শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০২:৫৪ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
মানবতাবিরোধী অপরাধীর আইনজীবী ছিলাম না :বৃটিশ আইনজীবী কারলাইল

একুশে বার্তা ডেক্স : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনি পরামর্শক ব্রিটিশ আইনজীবী লর্ড কারলাইল জানিয়েছেন, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ব্যক্তির আইনজীবী ছিলেন না। তবে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর পক্ষে বিবৃতি দিয়েছিলেন। গণমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানান।

কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে বাংলাদেশি মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের আইনজীবী হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা সত্যি নয়।

মীর কাসেম আলীর পক্ষে বিবৃতি প্রকাশের কারণ জানতে চাইলে ব্রিটিশ আইনজীবী সরাসরি উত্তর দেননি। তিনি বলেন, আমি এ বিচার প্রক্রিয়াকে ন্যায়সঙ্গত বা প্রচলিত বিচারিক প্রক্রিয়া অনুযায়ী যথাযথ বলিনি।

২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে এক বিবৃতিতে লর্ড কারলাইল পুরো বিচার প্রক্রিয়াকে ‘অসঙ্গত, পক্ষপাতদুষ্ট, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপমূলক ও প্রচলিত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ন্যায্য বিচারের মান অনুযায়ী হয়নি’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধী মীর কাসেম আলীর ফাঁসি স্থগিত করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছিলেন।

লর্ড কারলাইল হাউস অব লর্ডসের ক্রসবেঞ্চের একজন সদস্য। বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে তিনি নিয়মিত সেমিনার করে থাকেন। জামায়াতে ইসলামীকে আমন্ত্রণ জানানোয় এবং কারলাইলের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ না থাকার অভিযোগ তুলে ২০১৭ সালে তার আয়োজিত এক সেমিনারে অংশগ্রহণ করেনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে এই আইনজীবী বলেন, আওয়ামী লীগকে সেমিনারে অংশগ্রহণের জন্য স্বাগত জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেমিনারের মাত্র ৫ মিনিট আগে আমাকে জানানো হয় এতে তারা অংশগ্রহণ করবে না। সেমিনারের মূল বিষয় ছিল সব অংশগ্রহণকারীদের সমান ও উদ্দেশ্যমূলক মতবিনিময়। এ ক্ষেত্রে আমি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ছিলাম।

কারলাইল বলেছেন, আন্তর্জাতিক আইন ও ফৌজদারি আইন অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে আইনি পরামর্শ দেবেন তিনি।

ই-মেইলে খালেদা জিয়ার আইনজীবী হিসেবে নিযুক্ত হওয়া এবং আন্তর্জাতিক ও ফৌজদারি আইন অনুযায়ী তাকে সহায়তা দেওয়ার কথা জানিয়ে এই আইনজীবী বলেন, আমি আরও জানিয়ে রাখি, সম্প্রতি আমি কমনওয়েলথ হিউম্যান রাইটস ইনিশিয়েটিভের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েছি। বাংলাদেশের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ক্ষমতার বণ্টন নিয়ে এ সংস্থাটির গভীর আগ্রহ রয়েছে। আমি নিজেও এ বিষয়ে অনেক আগ্রহী।

এর আগে বাংলাদেশে আসার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন লর্ড কারলাইল। তিনি বলেন, আশা করছি দায়িত্ব পালন করতে আমি বাংলাদেশে আসব। সেখানে (বাংলাদেশ) এরই মধ্যে দুর্দান্ত একটি দল কাজ করছে। তাদের সঙ্গে আমিও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেব।

খালেদা জিয়ার মামলার কোনো নথি দেখেছেন কিনা, এমন প্রশ্নে কারলাইল বলেন, আমি নথিপত্র দেখেছি। আরও কিছু দেখব। আলামতের স্বল্পতা ও এটি সংগ্রহের প্রক্রিয়া নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন।

পরামর্শক হিসেবে তার আর্থিক লেনদেন বিষয়ে জানতে চাইলে এই ব্রিটিশ আইনজীবী বলেন, দায়িত্ব ও কাজের পরিধি অনুযায়ী অর্থ পাবেন তিনি। তবে এর পরিমাণ তিনি গোপন রাখতে চান।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।