শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
সিভিল এভিয়েশনে ৬ প্রকৌশলীর চাকরিতে নবনিয়োগ : সিনিয়রটি কাউন্ট হচ্ছে ১৫ বছর আগে থেকে !

বিশেষ সংবাদদাতা : বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশনে ৬ প্রকৌশলীর (ইএম) চাকরিতে ২০১১ সালে নবনিয়োগ হলেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি লংঘন করে ১৫ বছর আগে থেকে তাদেরকে সিনিয়রটি দেয়া হয়েছে। এতে করে সরাসরি রাজস্ব খাতে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রকৌশলীরা বন্ঞনার শিকার হচ্ছেন। ১৫ বছর আগে থেকে ৬ প্রকৌশলীকে সিনিয়রটি দেয়ায় রাজস্ব খাতে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রকৌশলীরা জুনিয়র হয়ে চরম হতাশা ও অনিশ্চয়তার মধ্যদিয়ে চাকরি করছেন।
১৫ বছর আাগে থেকে সিনিয়রটি দেয়া এই ৬ প্রকৌশলী হলো নির্বাহী প্রকৌশলী জাকারিয়া, সুভাশিষ বড়–য়া, সহকারি প্রকৌশলী আছালত হোসেন খান, শাহিনুর আলম, আয়েশা হক, সফিকুল আলম।
রাষ্ট্রপতির মনজুরি আদেশে এই ৬ প্রকৌশলীকে ১৯৯৬ সালে ব্রোর্ডিং ব্রীজ প্রকল্পে চাকরি দেয়া হয়। ২০১০ সালে প্রকল্প মেয়াদ শেষ হয়, ওদের চাকরিও শেষ হয়। ২০১১ সালে আবার ওই ৬ প্রকৌশলীকে নবনিয়োগ দেয়া হয়। ২০১১ সালে ৫ মন্ত্রণালয়ের হাতঘুরে ওদের চাকরি রাজস্ব খাতে ন্যস্ত করা হয়। সেই থেকে ওরা রাজস্ব খাতে। কিন্ত সিনিয়রটি দেয়া হয়েছে ১৯৯৬ সাল থেকে।
এ নিয়ে সিভিল এভিয়েশনে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। মন্ত্রণালয় বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
মন্ডল-সেলিমের জেষ্ঠতা জালিয়াতি : আবার রাজস্ব খাতে সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত দুই উপসহকারি প্রকৌশলীর ইএম সিনিয়রটি জালিয়াতির অভিযোগ ওঠেছে। এরা হচ্ছে উপসহকারি প্রকৌশলী ইএম শহিদুল ইসলাম মন্ডল এবং মাহমুদ হাসান সেলিম। ৪/২ দিন আগে চাকরিতে যোগদান করলেও প্রকৌশলী সেলিমকে মন্ডলের জুনিয়র করে সিনিয়রটির তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রকৌশলী সেলিমের চাকরিতে প্রথম যোগদানের তারিখ ১৪-০৬-২০০১ এবং ১৬-০৬-২০০১ খ্রি: প্রণয়ন করা হয়েছে-যা সিএএবির সংশ্লিষ্ট ফাইলে দৃশ্যমান। আর মন্ডলের প্রথম যোগদানের তারিখ ১৮-০৬-২০০১ খ্রি:। প্রকৌশলী মন্ডল আবার কক্সবাজার বিমানবন্দরে জেনারেটর দুর্নীতি মামলার আসামি।
২ সহকারি প্রকৌশলীর পদ খালি : এ সব জটিলতায় সহকারি প্রকৌশলীর (ইএম) দুটি পদ খালি হলেও কাউকে পদায়ন করছে না সিএএবি কর্তৃপক্ষ। গত ২৭ নভেম্বরের ডিপিসি কমিটির বৈঠকেও সদস্যরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
আবুবকরকে ৩ বার নিয়োগ : প্রকৌশলী আবুবকর সিদ্দিককে ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৮ সালে উপসহকারি প্রকৌশলী ইএম পদে নিয়োগ দেয় সিএএবি। প্রকল্প শেষে তার চাকরি শেষ হয়ে যায়। পরে তাকে আবার ২৫-০৯-১৯৯১ সালে ইলেকট্রিশিয়ান পদে নিয়োগ দেয়া হয়।০৬-০৪- ১৯৯৭ সালে আবার তাকে উপসহকারি প্রকৌশলী ইএম পদে চাকরি দেয় সিএএবি। কিন্ত তাকেও সিনিয়রটি দিয়ে সহকারি প্রকৌশলী চলতি দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তাকে এ পদে স্থায়ী না করায় এবং জুনিয়র প্রকৌশলী এনামুল কবীরকে সহকারি পকৌশলী পদে পদোন্নতি দেয়ায় প্রকৌশলী আবুবকর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট ও কোর্ট কন্টটেম্প মামলা দায়ের করেছেন।
তার ব্যাপারে জন প্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে দ্বিমত পোষণ করে সিএএবির চেয়ারম্যানকে দাপ্তরিক চিঠি দেয়া হয়েছে। কিন্ত সিএএবি কর্তৃপক্ষ তা আমলে না নিয়ে সংস্থার আইন কর্মকর্তা তার চাকরির বৈধতার ক্ষেত্রে নাতিদীর্ঘ এক নোট ফাইলিং করেছে।
এ ব্যাপারে প্রকৌশলী আবুবকর সিদ্দিক জানান, আমার চাকরির ক্ষেত্রে চাকরিতে নবনিয়োগ গণ্য হবে না। কারন আমার চাকরি সরাসরি রাজস্ব খাতে। আর আদালতের আদেশ কর্তৃপক্ষ না মানায় আমি কোর্ট কন্টটেম্প মামলা করেছি।
এ দিকে সহকারি প্রকৌশলী ইএম শাহিনুর আলম জানান, ১৯৯৬ সালের জেষ্ঠতা আর চাকরিতে নবনিয়োগ ২০১১ সালে- এ ক্ষেত্রে ৬ জনের যা হবে আমারও তাই হবে।
২৫ বছরে ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন চাকরি পান শাহিনুর আলম। তার চাকরির বয়স ২৩ বছর আর চাকরিতে নবনিয়োগ পান ২০১১ সালে। সে ক্ষেত্রে চাকরির বয়স ৮ বছর। তার চাকরির বয়স কোনটি কাউন্ট হবে ২৩ বছর না ৮ বছর ?

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।