শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৫:১০ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
আশকোনা হজ ক্যাম্প : দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কেরানি সোহিলসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ : সুৃহিলকে ধর্ম মন্ত্রণণালয়ে সংযুক্ত : প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ দুদকে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ : পার পেয়ে যাচ্ছেন সহকারি হজ অফিসার মালেক

বিশেষ সংবাদদাতা : আশকোনা হজ ক্যাম্পে কর্মরত দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত কেরানি সুহিল মোহাম্মদ ফেরদৌস, তার আপন শ্যালক কেরানি দীন মোহাম্মদ এবং সহকারি হজ অফিসার আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন গত সপ্তাহে ধর্ম সচিব বরাবর উপস্থাপন করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তদন্ত কর্মকর্তা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (উন্নয়ন) মো. সাখাওয়াত হোসেন ‘একুশে বার্তা’কে জানান, ওদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
সচিব বরাবর দুর্নীবিাজদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর তা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারি সচিব আব্দুল্লাহ আরিফ মোহাম্মদকে মার্ক করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারি সচিব আব্দুল্লাহ আরিফ মোহাম্মদ ‘একুশে বার্তা’কে জানান, দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত কেরানি সুহিলকে মন্ত্রণালয়ে ক্লোজ করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ দুদকে পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কেরানি সুহিলের আয় বহির্ভুত ৩ কোটি ১১ লাখ টাকার সন্ধান পান তদন্ত কর্মকর্তা। এ ব্যাপারে বিভিন্ন গোয়েন্দা প্রতিবেদনও তদন্ত কর্মকর্তা আমলে নেন।
একই অভিযোগে অন্য দুজন সুহিলের আপন শ্যালক কেরানি দীন মোহাম্মদ এবং সহকারি হজ অফিসার আব্দুল মালেকের ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি সিনিয়র সহকারি সচিব আরিফ ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, দুর্নীতির অভিযোগে কেরানি সুহিলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার সুপারিশ করা হলেও তার আপন শ্যালক এবং সহকারি হজ অফিসার আব্দুল মালেক পার পেয়ে যাচ্ছেন। সহকারি হজ অফিসার আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে দুনীতির অভিযোগ আমলে নেয়া হয়নি বলে বলাবলি করা হচ্ছে হজ অফিসের বিভিন্ন টেবিলে। বলা হচ্ছে হজ ক্যাম্প ডরমেটরি থেকে পিয়ন, কেরানি, মালি, চাপরাশি সবাই চলে গেলেও হজ অফিসার মালেক এখনও তার পরিবার নিয়ে হজ অফিসের ডরমেটরিতে বসবাস করছেন। যদিও তিনি প্রতিমাসে তার বেতন সিটে লিখে দিচ্ছেন আমি সরকারি বাসা ব্যবহার করি না। প্রকাশ্য এবং গোপনে তদন্ত করলেই সহকারি হজ অফিসার যে আশকোনা হজ ক্যাম্পের ডরমেটরিতে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন- এর সত্যতা পাওয়া যাবে। শুধু প্রধানমন্ত্রী প্রতিবছর যখন হজ কার্যক্রম উদ্ধোধন করেন ঠিক তখন তার পরিবার ১২ ঘন্টার জন্য হজ ক্যাম্প ছেড়ে চলে যান।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সহকারি হজ অফিসার আব্দুল মালেক ‘একুশে বার্তা’কে জানান, আমার জন্য আশকোনা হজ অফিসে ২৪ ঘন্টার জন্য একটি রুম বরাদ্দ করা হয়েছে। কিন্ত পরিবার নিয়ে হজ ক্যাম্পের ডরমেটরিতে বসবাসের অনুমোদন আছে কিনা- এ প্রশ্নের জবাব তিনি এড়িয়ে যান। ক্রমশ

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।