রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১০:০৮ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
শিকদার গ্রুপের অনিয়ম ও দুর্নীতি-৩ এবার অগ্রনী ব্যাংকের এমডিকে গুলশানের শিকদার ডেরায় বিশেষ আমন্ত্রণ

একুশে বার্তা রিপোর্ট : শিকদার গ্রুপের অনিয়ম, দুর্নীতি নিয়ে একুশ শতকের কাগজ ‘ একুশে বার্তা’য় ধারাবাহিক প্রতিবেদ প্রকাশের পর প্রশাসনের কিছুটা হলেও টনক নড়েছে। নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। কিন্ত বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত ব্যাংকের দুর্নীতি আসক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা এমডিরা গুলশানের শিকদার ডেরা ছাড়তে পারছেন না। শিকদার ডেরায় এমডিদের সুরা- সাকি দিয়ে বিশেষ আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। জনতা ব্যাংকের এমডির পর এবার অগ্রণী ব্যাংকের এমডি ঘন ঘন গুলশানের শিকদার ডেরায় যাতায়াত করছেন। রাতের নীরবতায় সুরা-সাকির আসরে এমডি সাহেব বুদ হয়ে যান।
খোজখবর নিয়ে জানা গেছে, গত ৮ নভেম্বরও অগ্রণী ব্যাংকের এমডি গুলশানের শিকদার ডেরায় বিশেষ আমন্ত্রিত হয়ে যান। তাকে সেখানে বিশেষ আপ্যায়ন করা হয়। ভারত থেকে পুরনো প্লেন কেনার নামে শত কোটি টাকার ঋণ নেয়-দেয়ার রফাদফা করা হয়। অগ্রণী ব্যাংকের এমডিকে শিকদার গ্রুপ নিয়ন্ত্রিত ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডি করার অফারও দেয়া হয়।
সূত্র জানায়, অগ্রণী ব্যাংকের ঋণে ভারত থেকে পুরনো প্লেন কেনার সমস্ত আয়োজন অগ্রণী ব্যাংক এমডি সুসম্পন্ন করার প্রক্রিয়া শেষ করে আনলেও বাধ সেধেছে সিভিল এভিয়েশন অথরীটির ফ্লাইট সেফটি বিভাগ। উপ-পরিচালক প্রশান্তকে শান্ত করার জন্য মোটা অংকের ঘুষ দিলেও এনওসি দিচেছ না। আর তাই শিকদার গ্রুপ ও অগ্রণী ব্যাংকের এমডির পরস্পর যোগসাজশে ভুয়া প্রকল্পে বা একই প্রকল্প বার বার দেখিয়ে ঋণ নেয়ার ষোলকলা পূর্নতা পাচ্ছে না। সিভিল এভিয়েশন থেকে প্লেন কেনার এনওসি বা ছাড়পত্র অগ্রণী ব্যাংকে জমা দিলেই শত কোটি টাকার ঋণ ছাড়করন করে তা হুন্ডি আকারে বিদেশে পাচার করার কৌশল করছে বলেও সূত্র জানায়। বার বার বলা হচ্ছে , ‘বাবা প্রশান্ত কত টাকা ঘুষ দিলে তুমি হবে শান্ত’।
সূত্র জানায়, গত ১৪ নভেম্বর টিজি ফ্লাইটে শিকদার গ্রুপের কর্নধাররা হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরন করেন। অনুনমোদিতভাবে শাহজালালে ভিআইপি শিমুল ব্যবহার করায় সময় সেখানে শিকদারের ছেলে রিকু হক শিকদারকে মদ্যপ অবস্থায় গোয়েন্দা দেখতে পায়। মদ্যপ শিকদার গুণধর পুত্র রিকু হক ভিআইপিতে মাতলামি করতে থাকে। এ পবিবেশ শাহজালালে ভিআইপিতে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সবার নজর কাড়্।ে এ ব্যাপারে গোয়েন্দা রিপোর্ট হয়েছে বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, শিকদার গ্রুপের কর্নধাররা শাহজালাল বিমানবন্দরে চার কালার নিরাপত্তা ‘ডি’ পাস ব্যবহার করে অবাধে বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকায় যাতায়াত করছে। শাহজালালে বিভিন কি- পয়েন্টে শিকদার গ্রুপের কর্নধারার প্রবেশের সুযোগ পেয়ে স্মাগলিং করছে বলে গোয়েন্দা সংস্থা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। প্রশ্ন ওঠেছে সিএএবি কর্তৃপক্ষ কিভাবে শিকদার গ্রুপের কর্নধারদের শাহজালালে প্রবেশের জন্য চার কালার নিরাপত্তা পাস দিলো?

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।