রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৩:৩৯ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
যুক্তরাজ্য সফর বাতিল করলেন ট্রাম্প

বিদেশ ডেক্স : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার আসন্ন যুক্তরাজ্য সফর বাতিল করেছেন। নতুন মার্কিন দূতাবাস উদ্বোধনের জন্য ফেব্রুয়ারিতে লন্ডন সফরে যাওয়ার কথা ছিল ট্রাম্পের।

কিন্তু লন্ডনের মার্কিন দূতাবাস নতুন জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত পছন্দ না হওয়ার কারণেই ট্রাম্প এটি উদ্বোধন করতে সেখানে যাবেন না বলে জানিয়েছেন।

প্রকল্পটির জন্য পূর্বসূরি বারাক ওবামাকে দোষারোপ করেছেন ট্রাম্প। যদিও সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের আমলে।

১২ জানুয়ারি শুক্রবার এক টুইটে তিনি বলেন, “লন্ডনের একেবারে কেন্দ্রস্থলে অভিজাত মেফেয়ার এলাকার গ্রোভেনর স্কয়ার থেকে মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে টেমস নদীর দক্ষিণে তা নতুন করে স্থাপনের প্রকল্পটি একেবারেই বাজে।”

“আমি লন্ডন সফর বাতিল করেছি কারণ, লন্ডনের একটি ভাল জায়গায় থাকা মার্কিন দূতাবাস স্বল্পমূল্যে বিক্রি করে অখ্যাত একটি জায়গায় ১২০ কোটি ডলার খরচ করে নতুন দূতাবাস ভবন বানানোর ওবামা প্রশাসনের পরিকল্পনা আমি পছন্দ করিনি। আর তাই সেখানে গিয়ে ফিতা কেটে এটি উদ্বোধন করার প্রশ্নই ওঠে না।”

২০০৮ সালের অক্টোবরে লন্ডনের মার্কিন দূতাবাস বিক্রির নোটিশ দেওয়া হয় এবং পরের বছর এটি বিক্রি হয়ে যায়। আর টেমস নদীর দক্ষিণে নাইন এল্মস -এ নতুন দূতাবাসটিতে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা ওড়ানো হয়েছে এ মাসেই। ট্রাম্পের পরিবর্তে এখন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন এ দূতাবাস উদ্বোধন করবেন বলে মনে  করা হচ্ছে।

ট্রাম্পের লন্ডন সফর বাতিলের এ পদক্ষেপ দীর্ঘদিনের মিত্র যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে আরেকটি বড় ধাক্কা।

ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে’ই প্রথম বিশ্ব নেতা হিসাবে হোয়াইট হাউজে তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন এবং তাকে লন্ডন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সে আমন্ত্রণ তখন গ্রহণও করেছিলেন ট্রাম্প।

আর এখন ট্রাম্প সফর বাতিল করায় যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের গভীর বন্ধুত্বের বন্ধন ভোগান্তিতে পড়বে বলে মন্তব্য করেছে ডাউনিং স্ট্রিট।

তবে লন্ডনের লেবার পার্টির মেয়র সাদিক খান ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এতেই প্রমাণ হয় ট্রাম্প সেই ‘বার্তাটি পেয়ে গেছেন’ যে, লন্ডনে তাকে স্বাগত জানানো হবে না।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার টুইটার বার্তায় সফর বাতিলের যে কারণই দেখান না কেন এর পেছনে লন্ডনে বিক্ষোভের মুখে পড়া এবং সফরটি পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সফরের মর্যাদা না পাওয়ার আশঙ্কা আছে বলেই মনে করছেন অনেকে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী যখন ট্রাম্পকে যুক্তরাজ্যে রাষ্ট্রীয় সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, তখন থেকেই সেদেশে এর তীব্র সমালোচনা হচ্ছিল। ট্রাম্পের সফরের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভের আয়োজনের হুমকিও দিচ্ছিল ব্রিটিশরা।

ট্রাম্পকে জানানো আমন্ত্রণ প্রত্যাহারের জন্যও ব্রিটিশ প্রধানন্ত্রীর ওপর চাপ বাড়ছিল।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।