অঅন্তর্জাতিক ডেক্স : যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমন্সে অর্ধশতাধিক ব্রিটিশ এমপির উপস্থিতিতে অনন্য মর্যাদায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪৭তম বার্ষিকী উদযাপন করলো যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ।
মঙ্গলবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের, হাউজ ওব কমন্সের ” দি টেরেস প্যাভিলিয়নে “বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণকারী ছিলেন জিম ফিজপেট্রিক এমপি।
উল্লেখ্য, ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এ জাতীয় অনুষ্ঠানে কোন সংসদ সদস্যকে আমন্ত্রণকারী হিসাবে দায়িত্ব নিতে হয়।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের পক্ষে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সভাপতি সুলতান মোহাম্মদ শরীফ ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক।
অনুষ্ঠানে আগত ব্রিটিশ এমপিরা তাঁদের বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকে ব্রিটেন অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে পাশে আছে। বাংলাদেশের অভাবনীয় অগ্রযাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করে বাংলাদেশের উন্নয়ন পাশে থাকার ঘোষণা দেন। বিশেষ করে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের নেয়া পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন সব বক্তাই।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্বাধীনতার ৪৭তম বার্ষিকীর এই আয়োজনে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার কথা তুলে ধরেন বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি, তিনি স্মরণ করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭১ সালে পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে লন্ডনে আসার কথা। সেই সময়ের প্রধানমন্ত্রী এডোয়ার্ড হিথের ভূমিকাও স্মরণ করেন।
এদিন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার নাজমুল কাওনাইন, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ এবং সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সামগ্রিক অগ্রযাত্রার কথা তুলে ধরেন।
যুক্তরাজ্যের সরকারী দল কনজারভেটিভ, বিরোধী দল লেবার পার্টি, লিবারেল ডেমোক্র্যাটস ও স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির এমপিসহ প্রায় অর্ধ-শতাধিক ব্রিটিশ এমপি এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ব্রিটিশ এমপিদের মধ্যে ৫৩ জন আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে নিজেদের উপস্থিতি স্বাক্ষর বইয়ে রেকর্ডভুক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য ব্রিটিশ এমপিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জোয়ানা চ্যারি, জুলি কুপার, মিসেস হেলেন গ্রান্ট (কানজারভেটিব পার্টির ভাইস চেয়ার), মাইকেল এলিস (পালামেন্টারি আন্ডার সেক্রেটারী), টমি শেফার্ড (শ্যাডো এসএনপি স্পোকস পার্সন), ডেভি আব্রাহাম (শ্যাডোে সেক্রেটারী অব স্টেইট ফর ওয়ার্ক এন্ড পেনশন), ভ্যালেরি ভাজ (শ্যাডো লিডার অব দি হাউজ অব কমন্স), চিয়ন ওয়ারা, জনাথন অ্যাশওয়ার্থ (শ্যাডো সেকেটারী অব স্টেইট ফর হেলথ), জন ম্যাকডোনাল্ড (শ্যাডো চ্যান্সেলার অব দি এক্সচেকার), কিয়ার স্টার্মার।