শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৮:০২ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
ধানের শীষ প্রতীকে লড়তে চান ৫ সাংবাদিক নেতা

ডেক্স রিপোর্ট : ধানের শীষ প্রতীকে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে লড়তে চান ৫ সাংবাদিক নেতা। দীর্ঘদিন ধরে তারা জাতীয়তাবাদী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। প্রস্তুতি নিয়েছেন নির্বাচনে অংশগ্রহণের। বিগত প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনেই ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছেন কয়েকজন বিশিষ্ট পেশাজীবী। তবে তাদের বেশিরভাগই ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সামরিক-বেসামরিক আমলা, আইনজীবী, চিকিৎসক ও প্রকৌশলী। একাদশ জাতীয় নির্বাচনে যেসব পেশাজীবী মনোনয়ন পেতে পারেন বল গুঞ্জন রয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন কয়েকজন সাংবাদিক নেতা।
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের গত ১২ই অনুষ্ঠিত সভায় গৃহিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আন্দোলন সংগ্রামে বলিষ্ঠ ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বিএনপির মনোনয়ন চেয়ে পেশাজীবী নেতাদের একটি তালিকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের কাছে পাঠানো হয়েছিল। সে চিঠিতে শওকত মাহমুদ, রুহুল আমিন গাজী, এম আবদুল্লাহ ও কাদের গনি চৌধুরীর নাম রয়েছে।

জাতীয় প্রেস ক্লাব ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ এক দশক আগেই বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়েছেন।

২০০৯ সালের পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলে তিনি নির্বাচিত হন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা। রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার পর দলের প্রতিটি কর্মসূচি ও আন্দোলন সংগ্রামে তার ভূমিকা ছিল সক্রিয়। সরকারি কর্মকা- ও ক্ষমতাসীন দলের সমালোচনা করার অপরাধে অর্ধশতাধিকের বেশি মামলার শিকার হয়েছেন তিনি। বারবার গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করেছেন মাসের পর মাস। রাজনীতিতে যোগ দেয়ার পর থেকেই তিনি প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন নির্বাচনের। বর্তমানে দলের ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ একাদশ জাতীয় নির্বাচনে কুমিল্লা-৫ আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ভোটের মাঠেও শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা ও পূর্বপাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচিত স্বতন্ত্র সদস্য মেজর আবদুল গনির (টাইগার গনি) ভাগনে শওকত মাহমুদ। অবশ্যই তার পিতা প্রয়াত অ্যাডভোকেট আবদুল আজিজও একবার জাতীয় নির্বাচনে লড়েছিলেন।

ছাত্রজীবন থেকেই জাতীয়তাবাদী রাজনীতি করে আসছেন ডিইউজের সভাপতি ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী। দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় রাজনীতি করলেও ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত দলের ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে তিনি দলের কেন্দ্রীয় সহ তথ্য ও গবেষনা সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন। কয়েক বছর ধরেই তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দ্রুত সময়েই জায়গা করে নিয়েছেন দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মনে। প্রতি সপ্তাহে গ্রামে ছুটে গিয়ে গ্রামে গ্রামে সাংগঠনিক সভা ও মিছিল মিটিং করে চাঙ্গা করেছেন স্থানীয় কর্মী-সমর্থকদের। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। চট্টগ্রাম-২ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে লড়ার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন কাদের গনি চৌধুরী।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি রুহুল আমিন গাজী ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে লড়তে চান। তিনি দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন চাঁদপুর-৩ আসনে। মুক্তিযোদ্ধা এই সাংবাদিক নেতাও দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) মহাসচিব ও বন্ধ থাকা দৈনিক আমার দেশ-এর নগর সম্পাদক এম আবদুল্লাহ নির্বাচনে লড়তে চান ফেনী-৩ আসনে। সোনাগাজীর আহম্মদপুরের সন্তান এম আবদুল্লাহ ধানের শীষ প্রতীক পেতে বিএনপির মনোনয়নপত্র সংগ্রহ এবং জমা দিয়েছেন। ছাত্রজীবনে তিনি ছাত্রদল ও পরবর্তীতে যুবদলের রাজনীতি করেছেন। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সক্রিয়ভাবে ভূমিকা পালন করেছেন এরশাদবিরোধী আন্দোলনে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আন্দোলন-সংগ্রামের সময় সারাদেশে দায়েরকৃত ২৮ মামলায় আসামী তিনি। সোনাগাজীর বিএনপি ও অঙ্গদলের নেতাকর্মীদের অনুরোধে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন তিনি।
নওগাঁ-৬ আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়তে চান সাংবাদিক মামুন চৌধুরী (মামুন স্টালিন)। মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মেয়ের ঘরের নাতি মামুন স্টালিন ছাত্রজীবনে ছাত্রদলের ঢাকা মহানগর সহ সভাপতি ছিলেন। তার পিতা চৌধুরী মোতাহের হোসেন ১৯৭৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে তৎকালীন ডেপুটি স্পিকার বায়তুল্লাহকে হারিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে চৌধুরী মোতাহেরকে প্রথমে মনোনয়ন দেয়া হলেও পরে তা পরিবর্তন করা হয়। তার মৃত্যুর পর ভোটের মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন মামুন স্টালিন। বিগত কয়েক বছর ধরে নিয়মিত এলাকায় গিয়ে মানুষের সুখে-দুখে পাশে দাঁড়াচ্ছেন। দলীয় মনোনয়ন পেলে প্রত্যেকেই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।