শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
সিএএবি : অভিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তানভীর ট্রেডার্সকে বাদ দিয়ে মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদন : তদন্তে ৩১.৪২ শতাংশ দুর্নীতি : সিএএবির ক্ষতি ৫৩ লক্ষ টাকা : সিএএবির তদন্তে ভয়াবহ কালক্ষেপণ

একুশে বার্তা রিপোর্ট : বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কার্যালয়ের গেট ও ওয়েটিং রুম নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগে যুক্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে বাদ নিয়েই তদন্ত শেষ করেছে এ ঘটনায় গঠিত মন্ত্রণালয়ে তদন্ত কমিটি। অভিযোগ উঠেছে, গেট কেলেংকারির নায়ক  অভিযুক্ত ঠিকাদারি  প্রতিষ্ঠান ‘তানভীর ট্রেডার্সের’ কাছ থেকে মোটা অঙ্কের উৎকোচ নিয়েই তাকে তদন্ত প্রতিবেদন থেকে  বাদ দেয়া হয়। অথচ খোদ তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনেই উঠে এসেছে এই প্রকল্পে ৩১.৪২ শতাংশ দুর্নীতি করা হয়েছে। যদিও কর্তৃপক্ষের দাবি— সঠিক নিয়ম মেনেই তদন্ত শেষ করা হয়েছে। তবে তদন্ত  প্রতিবেদনের একটি কপিতে কোথাও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নাম পাওয়া যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। যা গত দেড় বছরেও তদন্ত শেষ করতে পারেনি।ভয়াবহ কালক্ষেপণের অভিযোগ ওঠছে।

জানা গেছ, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কার্যালয়ের গেট ও ওয়েটিং রুম নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পর ২০২০ সালের শেষের দিকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির প্রধান করা হয় বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. মোহাম্মদ মোশারফ হোসেকে। সদস্য করা হয় উপসচিব মাহমুদুল কবির, সিনিয়র সহকারী সচিব সৈয়দ শরিফুল ইসলামকে। ওই কমিটি দীর্ঘ তদন্ত শেষে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ব্যয়বহুল গেটটির জন্য কোনো স্থপতি কর্তৃক নকশা প্রণয়ন করা হয়নি। কাজটির মূল উদ্দেশ্যে ছিল নিরাপত্তা বিধান করা। কিন্তু সেই বিবেচনা উপযুক্ত মনে হয়নি। তদন্তকালে যে নকশা উপস্থাপন করা হয়েছে সেখানে বিস্তারিত স্থাপত্য নকশা ও কাঠামো নেই। একই সঙ্গে সরকারি ক্রয় সম্পর্কিত মন্ত্রিসভা কর্তৃক অনুমোদিত আইটেম ব্যবহার না করে কোটেশনের মাধ্যমে উচ্চতর বাজারদরে সংগ্রহ করে ব্যবহার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। এখানেও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের দায় এড়িয়ে যাওয়া হয়।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ম্যানুফ্যাকচারিং, সাপ্লাইয়িং অ্যান্ড ইন্সটালেশন অব ইংলিশ অ্যান্ড বাংলা লেটারিংয়ের কাজে প্রতিটি অক্ষরের জন্য ৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এতে প্রতিটি অক্ষরের জন্য পৃথকভাবে লেটার বসানোর জন্য এসএস শিট (২০ গেজ), ভিন্ন মাপের জন্য এসএস শিট (২০ গেজ অক্ষর তৈরি, লেটার এসএস শিট কাটিং অ্যান্ড গ্রান্ডিং, রিভিট ও স্ক্রু, ওয়েল্ডিং ইলেকক্ট্রোড ও ইলেকট্রিসিটি, ফেব্রিকেশন/ ওয়ার্কশপ পলিশিং কাজ সব মালামাল সাইটে হোল ও ড্রিলিংকরণ ক্যারিং চার্জ ওয়ার্কশপ থেকে সাইট ও সাইটে ফিটিং ও ফিক্সিং চার্জ ধরা হয়েছে। যা কোনোভাবেই যুক্তিসঙ্গত নয়। গণপূর্ত অধিদফতর কর্তৃক অনুমোদন থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন দর নির্ধারণকালে অযৌক্তিক কোটেশনের মাধ্যমে উচ্চতর দর বিবেচনা করা হয়েছে। আইটেম ১৪ (এফ) এবং ১৪ (জি) এর দর বিশ্লেষণে ব্যবহূত ৫০ এম এম ডায়া এসএস পাইপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে ২৫০ টাকা ৬৫ পয়সার পরিবর্তে ২৯৮ টাকা ৫০ পয়সা ব্যবহার করা হয়েছে।’ বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনায় সবধরনের কার্যক্রম ইজিপিতে করার নির্দেশ থাকলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি।

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।