শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৩:৪১ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
শাহজালাল বিমানবন্দর ওয়েলফেয়ার পকেট কমিটি : পরিচালক ঘুপচি টেন্ডারে বড় আন্ডারডিলিংয়ে মিডিয়া সর্দারের কাছে পণ্য সরবরাহসহ ভাড়া দিয়েছে ‘কনক দোকান’

একুশে বার্তা রিপোর্ট : হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে কর্মচারীদের কল্যাণের নামে গড়ে তোলা ‘ওয়লফেয়ার কমিটি’র নামে মাসে কোটি টাকা লুটপাট বন্ধ করার কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। কমিটির কর্নধাররা মিডিয়ার মুখ বন্ধ করার জন্য এক মিডিয়া সর্দারকে আন্ডার ডিলিংয়ের মাধ্যমে ঘুপচি টেন্ডারে ‘কনক’ দোকানের পণ্য সরবরাহসহ ভাড়া দিয়েছেন ওয়েলফেয়ার কমিটির সভাপতি, পরিচালক শাহজালাল বিমানবন্দর। এ ব্যাপারে সিএএবি চেয়ারম্যানও কোন কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছেন না বলে কর্মচারিরা জানান।

কর্মচারীরা অভিযোগ করেছেন ৫ বছর ধরে এই সংগঠনের কোন কমিটি নেই, গঠনতন্ত্র নেই, অডিট নেই- এমনকি সংগঠনের কোন রেজিস্ট্রেশন পর্যন্ত নেই, ব্যাংকে কোন হিসাব খোলা হয়নি।। পদাধিকার বলে সংগঠনের সভাপতি শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিচালকের পকেট কমিটি দ্বারা এই সংগঠনটি দীর্ঘদিন যাবত চলছে। আর লুটপাট করা হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এর কোন দায়ও বর্তাচ্ছে না কার ওপর, কাউকে কোন জবাবদিহিতা করতে হচ্ছে না। দিব্যি হরিলুট চলছে।

কমিটির সাথে সম্পৃক্ত কর্মচারীদের সাথে আলাপচারিতায় জানা যায়, ২ বছর আগে কমিটি গঠনে তোরজোর শুরু হয়। এ লক্ষ্যে প্রত্যেক ইউনিট থেকে প্রতিনিধিরদের নামও জমা দেয়া হয়। কিন্ত প্রতিবারই দেখা গেছে রহস্যজনক কারণে তা ভেস্তে গেছে। এক পর্ায়ে

কর্মচারিদের আপত্তিরমুখে বিষয়টি সিএিএবির চেয়ারম্যান পর্যন্ত গড়ায়। কিন্ত এখন পর্যন্ত সেই কমিটি গঠন করা সম্ভব  হয়নি।
কাওলার বাজারে সিভিল এভিয়েশনের জায়গায় বিশাল ‘ওয়েলফেয়ার মার্কেট’ গড়ে তোলা হয়েছে। এই মার্কেট থেকে মাসে প্রায় ১ কোটি টাকা ভাড়া বাবদ আদায় করা হয়। সভাপতির পক্ষে এই ভাড়ার টাকা আদায় করেন পকেট কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন।
কোটি টাকা মেরে দেয়ার অপরাধে  শাহজালাল বিমানবন্দরে অবস্থিত ‘কনক’ নামে একটি দোকান বন্ধ করে দেয় সিএএবি কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে মামলাও নাকি চলমান। কিন্ত শাহজালালের এই ‘কনক দোকানটি’ পরিচালক শাহজালাল বিমানবন্দর কোন ওপেন টেন্ডার ছাড়াই ‘ঘুপচি টেন্ডারে’ ওয়েলফেয়ার কমিটির নামে এক মিডিয়া সর্দারকে ভাড়া দিয়েছে বলে জানা যায়। এনিয়ে বড় ধরনের আন্ডারহ্যান্ড ডিলিং হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। কে এই মিডিয়া মোগল এনিয়ে এখন গোটা বিমানবন্দর জুড়ে সোরগল। ওই মিডিয়া মোগলকে কিভাবে ভাড়া দেয়া হয়েছে এনিয়ে কোন বক্তব্য দিতে রাজী হননি পরিচালক বিমানবন্দর।
ইতিপূর্বে এই ওয়েলফেযার কমিটি বিভিন্ন ধর্মীয় পার্বণে দু:স্ত কর্মচারীদের সাহায্য-সহয়োগিতা করতো, কোরবানির ঈদে ২-৪টি গরু জবাই করে কর্মচারীদের মধ্যে গোশত বন্টন করা হতো, রোজার ঈদেও কর্মচারিদের পায়জামা-পানজাবি দেয়া হতো। কিন্ত এখন এ সবের বালাই নেই।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।