বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১২:৫৪ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
এ্যারোবিলে ভুয়া ঠিকানায় ব্লাক সিগারেট পাচার করছিল উইন্টার ফ্যাশন # এয়ারফ্রেইটে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেড জড়িত # শাহজালালে ৪০ সদস্যের ল্যাগেজ পার্টির দৌরাত্ম্য

একুশে বার্তা প্রতিবেদন : এ্যারোবিল নম্বরে ভুয়া ঠিকানা দিয়ে অন্য পন্যের সাথে উইন্টার ফ্যাশন নিষিদ্ব সিগারেট আমদানি করে তা পাচার করার পায়তারা করে। কিন্ত বাধ সাধে ঢাকা কাস্টমস হাউজের এয়ারফ্রেইট ইউনিট ডিসি সুমন চাকমা এবং সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা আশিক। তারা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে পরিত্যক্ত অবস্থায় ওয়ার হাউজ এলাকা থেকে ১ হাজার ১৭৮ কার্টন আমদানি নিষিদ্ব ব্লাকবন্ডের ৩৬ লাখ টাকার সিগারেট জব্দ করে। এয়ার ফ্রেইট ডিসি সুমনা চাকমা জানান, চালানের এ্যারোবিলের নাম্বারে যে ঠিকানা দেয়া আছে তাতে লেখা আছে-হাউজ-৪১, রোড-১০, সেক্টর- বাংলাদেশ। এটা ভুয়া ঠিকানা।
কাস্টমস কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, হযরত শাহজালাল বিমানবন্দও এবং এয়ারফ্রেইট ইউনিট আমদানি শাখা দিয়ে মিথ্যা ঘোষণায়, অনেক সময় আমদানিকৃত অন্য পন্যের বস্তায় আমদানি নিষিদ্ধ সিগারেট ঢুকিয়ে দিয়ে শতভাগ পন্যের কায়িক পরিক্ষা না করার সুযোগে তা পাচার করে নিয়ে যাচ্ছে। কাস্টমস গোপন সংবাদে খবর পেয়ে মাঝেমধ্যে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ পন্য আটক করছে।
সূত্র জানায়, এই প্রবনতা চট্রগ্রাম কাস্টমস হাউজে বেশি চলছে। চট্রগ্রাম কাস্টমস হাউজের এক শ্রেণীর দুর্নীতিবাজ কাস্টমস কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে কন্ট্রাক্টে আমদানি নিষিদ্ধ পন্য দেদারচ্ছে পাচার হয়ে যাচ্ছে। কমির নামের একজন সিএন্ডএফ এই প্রক্রিয়ায় ৭ কোটি টাকার আমদানি নিষিদ্ধ পন্য পাচারের সময় তা কাস্টমস রুখে দেয়। এ ঘটনায় বন্দর থানায় মামলাও হয়েছে। মামলাটি সিআইডি তদন্ত করছে। মামলায় সিএন্ডএফ কমির ও তার ভাই বাচার জন্য তদবির করছে। চট্রগ্রাম কাস্টমস হাউজে কমিরের ফোরস্টার এন্টারপ্রাইজ লাইসেন্স সাসপেন্ড করলেও ঢাকা কাস্টমস হাউজে তা চালু রয়েছে। এই লাইসেন্সে কমির নামকাওয়াস্তে শুল্ক দিয়ে ভারত থেকে আমদানিকৃত ‘পরচুলা’ খালাস করে নিয়ে যাচ্ছে।
সূত্র জানায়, মিথ্যা ঘোষনণায় পন্য আমদানি ও খালস প্রক্রিয়া দীর্ঘদিনের। কাস্টমস মাঝেমধ্যে এই প্রকিয়ায় আমদানিকৃত পন্য জব্দ করছে। তবে বেশির ভাগ চালানই গেট কন্ট্রাক্টে পাচার হয়ে যাচ্ছে। আবার অনেক সময় বৈধ পন্যের চালানের সাথে আমদানি নিষিদ্ধ পন্য ঢুকিয়ে আমদানি করে তা গোপন কন্ট্রাক্টে পাচার করে নিয়ে যাচ্ছে। এয়ারফ্রেইট আমদানি শাখায় ২০-৩০ জনের ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট এই প্রক্রিয়ায় ব্যবসা করে রাতারাতি চুনোপুটি থেকে কোটিপতিতে বনে গেছেন।এদের মধ্যে ‘মীর লজেস্টিকের’ নাম সবার মুখে মুখে। আর বৈধ পথের সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীদের নুন আনতে পান্তা ফুরাচ্ছে।
সূত্র জানায় এই ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট পাসওয়ার্ড জালিয়াতি করে সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাকি দিচ্ছে। এ নিয়ে পত্রপত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশের পর ঢাকা কাস্টমস হাউজের টনক নড়ে। ঢাকা কাস্টমস হাউজ দেড় হাজার পাসওয়ার্ড জালিয়াতির ঘটনায় মামলা করে জড়িত অভিযোগে সংশ্লিষ্ট সিএন্ডএফ এজেন্টের লাইসেন্স বাতিল করেছে। একজন রাজস্ব কর্মকর্তাকে পোস্টআউট করা হয়েছে।
৬ মাসের পোস্টিংয়ে ৩ বছর : ঢাকা কাস্টমস হাউজের কতিপয় কর্মকর্তা- কর্মচারির ৬ মাসের পোস্টিংয়ে প্রায় ৩ বছর পার হলেও রহস্যজনক কারনে তাদের বদলি করা হচ্ছে না। এরা প্রভাব বিস্তার ও তদবির করে একই পোস্টিংয়ে বছরের পর বছর পার করে দিচ্ছেন। ঢাকা কাস্টমস হাউজের প্রিভেনটিভে কর্মরত একজন এআরও এবং ৩ সিপাই ও ১ এসআই ৬ মাসের পোস্টিংয়ে প্রায় ৩ বছর অতিকান্ত করলেও তাদের বদলি করা হয়নি। তারা দম্য করে বলে বেড়াচ্ছেন ‘আমরা এর আগের ২০০৯ সাল থেকে ২০১২ পর্যন্ত ছিলাম তখন কথা ওঠেনি এখন কথা ওঠছে কেন ? এরা দীর্ঘদিন প্রিভেনটিভে কর্মরত থাকার ফলে শাহজালাল বিমানবন্দরে চোরাকারবারি গ্রুপকে সহায়তা করছে বলে গোয়েন্দা সংস্থা জানতে পেরেছে এবং তাদের গতিবিধি নজরদারি করছে। শাহজালাল বিমানবন্দরে প্রায় প্রতিদিনই কয়েকটি ফ্লাইটে ৩০-৪০ জনের একটি ল্যাগেজ পাটি নামছে। এরা কাস্টমস কন্ট্রাক্টে পন্য পার করে নিয়ে যাচ্ছে। মাঝেমধ্যে বিভিন্ন সংস্থা এদের পাকড়াও করে পন্য জব্দ করছে।
এই ৩০-৪০ জন ল্যাগেজ পার্টিকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে সিএএবির এক নিরাপত্তারক্ষী। ল্যাগেজ পাচার করে দেয়ার কন্ট্রাক্টসহ এয়ারপোর্টের পাশে আবাসিক হোটেলে ওঠার বন্দোবস্তও করে দেয় এই নিরাপত্তারক্ষী। এসব আবাসিক হোটেলে মধ্য রাতের আসরে হলুদ সাংবাদিকের আগমন ঘটে। ল্যাগেজ পার্টিদের থেকে ওই হলুদ সাংবাদিক চাদাবজি করে বলেও সূত্র

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।