বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১০:৪৮ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
সিভিল এভিয়েশনের প্রধান প্রকৌশলীর পিয়নের এতো সম্পদ ! দুদক তার টিকিটিও স্পর্শ করতে পারেনি

বিশেষ সংবাদদাতা : বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশনের এক পিয়নের বহু বিতবৈভবের খবর পাওয়া গেছে। নামে বেনামে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন ওই পিয়ন। এক পোষ্টিংয়ে ওই পিয়ন প্রায় একযুগ কর্মরত।
জানা গেছে ওই পিয়নের নাম ‘গাজী’। সিভিল এভিয়েশনের প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরে কর্মরত ওই পিয়ন ‘গাজী’ দক্ষিণখানের দক্ষিণ গাওয়াইরে সাড়ে ৪ কাঠা জমির ওপর বহুতল অট্রালিকা গড়ে তুলেছেন। এ ছাড়াও রাজধানী ও গ্রামের বাড়িতে সম্পদের পাহাড় করেছেন। দুদক সিএএবির প্রধান প্রকৌশলীকে বার বার দাপ্তরিক চিঠি দিয়ে তলব করলেও তার ডানহাত বলে খ্যাত পিয়ন গাজী দুদকের ধরাছোয়ার বাইরে রয়ে গেছেন। এখনও দুদক তার টিকিটিও স্পর্শ করতে পারেনি। চালায়নি তার সম্পর্কে অনুসন্ধ্যান। দুদক প্রধান প্রকৌশলীর পিয়ন গাজীর সম্পদের অনুসন্ধ্যানে নামলে ‘কেচো খুড়তে সাপ বেরিয়ে পড়বে’।
সূত্র জানায়, বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী যখন তিন নম্বর ডিভিশনের ততা¡বধায়ক প্রকৌশলী ঠিক তখন থেকেই পিয়ন গাজী তার সাথে আছেন। তাকে প্রকৌশলী গোস্বামীর দপ্তর থেকে গত ১২ বছরেও বদলি করা হয়নি।
সূত্র জানায়, গোস্বামী প্রধান প্রকৌশলী পদে আসীন হওয়ার পর পিয়ন গাজীর দেমাগ আরো কয়েকদাফ বেড়ে যায়। প্রধান প্রকৌশলীর ডানহাত হিসেবে আর্ভিভুত হন পিয়ন গাজি। দুহাতে কামাতে থাকেন টাকা। কাড়ি কাড়ি টাকা কামিয়ে এখন তিনি বহুবিত্তবৈভবের মালিক। আর সে টাকায় রাজধানীর ৭১২ দক্ষিণ গাওয়াইরে গড়ে তুলেছেন আলিশান অট্রালিকা। নাম দিয়েছেন ‘ গাজী ভবন’। রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই এ ভবন ওঠনো হয়েছে বলে জানা গেছে। এব্যাপারে রাজউক বরাবর এবং স্থানীয় ইউপিতে অভিযোগ দায়ের করেছেন গাজীর এক প্রতিবেশী। বিষয়টি দক্ষিণখান ইউপি চেয়ারম্যান তদন্ত করছেন।
সূত্র জানায়, দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন পিয়ন গাজী প্রধান প্রকৌশলীর নামে ঠিকাদারদের থেকে মোটা টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। কোন ঠিকাদারি ফাইল প্রধান প্রকৌশলীর রুমে ঢুকতে ১ হাজার এবং ফাইল বের করতে ১ হাজার করে গাজীর হাতে তুলে দিতে হয়। এ ছাড়াও গাজী পার্টানারে ঠিকাদারি ব্যবসাও করে থাকেন। প্রধান প্রকৌশলীর অলিখিত ক্যাশিয়ার হিসেবেও পিয়ন গাজীর নাম শোনা যায়।
সূত্র জানায়, গাজীর ভাগিনা জহিরও শাহজালাল বিমানবন্দরে দুই যুগ কর্মরত। এই জহির একজন পিয়ন হলেও তাকে শাহজালাল বিমানবন্দরের উপ-পরিচালকের পিএর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে উপ-পরিচালক মোশাররফ হোসেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। এই মামু- ভাগিনার দখলে এখন সিএএবিতে রামরাজত্ব চলছে।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।