মঙ্গলবার, ০২ Jul ২০২৪, ০৬:১৩ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
হজক্যাম্প-থার্ড টার্মিনাল আন্ডারপাস নির্মাণ কাজ: পুলিশ ম্যানেজে পুলিশের নাকের ডগায় হকারদের ফুটপাত দখল, যোগ দিচ্ছে সিএএবির শাহাদৎ বাহিনীর সদস্যরা, জন ভোগান্তি চরমে

ডেক্স রিপোর্ট : রাজধানীর আশকোনা হজক্যাম্প সড়কের পূর্বপাশ থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থার্ড টার্মিনাল পর্যন্ত আন্ডারপাস নির্মাণ কাজ চলছে। এ নির্মাণ কাজের নিরাপত্তার স্বার্থে সড়কের পূর্ব থেকে পশ্চিম পাশের বিমানবন্দর মহাসড়ক পর্যন্ত এক পাশের ফুটপাতসহ টিনের বেড়া দিয়ে বন্ধ রাখা হয়েছে রাস্তা।

অভিযোগ উঠেছে,  পুলিশের নাকের ডগায় আরেক পাশের ফুটপাত খোলা থাকলেও, তা দখল করে তাতে বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে ফুটপাত দখল করে রেখেছে হকাররা। এতে  যোগ দিচ্ছে সিএএবির শাহাদৎ বাহিনীর সদস্যরা। এতে করে ফুটপাত দিয়ে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। অর্থাৎ জন চলাচল চরম ভোগান্তিতে।

২৮ জুন  শুক্রবার সরেজমিন ঘুরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের ভোগান্তিসহ নানা দুর্ভোগের কথা। ভুক্তভোগী বাসিন্দাদের কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে সমকালকে জানান, ফুটপাত দখল করে শাহাদতের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা  সিভিল এভিয়েশনের কর্মচারী মার্কেটের কিছু দোকান মালিক ও স্থানীয় হকাররা-যারা শাহাদৎ বাহিনীর সদস্য তারা  বিভিন্ন পণ্যের পসরা নিয়ে বসার কারণে চরম ভোগন্তির শিকার হচ্ছেন। তারা বলেন, বিমানবন্দর থানার এক শ্রেণির পুলিশকে ম্যানেজ করে প্রতিনিয়ত ফুটপাত দখল করে তাতে বিভিন্ন ব্যবসা করছেন হকারসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী।

পুলিশের এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে ফুটপাত দখল করে তাতে ব্যবসা করছে বিভিন্ন হকারসহ ওই মার্কেটের কিছু দোকান মালিক। এ কারণে ফুটপাতে জনসাধারণের ভোগান্তির চিত্র দেখেও না দেখার মত ভান করছে টহল পুলিশ। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ জানায়, ফুটপাতে হকারদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত আছে।

এ ব্যপারে উত্তর ডিএনসিসির ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিছুর রহমান নাঈম সমকালকে জানান, রাজধানীর হজ ক্যাম্প থেকে বিমানবন্দর থার্ড টার্মিনাল পর্যন্ত অন্ডারপাস নির্মাণ কাজ চলছে। এতে নির্মাণ কাজের নিরাপত্তার স্বার্থে সড়কের পূর্ব ও পশ্চিম পাশ পর্যন্ত এক পাশের ফুটপাতসহ টিনের বেড়া দিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। মানুষের চলাচলের জন্য সড়কের অপর পাশের ফুটপাতটি খোলা থাকলেও সিভিল এভিয়েশন কর্মচারী মার্কেটের কিছু দোকান মালিক ফুটপাতে তেলের ড্রামসহ বিভিন্ন পণ্য সাজিয়ে রাখেন। এ ছাড়া বিভিন্ন হকার বিভিন্ন পণ্যের দোকান বসিয়ে ফুটপাতে জনসাধারণের চলাচলের বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে।

কাউন্সিলর নাঈম বলেন, এরইমধ্যে লোকজন নিয়ে অভিযান চালিয়ে ফুটপাত থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে বিভিন্ন দোকান মালিকের তেলের ড্রামসহ বিভিন্ন পণ্য। এলাকায় টহল পুলিশের জোরদার আরও বৃদ্ধি প্রয়োজন। তা না হলে ফুটপাতে চলাচলে ভোগান্তি থেকে রক্ষা পাবে না স্থানীয়রা।

এ ব্যপারে বিমানবন্দর থানার ওসি মোহাম্মদ ইয়াসির আরাফাত খান  দাবি করেন , ফুটপাতে হকারদের বিরুদ্ধে নিয়মিত উচ্ছেদ অভিযান চালায় পুলিশ। এ ছাড়া এলাকায় পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করছে টহল পুলিশ।

এলাকাবাসিরা জানান পুলিশ এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা এ সড়কে হকার- দোকানদার বসিয়ে রীতিমত চাদাবাজি করছে। ওসি সাফাই গাইলেও তার বাহিনীর সদস্যরা হকারদের থেকে চাদাবাজি করছে।এতে শুধু জন ভোগান্তিই চরমে নয়- হজ্ব ক্যাম্পের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।