বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১০:২২ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
শিকদার গ্রুপের অনিয়ম ও দুর্নীতি- ১ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ দুদক চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দায়ের মানিলন্ডারিং, হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার !

একুশে বার্তা রিপোর্ট : শিকদার গ্রুপের বিরুদ্বে ভুয়া ডকুমেন্টে, একই জমি ও প্রকল্প বার বার দেখিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যাংক লোন নিয়ে তা মানিলন্ডারিং-এর মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত প্রতিবেদনে এ সব অনিয়ম ওঠে এসেছে। কিন্ত ডেপুটি গভর্নর এবং দুদকের এক উর্ধতন কর্মকর্তার সাথে শিকদার গ্রুপের কর্নধারদের বিশেষ সম্পর্ক থাকার কারণে মানিলন্ডারিং অভিযোগ আমলে নেয়া হচ্ছে না। দুদক শিকদার গ্রুপের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের তিনটি চুড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করলেও লাগাম টেনে ধরা হচ্ছে না। শিকদার মেডিকেল কলেজের নামে সমুদ্রগামি লাক্সারি বোট ক্রয়ের টাকা আমেরিকায় পাচার করা হয়েছে। ২০১৭ সাল শেষ হতে চললেও এখনও পর্যন্ত লাক্সারি বোটের দৃশ্যমান অস্তিত্ব খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। শিকদারের পুত্রদ্বয় গুলশানের বাসায় দেশি ও বিদেশি উচ্চমানের কলগাল ও বিদেশি মদ আফিম সরবরাহ করে তা সরকারের কতিপয় অসাধু উর্ধতন কর্মকর্তাদের মনোরনজনের মাধ্যমে তাদের কৃত আপরাধ ধামাচাপা দিচ্ছে। ব্যাংক থেকে ভুয়া প্রকল্পের নামে ভুয়া ডকুমেন্টে হাজার হাজার কোটি টাকার লোন নিয়ে তা বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে আর প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে কিছু টাকা ত্রাণ দিয়ে তার ফটোসেশন করে তা বাহবা নেয়ার জন্য গণ মাধ্যমে প্রচার করছে। আর এ প্রচার কাজ করছে পীর নামে এক ব্যক্তি। বর্তমানে শিকদার গ্রুপের কর্নধাররা প্রধানমন্ত্রীর কন্যার নামে রাজধানির রায়েরবাজারে একটি অটিস্টিক হাসপাতাল করার নামে ফন্দিফিকির করে ব্যাংক থেকে আবারো ১ হাজার কোটি টাকা লোন নিয়ে তা বিদেশে পাচার করার পায়তারা করছে। একজন ব্যবসায়ী শিকদার গ্রুপের এ সব অভিযোগ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, দুদক চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিতভাবে দায়ের করে ত্বরিতগতিতে তদন্ত করে শিকদার গ্রুপের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছেন।।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, শিকদার গ্রুপের চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীসহ ছেলে-মেয়ে ৪ জন পরিচালকের বিরুদ্বে ভুয়া প্রকল্পে বা একই প্রকল্প বার বার দেখিয়ে ভুয়া ও জাল কাগজপত্র ব্যাংকে মর্গেজ হিসেবে জমা রেখে শিকদার গ্রুপের নিয়ন্ত্রিত ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংকসহ রাষ্ট্রায়ত্ব ৮টি ব্যাংক থেকে ধাপে ধাপে কমপক্ষে ৭ হাজার কোটি টাকার লোন নিয়ে তা মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি তদন্ত প্রতিবেদনে ব্যাংকের দোষী কর্মকর্তাদের বিরুদ্বে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হলেও ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর- এর সাথে শিকদার গ্রুপের কর্নধারদের বিশেষ সম্পর্ক থাকার কারণে সংশ্লিষ্টরা পার পেয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়- দুর্নীতি দমন কমিশন ( দুদক) শিকদার গ্রুপের বিরুদ্বে মানিলন্ডরিংয়ের ব্যাপারে তিনটি চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করলেও এখনও মামলা করেনি, এ ক্ষেত্রে দুদক কম্ভুকর্ন। এখনও শিকদার গ্রুপের কর্নধারদের ফৌজধারি ধারার আইনে মামলায় গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়নি। শিকদার গ্রুপের এ সব অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে দেশের প্রথম শ্রেণীর একটি দৈনিকে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করায় শিকদার গ্রুপের পেটুয়া বাহিনীর সদস্যরা ওই রিপোর্টারকে শারিরীকভাবে লান্ঞিত করেছিল।
এ বিষয়ে জানতে শিকদার গ্রুপের পরিচালক রন হক শিকদারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ব্যাংক থেকে ভুয়া ডকুমেন্টে হাজার হাজার কোটি টাকা লোন নিয়ে তা মানিলন্ডারিং করে বিদেশে পাচার, প্রধানমন্ত্রীর মেয়ের নামে হাসপাতাল করার নামে ব্যাংক থেকে আরো ১ হাজার কোটি টাকা লোন নিয়ে তা মানিলন্ডারিং করার পায়তারা সব অভিযোগই মিথ্যা।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।