বিশেষ সংবাদদাতা : জামালপুর জেলার ইসলামপুর থানার হত্যা মামলার ১০ নম্বর এফআইআরভুক্ত আসামি, হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে ৪ হাজার ডলার পাচারের অভিযোগে হাতেনাতে গ্রেফতার, বিচারে তিনবছরের জেল জরিমানা, বর্তমানে জামিনে। নাম তার আতাউর রহমান, পিতার নাম- আবুল কাসেম, সাং- কাছিমারচর, ডাকঘর-বোয়ালিরচর, থানা-ইসলামপুর, জেলা-জামালপুর। বিমানের ট্রাফিক হেলপার হিসেবে চাকরি করার সুবাধে শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে ৪ হাজার ডলার পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে অন্তরীন হওয়ায় বিমান কর্তৃপক্ষ তাকে চাকরিচ্যুত করে।
সিভিল এভিয়েশনের নিরাপত্তা অপারেটর পদে চাকরির আবেদন করে। গত ৯ নভেম্বর লিখিত পরীক্ষায় আতাউর উত্তীর্ণ হয়েছে। তার ক্রমিন নম্বর-২৪, পরিক্ষার রোল নম্বর-১০৩০২। ১৬ নভেম্বর শুক্রবার তাকে ভাইভা পরিক্ষার জন্য ডেকেছে সিএএবির নিয়োগ কমিটি।
জামালপুর জেলার ইসলামপুর থানায় আতাউর রহমানের নামে হত্যা মামলা নম্বর- ১৫(২০১৭) । মামলার বাদি ওসমান গনি।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় হত্যা মামলার বাদি ওসমান গনির সাথে। তিনি জানান, আমার ভাইকে হত্যার অভিয়োগে আতাউরকে হুকুমের আসামি হিসেবে মামলার এফআইআরে ১০ নম্বর আসামি করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইসলামপুর থানার এসআই লুৎফর রহমান মামলার চার্জশীট থেকে আতাউরের নাম বাদ দিয়ে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। তিনি জানান, এককালের দিনমজুর আতাউর নদী থেকে মাছ ধরে তা বাজারে মাছ বেচে, দিনমুজুরি করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতো। বিমানের ট্রাফিক হেলপার পদে চাকরি করার সুবাধে সে রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে যায়। বর্তমানে আতাউর ১ শ’ কোটি টাকার মালিক। দুদকে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। দুদক তা আমলে নিয়ে তদন্ত করছে।