শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৭:৫৫ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
শাহজালালে নিয়ন্ত্রিত টেন্ডারে পরিবহন ইজারা : স্বীকার করলেন এডি/এমটি রাজ্জাক চৌধুরি

বিশেষ সংবাদদাতা : সিভিল এভিয়েশনের অধীন হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে ইজিপির যুগেও বছরের পর বছর নিয়ন্ত্রিত টেন্ডারে পরিবহন ইজারা চলছে। বিএনপি- জাপার চাচা-ভাতিজা বছরের পর বছর নিয়ন্ত্রিত টেন্ডাারে কাজ পাচ্ছে। আর এ কথা অপকটে স্বীকার করলেন সহকারি পরিচালক (এমটি) মো. আব্দুর রাজ্জাক চৌধুরি। তিনি জানালেন, টেন্ডারে বছরের পর বছর কোন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লয়েস্ট হলে কাজ পাবে, এখানে বিএনপি- জাপা, চাচা- ভাতিজা ফ্যাক্টর নয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে ইজিপির যুগেও নিয়ন্ত্রিত টেন্ডারে বছরের পর বছর বিএনপির স্থানীয় নেতা শামীম এবং তার চাচা জাপা নেতা মীর নাসির নিয়ন্ত্রিত টেন্ডারে বছরের পর বছর পরিবহন কার্যাদেশ পাচ্ছে। চাচার ২টি ছোট এবং ২টি বড় গাড়ি এবং ভাতিজার ২টি গাড়ি শাহজালালে নিয়ন্ত্রিত টেন্ডারে চলছে। গাড়িগুলো লক্কর-ঝক্কর মার্কা হলেও সে দিকে কর্তৃপক্ষের নজর নেই বললেই চলে। ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হয়ে এডি/এমটি টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করে বছরের পর বছর জাপা-বিএনপির চাচা-ভাতিজাকে পরিবহন কার্যাদেশ দেয়া হচ্ছে।
ভাতিজা শামীম আহমেদ বিএনপির স্থানীয় নেতা। মামলায় জেল খেটে বের হয়ে এসেছেন। জেল থেকে বের হয়ে তার ফেইজবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বলেছেন-‘অফটার ফিফটিন ডেস আই ক্যাম মাই হাউজ ফরম জেল’ ।
সূত্র জানায়, শুধু চাচা-ভাতিজা নয়Ñ অন্যান্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকেও নিয়ন্ত্রিত টেন্ডারে শাহজালালে পরিবহন ইজারা দেয়া হচ্ছে। শাহজালালে এ সব প্রতিষ্ঠানের জন্য অফিস পর্যন্ত খুলে দেয়া হয়েছে। এই অফিসে বসে পরিবহন ইজারাদার প্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশ ফেরত যাত্রীদের সেবার নামে অনেক সময় হয়রানি করছে বলেও গোয়েন্দা সংস্থা খতিয়ে দেখছে।
সূত্র জানায়, শাহজালালে যাত্রী নিরাপত্তা বেস্টনীতে অবস্থিত পরিবহন ইজারাদার কার্যালয়ের দুটি অফিস আবার দোকান হিসেবে ভাড়া দিয়েছে সিএএবি কর্তৃপক্ষ। দুজন মিডিয়া জগতের লোক ওই পরিবহন ইজারাদারদের ব্যবহৃত অফিস দুটি ভাড়া নিয়ে ফাস্টফুডের দোকান দিয়েছে।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।