সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
সিভিল এভিয়েশন : হয়নি এখনও ঠিকাদারি কাজের ওয়াকার্র্সপ্লান : ফুসে ওঠছে ঠিকাদাররা : সিদ্বান্তহীনতায় ফাইল পড়ে আছে মেম্বার অপসের দপ্তরে!

বিশেষ সংবাদদাতা : বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন কম্ভুকর্ন’র মতো। গত ৬ মাসেও ঠিকাদারি কাজের ওয়ার্কপ্লান করা হয়নি। ওয়াকার্স প্লানের ফাইল মেম্বার অপসের দপ্তরে মুখথুবড়ে পড়ে আছে বলে ঠিকাদাররা জানান। এ দিকে সিএএবির দপ্তর নির্মাণ কাজ ৯ বছরেও কাজ শেষে কর্তৃৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেয়া হয়নি। এ নিয়ে মন্ত্রণলায় জবাব চেয়ে এবার তদন্তে নেমেছে। সিডি – -১ এর শাহজালাল এয়ারপোর্টের ফলস সিলিংসহ বড় বড় কাজ একনেকে যাচ্ছে বলে ঠিকাদাররা বলে বেড়াচ্ছেন।
গত জুন মাসে ওয়ার্কপ্লান তৈরি করা হলেও তা সংস্থার চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের স্বাক্ষরের অপেক্ষায় পড়ে আছে গত প্রায় ৬ মাস যাবত। এটা কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা কিনা- তাতে নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন ঠিকাদাররা, ফলে জরুরি অপারেশনমুরক কাজেও অনীহা দেখা দিয়েছে। ফলে বিভিন্ন বিমানবন্দরে রানওয়ের বাতি ন্ষ্ট হলেও তা জরুরি অপারেশনমুলক কাজের আওতায় কাজ করেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারার কাজের ইস্টিমেট, টেন্ডার করে ফাইনাল বিল পেতে বছরের পর বছর লেগে যাচ্ছে। ফলে জরুরি অপারেমনমুলক কাজেও ঠিকাদাররা অনীহা প্রকাশ করছেণ। এর ফলে যে কোন সময় অন্ধকার নেমে আসতে পারে দেশের প্রধান বিমানবন্দর শাহজালালসহ অন্যান্য বিমানবন্দরে-এমন আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা। সংি শ্লষ্ট ঠিকাদাররা নিজের পকেটের টাকা খরচ করে বিভিন্ন বিমানবন্দরে জরুরি অপারেশনমুলক কাজ করলেও তা ওয়াকার্সপ্লানের আওতাভুক্ত না হওয়ায় বছরের পর বছর বিল পাচ্ছে না বলে ঠিকাদাররা এমন অভিযোগও করছেন। জাতির জনকের নামে বিল বোর্ডের কাজ করেও বিল পেতে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার জানান।
খোজখবর নিয়ে জানা গেছে, গত অর্থবছর শেষ হয়েছে জুন মাসে। চলতি অর্থবছরের ৬ মাস হতে চলছে। কিন্ত এখনও ঠিকাদারি কাজের ওয়াকার্সপ্লান হয়নি। ফলে ঠিকাদারি কাজে স্থবিরতা নেমে এসেছে। সিএএবির চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরের অপেক্ষায় মুখথুবড়ে পড়ে আছে ওয়াকার্সপ্লান। ঠিকাদাররা প্রশ্ন তুলছেন- কবে ওয়াার্র্সপ্লান পাস হবে, কবে কাজের ইস্টিমেট হবে, কবে কাজ শুরু হবে। তারা জানান, এক একটি ঠিকাদারি কাজ সম্পন্ন হতে প্রায় ১০০ স্বাক্ষর লাগে। সে ক্ষেত্রে একটি ঠিকাদারি কাজ শেষ করে ফাইনাল বিল পেতে ২ বছর লেগে যায়, কোন কোন কাজের ক্ষেত্রে কাজ সম্পন্ন হওয়ার পরও ফান্ডের টাকা শেষ হয়ে যাবার কারণে বিল পেতে ২/৩ বছরও লেগে যায়। এমত্স্থাতায় চলতি অর্থবছরের প্রায় ৬ মাস অতিবাহিত হতে চললেও সিএএবিতে ঠিকাদারি কাজের ওয়াার্র্সপ্লান না হওয়ায় কাজে স্থবিরতা নেমে এসেছে।
সূত্রমতে অন্যান্য অর্থবছরে ওয়াকার্সপ্লান পাস হবার আগেও সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রকৌশলীরা কাজের ইস্টিমেট বিতরণ করতো, পরে তা ওয়াকার্সপ্লানের অন্তর্ভুক্ত করা হতো। কিন্ত এ অর্থবছরে তা ঘোষণা দিয়ে মানা করা হয়েছে। ফলে প্রকৌশলীরা অগ্রীম কাজের ইস্টিমেট বিতরণ করতে পারছে না।
গত ৬ মাসেও ঠিকাদারি কাজের ওয়াকার্সপ্লান পাস না হওয়ায় ৫ শতাধিক ঠিকাদার ক্ষুব্ধ। তারা প্রতিদিন অফিসে আসছেন আর ওয়াকার্সপ্লান পাসের খোজখবর নিচ্ছেন। কিন্ত ওয়াকার্সপ্লান পাস না হওয়ায় তারা হতাশ। তবে ঠিকাদাররা ফুসে উঠছেন।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।