বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১০:৪৫ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
শিকদার গ্রুপের অনিয়ম ও দুর্নীতি-২ জনতা ব্যাংকের এমডিকে গুলশানের শিকদার ডেরায় বিশেষ আমন্ত্রণ ঋণ সমন্বয় না করেই আবারও জনতা ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকার ঋণ নেয়ার পায়তারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে লাল কার্ড ব্যবহার করে অবাধে প্রবেশ করছে কে এই মুক্তা

একুশে বার্তা রিপোর্ট: শিকদার গ্রুপের বিরুদ্বে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ভুয়া প্রকল্পে ভুয়া ডকুমেন্টে একই প্রকল্প বার বার দেখিয়ে দেশের রাষ্ট্রায়াত্ব ও বেসরকারি প্রায় সব ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোন নিয়ে তা মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করার পর আবার জনতা ও অগ্রণী ব্যাংক থেকে দুটি প্রকল্পে কমপক্ষে হাজার কোটি টাকার লোন নেয়ার পায়তারা করছে। এর মধ্যে অগ্রণী ব্যাংক থেকে উড়োজাহাজ কেনার জন্য এবং অগ্রণী ব্যাংক থেকে কেরানিগনজে পাওয়ার প্লান্টের নামে নেয়া শত শত কোটি ঋণ খেলাপি হওয়ার পরও তা পরিশোধ না করেও আবারও শত শত কোটি টাকার উণ দেয়া-নেয়ার পায়তারা করছে। গত ২ অক্টোবর অগ্রণী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কেরানিগন্ঞে শিকদার গ্রুপের উক্ত পাওয়ার প্লান্ট পরিদর্শন করেছে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শিকদার গ্রুপ অগ্রণী ব্যাংক থেকে ইতিপূর্বে ২ টি হেলিকপ্টার ও ১টি প্রাইভেট বিমান এবং কেরানিগন্ঞে পাওয়ার প্লান্টের জন্য কয়েক শত কোটি টাকার ঋণ দেয়। অগ্রণী ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার পর ২টি হেলিকপ্টার এ্ং ১ টি প্রাইভেট বিমান কিনলেও পরবর্তীতে প্রাইভেট বিমানটি আমেরিকায় বিক্রি করে দেয়। বাংলাদেশে প্রাইভেট বিমানের কোন অস্তিত্ব নেই। এ দিকে কেরানিগন্ঞে পাওয়ার প্লান্টের নামে ঋণের টাকা নিজেরা অন্য খাতে খরচ করায় পাওয়ার প্লান্ট মুখ থুবড়ে পড়েছে। ফলে অগ্রণী ব্যাংক থেকে শিকদার গ্রুপের নামে দেয়া শত শত কোটি টাকার ঋণ ইতিমধ্যেই মন্দ ঋণ হয়ে পড়েছে। এই মন্দ ঋণ ভুয়া ডকুমেন্টে সমন্বয় করে আবারও অগ্রণী ব্যাংক থেকে শত শত কোটি টাকা ঋণ নেয়ার পায়তারা করছে।
বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকার লোন নিয়ে তা মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে বিদেশে পাচার সংক্রান্ত ঘটনা দেশের একটি নিউজ পোর্টাল এবং একুশ শতকের কাগজ “একুশে বার্তায়” প্রকাশের পর শিকদার গ্রুপের কর্নধারদের টনক নড়েছে। পরিচালক পর্যায়ের একজন তাৎক্ষণিক সিদ্বান্তে আমেরিকা চলে গেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। একুশে বার্তায় রিপোর্ট প্রকাশের পর ব্যাংক পাড়ায় প্রতিটি ব্যাংকের ব্যব¯া’পনা পরিচালককে সংবাদটি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। কোন কোন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নড়েচড়ে বসেছেন। কোন কোন ব্যাংকের প্রভাবশালী ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিকদার গ্রুপের হুন্ডির মাধ্যমে দেশ থেকে বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার সংক্রান্ত প্রকাশিত সংবাদে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে যে সব প্রভাবশালী এমডিরা শিকদার গ্রুপের ডেরায় রাতের আধারে ককটেল ড্যান্সের আসরে বিশেষ মেহমান হয়ে যেতেন সে সব এমডিরা পিছুটান মারছেন বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে জনতা ব্যাংকের এমডির নাম সবার মুখে মুখে। লোকমুখে শোনা যায়, জনতা ব্যাংকের এই গুণধর এমডি ঘুষ দুর্নীতির চেয়ে মধ্যরাতের শিকদার গ্রুপের গুলশানের ডেরায় আসরের সংঘ পেতেই বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করেন। তিনি নাকি নেশায় বুদ হয়ে যেতেন। ওই আসরে আরো যোগ দিতেন দুদকের সাবেক একজন পরিচালক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের এক উর্ধতন কর্মকর্তা।
খোজখবর নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন জিএম ন্যাশনাল ব্যাংক মুন্সিগন্ঞ শাখা শিকদার গ্রুপের ঋণ অনিয়মের এক চুলচেরা তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পরও প্রভাবশালী ওই ডেপুটি গভর্নরের নেক আর্শিবাদ শিকদার গ্রুপের কর্নধারদের ওপর বর্ষিত হওয়ায় শিকদার গ্রুপের কর্নধাররা পার পেয়ে যাচ্ছেন। দুদক শিকদার গ্রুপের বিরুদ্বে মানিলন্ডারিংয়ের ৩টি ফাইনাল রিপোর্ট দেয়ার পরও দুদক থেকে বিদায় নেয়া ওই কর্মকর্তার আর্শিবাদে কোন এ্যাকশন না হওয়ায় দুদক আবার নতুন করে শিকদার গ্রুপকে তলব করবে বলে জানা গেছে। বিসমিল্লঅহ গ্রুপ, ডেসটিনি এবং হলমার্ক গ্রুপের বিরুদ্বে মামলা করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হলেও শিকদার গ্রুপ পার পেয়ে যাচ্ছে। তাহলে শিকদার গ্রুপ কি আইনের উর্ধে। তাহলে কেন শিকদার গ্রুপের লাগাম টেনে ধরা হচ্ছে না- এ প্রশ্ন সংশ্লিষ্টদের।
এদিকে দেশের একটি পাঠকপ্রিয় নিউজ পোর্টালে শিকদার গ্রুপের বিরুদ্বে মানি লন্ডারিংয়ের সংবাদ প্রকাশের পর শিকদার গ্রুপ বিভিন্নভাবে তদবির করে বেড়াচ্ছে। তাদের পেয়ারের কোন কোন মিডিয়া ব্যক্তিত্বকে তাদের খাস কামরায় ডেকে নিয়ে শলা পরামর্শ করছে বলেও শুনা যায়। শিকদার গ্রুপের পরিচালকরা আমেরিকা থেকে কলকাঠি নাড়ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শিকদার গ্রুপের পরিচালক পর্যায়ের দুই জন কর্মকর্তা মোহন ও মুক্তা দুই নম্বরি ফাইল বানিয়ে বিভিন্ন ব্যাংক কর্র্তৃপক্ষকে অন্ধকারে রেখে প্রভাবিত করে হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যাংক লোন নিচ্ছে। মোহন দুই নম্বরি ফাইল করে আর মুক্তা একটি লাল কার্ড ঝুলিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বীরদর্পে ঘুরে বেড়ায় এবং তদবির করে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের লাল কার্ড শিকদার গ্রুপের মুক্তা নামের কর্মকর্তা কিভাবে ব্যবহার করছে তা তদন্ত করলেই বের হয়ে আসবে। চলবে

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।