শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১১:৫০ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
সিএএবি : অবশেষে সেই ডিডিকে পদোন্নতি দিয়ে একই পোস্টিংয়ে বহাল! সিএএবিতে এখন পরিচালক প্রশাসন ২ জন : কক্সবাজার এয়ারপোর্টের ‘ফেল্ট’ পরিদর্শনে সরকারি খরচে বিদেশ সফরের সেই ডিডি অডিট শাহিনাকেও পরিচালক পদে পদোন্নতি, মোয়াজ্জেম- আজিজও বাদ যাননি

বিশেষ সংবাদদাতা : সিভিল এভিয়েশনে কর্মরত সেই ডিডি প্রশাসনকে পদোন্নতি দিয়ে পরিচালক প্রশাসন করা হয়েছে। পদবি পরিবর্তন হলেও তিনি যেন স্বপদেই বহাল অর্থাৎ পদোন্নতি হবার পর তাকে অণ্যত্র বদলি হবার কথা, কিন্ত সিএএবি প্রশাসনে এমন বালাই নেই, ব্লাকবল পদেই যেনো তিনি বহাল, অর্থৎ তিনি প্রশাসন ছেড়ে কোথাও যাবেন না আর কর্তৃৃপক্ষও তাকে প্রশাসন থেকে যেন ছাড়বেন না, ফলে যা হবার তাই হলো, শুধু ডিডির স্থলে ‘ডি’ হলো। তার বিরুদ্ধে গোয়েন্দা রিপোর্ট আমলে নেয়নি পদোন্নতি কমিটি, আর তার ফাইল থেকে নাকি গোয়েন্দা রিপোর্ট গায়েব হয়ে গেছে। এ নিয়ে জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে। পত্রিকার সেই প্রতিবেদক তার খুব কাছের লোক বলে শোনা যায়। তার কথিত ভাগিনা হাকিম স্বর্নসহ এয়ারপোর্টে ধরা পড়লেও মামার জোরে ভাগিনা বহাল্, তার সম্পর্কে টেন্ডার বাণিজ্য, নিয়োগি বাণিজ্য, পদোন্নতি বাণিজ্য, তদবির ও রিপ্লেসম্যান বাণিজ্যের কথা শোনা যায়। তিনি নিজকে সিভিল এভিয়েশন বাড়ির মালিক মনে করেন আর সবাই যেন ভাড়াটিয়া। তাকে কি অন্যত্র বদলি করা হবে নাকি তিনি আজীবন প্রশাসনেই বহাল থাকবেন-এ প্রশ্ন সংশ্লিষ্টদের।
তিনি আর কেউ নন -তিনি নূরুল ইসলাম। তাকে ডিডি থেকে পরিচালক করায় সিএএবির প্রশাসনে এখন পরিচালক ২ জন। একজন মন্ত্রণলয় থেকে প্রেষণে আগত। তিনি হয়তো বদলি হয়ে আবার মন্ত্রণালয়ে চলেই যাবেন। কিন্ত নতুন পরিচালকের কোন বদলি নেই। এটা কি সিএএবির মনোগ্রামে পাস করা ? তাকে বদলি করতে হলে কি সিএএবির আইন সংশোধন করতে হবে? নাকি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগবে?
এই নতুন পরিচালকের একজন পিএ হয়তো পোস্টিং দেয়া হবে। এখন পিএ হয়ে তার রুমে প্রবেশ করার রেওয়াজ হয়তো চালু হবে।
সিএএবিতে একজন মরহুম ডিডিকে পিআরএলএ যাবার ২ দিন আগে পরিচালক পদে পদোন্নতি দেয়া হয়, এই সান্তনা পুরস্কার নিয়ে বাড়ি চলে যান, পরে গত বছর তিনি করোনায় মারা যান।
সে ক্ষেত্রে নূরুল ইসলাম বড় ভাগ্যবান বটে- বলা যায়।
এ দিকে ডিডি অডিটে বসে থাকা শাহিনা- যিনি কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ের ‘ফেল্ট’ পরিদর্শনে কারিগারি কমিটির সদস্যদের সাথে সিএএবির টাকায় বিদেশ সফর করেন তাকেও পদোন্নতি দেয়া হয়েছে।
ডিডি অর্থ যার বিরুদ্ধে সিএএবির ঠিকাদাররা ঠিকাদারি কাজে চাহিদামত পার্সেন্সেন্ট না দিলে ফাইলে সই করেন না- তিনিও এখন সিএএবির পরিচালক। ডিডি আ: আজিজকেও পরিচালক পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে।
গত রোববার পদোন্নতির দাপ্তরিক চিঠি জারি করা হয়।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।