মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ১২:২৫ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা : আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন

ডেক্স রিপোর্ট : বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং বাকি ৬ জনকে খালাস দিয়েছেন।

মামলায় মোট ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত যুক্তিতর্ক শেষে এ রায় ঘোষণা করেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৩ আসামী হলেন: আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ ও আদনান সিদ্দিকী।

 

এর আগে গত ২৯ এপ্রিল ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য বৃহস্পতিবার (৯ মে) দিন ধার্য করেন।

মামলায় আসামী ছিলেন ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন, ফারুক আব্বাসী, আদনান সিদ্দিকী, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী।

১৭ ডিসেম্বর, ১৯৯৮ রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। সোহেল চৌধুরী নিহত হওয়ার পরপরই এই হত্যাকাণ্ডে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে।

মামলার অভিযোগ বলা হয়, হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর কথা-কাটাকাটি হয় এবং এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়। ঘটনার রাতে সোহেল তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করলে তাকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেয়া হয়। পরবর্তীতে রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করলে সোহেলকে লক্ষ্য করে ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান গুলি চালান।

৩০ জুলাই, ১৯৯৯ গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী মামলাটির তদন্ত শেষে নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। ৩০ অক্টোবর, ২০০১ ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দুই নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামি আদনান সিদ্দিকী ১৯ নভেম্বর, ২০০৩ হাইকোর্টে রিট করলে হাইকোর্ট ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০০৪ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন। বিচারপতি মো. রূহুল কুদ্দুস এবং বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর তৎকালীন ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি শেষে ০৫ অগাস্ট, ২০১৫ রুল নিষ্পত্তি করে রায় দেন। রায়ে রুলটি খারিজ করে দেয়া হয় এবং হাইকোর্টের দেয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।

সর্বশেষ গত ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২২ মামলার নথি বিচারিক আদালতে ফেরত এলে সাক্ষ্য গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করার উদ্যোগ নেন বিচারিক আদালত।

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।