শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪:৩১ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
সিএএবি : সেই ৬ প্রকৌশলীর সিনিয়রটি জালিয়াতি , সচিবের আদেশ লংঘন : দুদকের চিঠি গায়েব হওয়ার পরও কর্তৃপক্ষ নিশ্চুপ!

বিশেষ সংবাদদাতা : বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশনের ইএম বিভাগে কর্মরত ৬ প্রকৌশলী সিনিয়রটি জালিয়াতি করে পার পেয়ে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন সচিবের আদেশকে থোরাইকেয়ার করা হয়েছে।আমলে নেয়া হয়নি অভিযোগের পর অভিযোগ, সুুিবচার না পেয়ে এ ক্ষোভে অনেকে চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন। ওই ৬ প্রকৌশলীকে সিনিয়রটি জালিয়াতি করে পদোন্নতিও দেয়া হয়েছে। আবারও পদোন্নতি দিয়ে তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী করার পায়তারা করা হচ্ছে। এ জালিয়াতির সাথে সিভিল এভিয়েশনের প্রশাসন জড়িত বলে অভিযোগ ওঠেছে।
অভিযুক্ত এই ৬ প্রকৌশলী হচ্ছেন : নির্বাহী প্রকৌশলী জাকারিয়া হোসেন, সুভাশিষ বড়–য়া, সহকারি প্রকৌশলী আছালত হোসেন খান, শাহিনুর আলম, সফিকুল আলম, আয়শা হক।
১৯৯৬ সালে এই ৬ প্রকৌশলীকে তৎকালিন জিয়া বিমানবন্দরের বোর্ডিংব্রীজ প্রকল্পে সিএএবির অর্গানোগ্রামের পদের বাইরে সৃষ্টপদে অস্থায়ীভাবে চাকরি দেয়া হয়। প্রকল্প শেষ চাকরি শেষ হওয়ার নিয়ম। কিন্ত ৫ মন্ত্রণালয়ে বহু দেনদরবার চিঠি চালাচালির পর ওই ৬ প্রকৌশলীর চাকরি শেষ হয়নি। ২০১০ সালে তাদের রাজস্ব খাতে নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্ত পুন: নিয়েগের ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আদেশ অমান্য করে ৩০-০৯-২০১২ ভুতাপেক্ষ তারিখ অর্থাৎ ১৯৯৬ সাল থেকে তাদেরকে সিনিয়রটি দেয়া হয়। অথচ জনপ্রশাসন সচিবের দাপ্তরিক চিঠিতে বলা হয়েছে,‘ বিধি ৪ এর উপবিধি (১)এর অধীনে কোন কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারিকে ভুতাপেক্ষ তারিখ হইতে নিয়মিত করণের কোন সুযোগ নেই।’
ভুতাপেক্ষ তারিখ হতে ৬ প্রকৌশলীকে সিনিয়রটি দেয়ায় সরাসরি রাজস্ব খাতে নিয়োগকৃত প্রকৌশলীদের সাথে সাংক্ষর্ষিক অবস্থা বিরাজ করছে। এ ক্ষেত্র সংস্থার প্রধান প্রকৌশলী কর্তৃক চেয়ারম্যান বরাবর গত ২৪-০৭-২০০৮ তারিখের দাপ্তরিক চিঠিও আমলে নেয়া হয়নি।
এ নিয়ে সিএএবির চেয়ারম্যান বরাবর কয়েকজন রাজস্ব খাতের প্রকৌশলী একাধিক অভিযোগ দায়ের করার পরও সিএএবি প্রশাসন ‘কম্ভুকর্ন”। চেয়ারম্যান দপ্তরে ওই অভিযোগগুলো যাবার আগেই প্রশাসন বিভাগ থেকে তা গায়েব করে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।
এ নিয়ে গণমাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশের দুদক বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য দাপ্তরিক তলবি চিঠি জারি করে। দায়িত্ব দেয়া হয় দুদকের উপপরিচালক মাহফুজাকে। কিন্ত সিএএবির সদর দ্প্তর থেকে দুদকের চিঠি গায়েব করে দেয়া হয়েছে।
এ দিকে সিনিয়রটি জালিয়াতি করে সহকারি প্রকৌশলী ইএম এনামুল হককে পদোন্নতি দেয়ায় আরেক প্রকৌশলী আাবুবকর সিদ্দিক ‘কোর্ট কনডেম্প’ মামলা করেছেন।
প্রকৌশলী এনামুল হক এবং তার আপন ভাই মাহমুদ হোসেন সেলিম জাল শিক্ষা সনদে চাকরি করছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। এ ব্যাপারে সিএএবির প্রশাসন বিভাগ থেকে যশোহর শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান বরাবর দাপ্তরিক চিঠি জারির পর আরেকটি ডুপ্লিকেড সনদ এনে জমা দিয়েছে প্রকৌশলী সেলিম। সনদ জালিয়াতির বিষয়টি সিআইডি এক্সপার্ট দিয়ে তদন্ত করলে আসল রহস্য বের হয়ে আসবে।
প্রকৌশলী সেলিম সিএএবির তৎকালিন সদস্য প্রশাসনকে ম্যানেজ গত ২৭ নভেম্বরের ডিপিসিতে পদোন্নতি নেয়ার পায়তারা করে। কিন্ত ডিপিসি কমিটির সদস্যদের আপত্তিরমুখে তা ভেস্তে গেছে। আবার ডিপিসি করে প্রকৌশলী সেলিম পদোন্নতি নেয়ার পায়তারা করছে।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।