শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১২:০৭ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
সিএএবির ঠিকাদার খুররমের দম্ভোক্তি : দুদকের নাম ভাংগিয়ে হুমকি-দামকি: প্রকৌশলীরা তার হাতে জিম্মি : কোটি কোটি টাকার কার্যাদেশ হাতিয়ে নেয়ার কাহিনী!নেপথ্যে বউ দুদকের কেরানি : কোটি কোটি টাকার কার্যাদেশ বিতরণকারি প্রকৌশলীরা কি ধরাছোয়ার বাইরে?

স্টাফ রিপোর্টার : সিভিল এভিয়েশনের তালিকাভুক্ত ঠিকাদার, তানভীর ট্রেডার্সের কর্নধার নজরুল ইসলাম/নাজমুল আলম ওরফে খুররমের যেন মাটিতে পা পড়ে না, আংগুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন, এককালের চুনোপুটি এখন কোটিপতি,ধরাকে সরা ঙ্ঞান করছেন, দুদকের নাম ভাংগিয়ে দম্ভোক্তি করে বেড়াচ্ছেন, সিএএবির প্রকৌশলীরা তার হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছেন, হুমকি-দামকি নিত্যঘটনা। সিএএবির এক উর্ধতন কর্মকর্তার দরজায় লাথ্থি মেরেও তার কিছু হয়নি, বরং ওই কর্মকর্তাই কুপোকাত হয়ে পড়েছেন, তাকে ঠেকায় এমন সাধ্য কার? এ সবের নেপথ্যে রয়েছে তার বউ দুদকের কেরানিগিরি করছেন,দুদকের এ এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন পরিচালকের দপ্তরে কর্মরত খুররমের বউ।
এ নিয়ে সময় টিভি এবং গত ২৮ আগস্ট দৈনিক যুগান্তরে অনুসন্ধ্যানি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তার হুমকি-দামকির কাহিনী অডিও ভাইরাল হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন ব্যাংকে তার ১২০ কোটি টাকা জমার হিসাবও দৈনিক যুগান্তর তুলে ধরেছে। মন্ত্রণালয় তার বিরুদ্ধে তদন্তে নেছে। তার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে। সিএএবির ইএম-২ এবং সিডি-১ থেকেই কয়েক কোটি টাকার কার্যাদেশ নেয়ার কাহিনী বেরিয়ে পড়েছে। ইএম থেকে ১৯-২০ এবং ২০-২১ অর্থবছরে ১৫ কোটি টাকার ওপরে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। এসব কাজ দিয়েছেন ইএম-২ এর সাবেক এক দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সইএন(এসডি) যাকে পরে ইএম-২ থেকে বদলি করা হয়, দীর্ঘদিন থার্ড টার্মিনালে কর্মরত থাকার পর আবার তাকে ডমেস্টিক এক্সইএন পদে পদায়ন করা হয়েছে- তিনি প্রকৌশলী আল মামুন।
সিডি-১-এর এক্সইএনসহ ৩ সিন্ডিকেড নি¤œপদের প্রকৌশলীরা তাকে ১৯-২০ , ২০-২১ অর্থবছরে ২২ কোটি টাকার ওপরে কার্যাদেশ দিয়েছেন। সিডি-৩-এ গেট কেলেংকারিতে মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে তার প্রতিষ্ঠানকে সেইভ করা হয়েছে।৩১.২৩ ভাগ দুর্নীতি হলেও তিনি যেন দুর্নীতিমুক্ত।ঠিকাদারি কাজ করলো খুররমের প্রতিষ্ঠান, দুর্র্নীতির কাহিনী বেরিয়ে এলো, অথচ দুর্নীতির ধরাছোয়ার বাইওে খুররম-তাহলে দুর্নীতি করলো কি প্রকৌশীরা! এ নিয়ে সিএএবির আভ্যন্তরীন তদন্ত প্রতিবেদনও আলোরমুখ দেখলো না, ফাইল গায়েবের অজুহাতে তদন্ত রিপোর্ট বের হচ্ছে না।
প্রকৌশলীরা কি দুর্নীতির বাইরে: কয়েকশত কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজ দিয়েছে খুররমের প্রতিষ্ঠানকে যে সব প্রকৌশলী তারা কেন তদন্তের বাইরে, তাদের কি তদন্তের আওতায় আনা হবে না? খুররমের বিরুদ্ধে তদন্ত, তার প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করার প্রক্রিয়া চললেও যে সব দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী যারা তার প্রতিষ্ঠানকে কোটি কোটি টাকার কাযাদেশ দিলো তাদের কি হবে- এ প্রশ্নও ওঠেছে।মামুনরা কি ধরাছোয়ার বাইরে থেকে যাবে।
এক মাথায় ৪ টুপি : সিভিল এভিয়েশনের সিডি-২-এ একজন উর্ধতন উপসহকারি প্রকৌশলী একাই ৪ দায়িত্ব পালন করছেন। এ যেন এক মাথায় ৪ টুপি।তিনি আবার গেট কেলেংকারির বিভাগীয় মামলায় জড়িয়ে পড়েছেন।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।