শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০১:০৫ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
সিভিল এভিয়েশন : অবশেষে উচ্চ আদালতের তলবি নোটিশের জবাব দিল সিএএবি

স্টাফ রিপোর্টার : সিভিল এভিয়েশনের ইএম বিভাগে কর্মরত দুই তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ইএম জাকারিয়া এবং সুবাশিষ বড়–য়ার পদোন্নতি কেন অবৈধ হবে না- সংক্রান্ত রিট পিটিশন মামলার( মামলা নং-৪৭৭৪/২০২১) তলবি নোটিশের জবাব উচ্চ আদালতে দাখিল করেছে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ।গত ২১-০৭-২১ তারিখে জবাব দেবার নির্ধারিত তারিখের পরে এ জবাব প্রদান করা হয়। আইন কর্মকর্তৃা হাফিজুর রহমান সিএএবির পক্ষে জবাব দাখিল করেন বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য, বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল মালেককে গত ২০.০৫.২০ ইং তারিখে তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পদ থেকে প্রধান প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। যার স্মারক নং-সিএএবি প্রশাসন-১/পদোন্নতি/৩-৩৪/২০১৬-৯৮১৩ , তাং-২০.০৫.২০২০ ইং।
এর প্রায় পর ১ বছর তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পদ ৃ খালি থাকার পর গত ১৮.০৫.২১ তারিখে এদেরকে ( জাকারিয়া ও সুভাশিষ বড়–য়া) এ পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। সিএএবির আদেশনং-৩০.৩১.০০০০.২০১.০২.০০৭.২১.৯৩৫১, তাং ১৮.০৫.২১ ইং।
ইতিপূর্বেও জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরবর্তীতে দুদক চেয়ারম্যান এবং বর্তমানে দুদকে চাকরির মেয়াদ শেষ ইকবাল মাহমুদ কর্তৃক স্বাক্ষরিত আদেশকে থোরাইকেয়ার করে ব্রোর্ডিং ব্রীজ প্রকল্পের সহকারি প্রকৌশলী জাকারিয়া, সুভাশিষ বড়–য়াসহ ৬ জন প্রকৌশলীকে ভুতাপেক্ষ তারিখ অর্থাৎ ১৯৯৬ সাল থেকে সিনিয়রটি দেয়া হয়। অথচ জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আদেশ মোতাবেক এদের সিনিয়রটি কাউন্ট হবে ২০১০ সাল থেকে। এ প্র্িরক্রয়ায় ৭ বছরের জায়গায় মাত্র ১ মাসের মধ্যে সহকারি প্রকৌশলী ইএম পদ থেকে পদোন্নতি দিয়ে জাকারিয়া এবং বড়–য়াকে নির্বাহি প্রকৌশলী করা হয়। জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং-০৫.১৭০.০২২.১৪.০০.১১১.২০১০.৩১০, তাং ১১.০৮.২০১০ইং।এ প্রক্রিয়ার সরকারের প্রায় ৩ কোটি টাক ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। এ নিয়ে সংস্থার চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ করার পর তা ধামাচাপা পড়ে যায়।
এ দিকে দুর্নীতির অভিযোগে দুই প্রকৌশলী জাকারিয়া, বড়–য়াকে দুদকের উপপরিচালক মাহফুজা আক্তার স্বাক্ষরিত দুদকের তলবি দাপ্তরিক চিঠি জারি করে তলব করা হয়। যার স্মারক নং-০০.০০১০০০০-৫০৩.২৬০১৬২.১৯-১৭৭৫৬, তারিখ ০২.০৫.২০১৯ ইং।
অন্য দিকে দুদকের মামলার আসামি,(মামলার চুড়ান্ত রায় এখনও হয়নি) সিনিয়র প্রকৌশলী মিহির চাদ দেকে ১ বছর তত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর পদ খালি থাকার পরও পদোন্নতি দেয়া হয়নি বলে মিহির চাদ দে জানান। তিনি জানান ২০১৮ সালের সরকারি চাকরির বিধি অনুসারে দুদকের মামলার আসামি হলেও দুর্নীতি প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ মামলার চুড়ান রায় না হওয়া পর্যন্ত ডিপার্টমেন্টে কর্তৃক শাস্তি আরোপ করা বা পদোন্নতি বন্ঞিত করার বিধান বা সুযোগ নাই। মিহির চাদ দে দাবি করেন আমাকে অন্যায়ভাবে ডিপার্টমেন্ট শাস্তি আরোপ করেছে, পদোন্নতি বন্ঞিত করা হয়েছে। এ জন্য আমি উচ্চ আদালতে আমার অধিকার আদায়ের জন্য রিট পিটিশণ মামলা দাখিল করেছি।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।