শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
সিভিল এভিয়েশন : অবৈধ পদোন্নতি : পদে যারা আছেন তাদেরকে বসিয়ে বসিয়ে বেতন দেয়া হচ্ছে !

বিশেষ সংবাদদাতা : বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন অথরীটিতে প্রকৌশল বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হচ্ছে – দুদকের তদন্ত ও অনুসন্ধ্যানেও বের হয়ে এসেছে। দুদক একডজন প্রকৌশলী ও কয়েকদফায় প্রায় অর্ধশত ঠিকাদারকে দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তলব করেছে। গত রোবার ইএম-১ বিভাগের প্রকৌশলী আছির উদ্দিনকে আড়াই কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতারও করেছে। তিনি এখন জেলে আছেন। এই ইএম বিভঅগে টেন্ডাওে ‘ সিমিলিয়ার’ শব্দ জুড়ে দিয়ে একই ঠিকাদার সংশ্লিষ্ট ওই কাজের দক্ষতা থাকার দোহাই দিয়ে সর্বনি¤œ দরদাতাকে কার্যাদেশ না দিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতাকে কার্যাদেশ দেয়ায় সরকারের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। এ ছাড়া এলটিএম পদ্বতিতে ঠিকাদারি কাজের কার্যাদেশ দেয়ার সরকারের কয়েক শত কোটি টাকার লোকসানের বিষয়টি বিমান মন্ত্রণালয় তদন্ত করছে।
এরই মধ্যে দুদকের জালে ধরা পড়ার পর ইএম-১ পদটি খালি হয়েছে। ওই পদের বিপরীতে প্রকৌশলীও রয়েছেন। কিন্ত সংশ্লিষ্ট ওই প্রকৌশলীকে ওই পদে ( ইএম-১) না বসিয়ে ইএম বিভাগে কর্মরত একজন সহকারি প্রকৌশলী মামুনকে অবৈধভাবে ইএম-১ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। অথচ ওই পদে যারা আছেন তাদেরকে বছরের পর বছর বসিয়ে বসিয়ে বেতন-ভাতা দেয়া হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দুদকের হাতে ইএম-১- ্এর নির্বাহী পকৌশলী আছির উদ্দিন গ্রেফতার হওয়ার পর পদটি খালি হয়। ওই পদেও বিপরীতে নির্বাহী প্রকৌশলীও আছেন, তাকে বসিয়ে বসিয়ে বেতন দিচ্ছে সিভিল এভিয়েশন। সিএটিসিতে কর্মরত ওই প্রকৌশলীর মূলত ওখানে কোন কাজ নেই। প্রশ্ন ওঠেছে- সিভিল এভিয়েশনের টাকা কি এতোই বেশি যে, কর্মহীন পদে একজন নির্বাহী প্রকৌশলীকে বসিয়ে বসিয়ে বেতন দেয়া হচ্ছে। অথচ ইএম-১ পদে নির্বাহী প্রকৌশলীর পদ খালি হওয়ার বসিয়ে বসিয়ে বেতন দেয়া সংশ্লিষ্ট ওই নির্বাহী প্রকৌশলীকে ওই পদে না বসিয়ে একজন অদক্ষ, অযোগ্য একজন জুনিয়র সহকারি প্রকৌশলী মামুনকে অবৈধভাবে ইএম-১ –এর নির্বাহী প্রকৌশলী পদে বসানো হয়েছে। তাহলে ওই পদেও নির্বাহী প্রকৌশলীকে কেন বসিয়ে রাখা হয়েছে ?
সূত্র জানায়, জুনিয়র অযোগ্য, অদক্ষ সহকারি প্রকৌশলী মামুনকে নির্বাহী প্রকৌশলী এ্যাক্টিং পদে বসানোর ওই নাটকটি করা হয় পরিচালক প্রশাসন বিদেশে অবস্থানকালে। আইন কর্মকর্তা বদলির ওই আদেশে ব্যাকডেটে সই করেছেন। গত ১৯ ডিসেম্বও মংগলবার এ্ই বদলির বিষয়টি প্রকাশ করা হয়। অথচ আইন কর্মকর্তা বদলির ওই দাপ্তরিক চিঠিতে সই করেন ১৪ ডিসেম্বর। কারন হিসেবে সূত্রটি জানায়, পরিচালক প্রসাশন ছুটিতে না থাকলে ওই অবৈধ পদোন্নতির দাপ্তরিক চিঠিতে হয়তো সই করতেন না। সেই সুযোগে আইন কর্মকর্তাকে দিয়ে সই করিয়ে নেয়া হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, ইএম-১ এর পদে নির্বাহী প্রকৌশলী পদে লোক থাকা সত্বেও জুনিয়র একজন সহকারি প্রকৌশলীকে এ্যাক্টিং ভাবে পদোন্নতির এই প্রক্রিয়ায় কয়েক লাখ টাকার ঘুষ লেন-ধেন হয়েছে। আর অবৈধভাবে এই পদোন্নতির প্রক্রিয়ার সাথে ইএম বিভাগের তত্ববধায়ক প্রকৌশলীর সুপারিশ রয়েছে। কারন তার বিভাগে তিনি সুপারিশ না করলে এই অবৈধ পদোন্নতির বিষয়টি হতো না বলে অনেকে জানান।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।