ডেক্স রিপোর্ট : বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকায় ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৭৪ কিলোমিটার বেগে কালবৈশাখী বয়ে যায়।
ঝড়বৃষ্টির এ সময়ে ঢাকার মৎস্যভবন ও লিঙ্করোড এলাকায় রাস্তায় গাছ ভেঙে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা রাত ৯টার দিকে সেগুলো সরানো শুরু করে। তবে কোথাও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি।
জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, বৈশাখের শেষ সপ্তাহে দিনের যে কোনো সময়ে কালবৈশাখীসহ বৃষ্টির দাপট থাকছে। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে সন্ধ্যায় রাজশাহী, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ঝড়-বৃষ্টি ছিল।
তিনি জানান, রাজশাহীতে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ৫৬ কিলোমিটার/ঘণ্টা বেগে; সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় ৭৪ কিলোমিটার/ঘণ্টা বেগে এবং বিমানবন্দর এলাকায় ৬৪ কিলোমিটার/ঘণ্টা বেগে ঝড় বয়ে যায়।
শুক্রবারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু স্থানে এবং বরিশাল, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের দুয়েক জায়গায় বিজলী চমকানো এবং অস্থায়ী দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা : আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ জানান, মে মাসে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে এবং তার মধ্যে অন্তত একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
এই মাসে দেশের উত্তর থেকে মধ্যাঞ্চলে দুই-তিন দিন মাঝারি থেকে তীব্র কালবৈশাখী হতে পারে। অন্যত্র তিন-চার দিন হালকা থেকে মাঝারি বজ্রঝড় হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
এ মাসের দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি তীব্র তাপপ্রবাহ (৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে) বয়ে যেতে পারে। অন্যত্র দুয়েকটি মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
ভারী বর্ষণের কারণে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যারও শঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর।
বৈশাখ শুরুর আগেই গত ১২ এপ্রিল কালবৈশাখী দেখা দেয়। ২০ এপ্রিলের পর ঝড়বৃষ্টির প্রবণতা বাড়ে, ২৩ এপ্রিল বিকালে ঘনকালো মেঘে ঢাকা পড়ে রাজধানীর আকাশ। টানা দুই সপ্তাহ ধরে আবহাওয়ার এমন রূপ দেখা যায়।
এপ্রিল মাসে পশ্চিমা লঘুচাপের সঙ্গে বায়ুমণ্ডলের নিম্নস্তরে জলীয়বাষ্পের যোগান বেশি থাকায় বেশি বৃষ্টি হয়। তবে মাসের শুরুতে মৃদু তাপদাহ ছিল অনেক এলাকায়। এ সময় ৭ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় এবং ১০ এপ্রিল রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠছিল।