শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৫:১৯ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
সিভিল এভিয়েশনের কেরানির বউ’র গরম খুন্তির ছেকায় কাজের মেয়ে মারাত্মক আহত: রংপুর মেডিকেলে ভর্তি: কেরানি আনোয়ার পলাতক, তার বস ছুটিতে, কাজের মেয়েকে দেখতে গেলেন রংপুর হাসপাতালে

মাসুদ : সিভিল এভিয়েশনের ইএম বিভাগের কেরানি আনোয়ার হোসেনের বউ’র গরম খুন্তির ছেকায় কিশোরী কাজের মেয়ে শরীর ঝলসে গেছে। ভাত খেতে চাওয়ায় তাকে ভাত না দিয়ে গরম খুন্তির ছেকা দেয়া হয়েছে। পানির পানের যন্ত্রনায় ছটফট করলে তার শরীরে ঢেলে দেয়া হয়েছে লবন হলুদ মিশ্রিত গরম পানি। তাকে গরম খুন্তির ছেকা ও গরম পানির প্রলেপ দেবার পর স্বর্ন চুরির অপবাদ দেয়া হয়েছে। খবর পেয়ে তার স্বজনরা এসে কাজের মেয়েকে উদ্ধার করে প্রথমে গাইবান্ধা হাসপাতালে পরে সেখান থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ডাক্তার বলছে তার শরীরে ইনফেকশন হয়েছে, সেরে উঠতে সময় লাগবে।
এ দিকে টাকার অভাবে তার দরিদ্র বাবা-মা মেয়ের চিকিৎসা করাতে পারছে না, বিত্তবানদের কাছে সাহায্য চেয়েছে।
এ ঘটনার পর সিএএবির ইএম বিভাগের উচ্চমান সহকারি, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শুভাশিষ বড়–য়ার পিএ আনোয়ার হোসেন পলাতক রয়েছে, পুলিশ তাকে তার বউকে খুজছে।
এ ব্যাপারে জানতে তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শুভাশিষ বড়–য়ার সেল ফোনে কল করলেও তিনি সাড়া দেননি।
কে এই আনোয়ার : আনোয়ার হোসেন, দীর্ঘদিন ধরে ইএম বিভাগে কেরানিগিরি করছে। ম্যানুয়েল টেন্ডারে সংশিষ্ট নির্বাহি প্রকৌশলীদের নামে শতকরা ১০% হারে ঘুষ নিয়ে টেন্ডার করতো। এ ভাবে এই আনোয়ার ঠিকাদারদের থেকে গত কয়েক বছরে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বর্তমানেও এই প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত। ্তত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর পিএ’র সুবাধে ফাইল প্রসেস করতে , টেন্ডার করতে ঘুষ হাতিয়ে নিচ্ছে। এভাবে সে কাচা পয়সা কামিয়ে আমি কি হনুরে বনে গেছে। তাকে ইএম ছাড়া অন্য কোথাও বদলি করা হয় না। ঘুরেফিরে বছরের পর বছর ইএম বিভাগে কর্মরত। এক সময় এই আনোয়ার একজন নির্বাহি প্রকৌশলীর নামে নিজেই কাজের এস্টিমেট বিতরণ করতো শতকরা হিসাবে ঘুষ নিয়ে। কেরানি আনোয়ার নাকি কোটিপতি-যা তদন্ত করলেই থলের বিড়াল বের হবে।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।