত হন। তার আসার আগেই বেলা ১১টার ১৮ মিনিটে বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামন এজলাসে উঠে মামলার কার্যক্রম শুরু করেন।

আসামি ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের পক্ষে তার আইনজীবী আহসান উল্লাহ যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন। খালেদা জিয়া আদালতে প্রবেশের পরও তা অব্যাহত থাকে। বেলা ১২টা ৩৭ মিনিট পর্যন্ত ওই আইনজীবী যুক্তি উপস্থাপন করার পর বিচারক বিরতিতে যান। বেলা ১টা ২০ মিনিটে বিচারক পুনরায় এজলাসে ওঠার পর ওই আইনজীবী বেলা ২টা ৫৩ মিনিট পর্যন্ত যুক্তি উপস্থাপনের পর মূলতবি চান। আদালত তা মঞ্জুর করেন।

যুক্তি উপস্থাপন শেষ হওয়ার পর আইনজীবী আব্দুর রেজ্জাক খান ও সানাউল্লাহ মিয়া আগামীকাল বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার মায়ের মৃত্যুবার্ষিকীর জন্য ওইদিন আদালত মূলতবি প্রার্থনা করেন। বিচারক এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবীর বক্তব্য জানতে চাইলে প্রসিকিউটর মোশারফ হোসেন কাজল বলেন, যেহেতু মৃত্যুবার্ষিকী একটি ধর্মীয় বিষয় তাই তাকে ওইদিন ব্যাক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিতে পারেন। তবে আদালত মূলতবির বিষয়ে আমাদের অবজেকশন আছে।

শুনানি শেষে বিচারক বৃহস্পতিবার পর্যন্ত খালেদা জিয়ার জামিন বর্ধিত করে ওইদিন ব্যাক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন। তবে আদালত মূলতবির আবেদন নামঞ্জুর করে বৃহস্পতিবার অন্যান্য আসামিদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন হবে বলে আদেশ দেন।

ওই আদেশের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বিচারককে জানান, যেহেতু আপনি (বিচারক) আদালত মূলতবি করবে না, তাই ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) ব্যাক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি নিবেন না। তিনি বৃহস্পতিবারও আদালতে উপস্থিত থাকবেন।

এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয়। ওইদিন দুদকের পক্ষে মোশারফ হোসেন কাজল প্রায় ২ ঘন্টা যুক্তি উপস্থাপন করে শেষ করেন। এরপর ওইদিনই শুরু হয় খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তিতর্ক। এরপর গত ২০, ২১, ২৬, ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর এবং ৩, ৪, ১০, ১১ ও ১৬ জানুয়ারি খালেদার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন তার আইনজীবী মওদুদ আহমেদ, সাবেক এটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মাদ আলী, সাবেক অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল আব্দুর রেজ্জাক খান, সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার ও অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।

মামলায় বলা হয়, এতিমদের জন্য বিদেশী থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া অরফানেজ মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এই মামলাটি দায়ের করা হয়।

২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। মামলাটিতে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে আদালত।
চার্জশিটে খালেদা জিয়া ছাড়াও তার বড় ছেলে তারেক রহমান, সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেকসচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।