মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ০৫:১৭ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
জেএসসি ও জেডিসিতে কমল ২০০ নম্বর

একুশে বার্তা প্রতিবেদন : চলতি বছর থেকে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় ২০০ নম্বরের পরীক্ষা কমিয়ে নতুন মানবণ্টন নির্ধারণ করা হয়েছে; একই সঙ্গে কমেছে তিনটি করে বিষয়। এর মধ্যে বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে ১০০ নম্বর করে পরীক্ষা কমেছে। আর ঐচ্ছিক বিষয় শ্রেণিকক্ষে ধারাবাহিক মূল্যায়ন হবে। অর্থাৎ গার্হস্থ্য অর্থনীতি বা কৃষি শিক্ষা বিষয়ের ১০০ নম্বরের পরীক্ষাও কমানো হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির (এনসিসিসি) সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন। সভা শেষে তিনি বলেন, জেএসসিতে এখন ৮৫০ নম্বরের পরিবর্তে ৬৫০ নম্বর এবং জেডিসিতে ১০৫০ নম্বরের পরিবর্তে ৮৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। শিক্ষার্থীদের ওপর থেকে চাপ কমাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সভা সূত্রে জানা গেছে, ইংরেজি দুই পত্র মিলে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে গ্রামার অংশ থেকে ৩০ নম্বর, আনসিন অংশ ২০ নম্বর, রাইটিং অংশ থেকে ৩০ নম্বরের ও রিডিং টেস্ট (সিন প্যাসেজ) থেকে ২০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। বাংলা দুই পত্র মিলিয়ে এ বছর থেকে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে এমসিকিউ ৩০, সিকিউ ৭০ নম্বরের। এমসিকিউ ৩০ নম্বরের মধ্যে গদ্য ও পদ্যাংশ থেকে আটটি করে এবং ব্যাকরণ অংশ থেকে ১৪টি প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান হবে এক নম্বরের অর্থাৎ মোট ৩০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা হবে। সিকিউ ৭০ নম্বরের মধ্যে বাংলা প্রথম পত্র থেকে ৪০ নম্বরের এবং দ্বিতীয় পত্র থেকে ৩০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। প্রথম পত্রের গদ্যাংশ (গল্প) থেকে চারটি প্রশ্ন থাকবে, দুটি লিখতে হবে। আর পদ্যাংশ (কবিতা) থেকে তিনটি প্রশ্ন থাকবে, দুটি লিখতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান হবে ১০ নম্বর করে। আর দ্বিতীয় পত্রে রচনা ১৫, সারাংশ ৫, চিঠি ৫ ও ভাবসম্প্রসারণ ৫ নম্বর করে মোট ৩০ নম্বরের পরীক্ষা হবে।

জেএসসি-জেডিসিতে এত দিন বাংলা ও ইংরেজির দুটি করে পত্রে ১৫০ করে নম্বরের পরীক্ষা হতো। এখন বাংলা ও ইংরেজিতে আর আলাদা পত্র থাকবে না। একেকটি বিষয়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এ ছাড়া জেএসসি-জেডিসির চতুর্থ বিষয়ের (গার্হস্থ্য অর্থনীতি/কৃষি) পরীক্ষা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে মূল্যায়ন করা হবে। জিপিএ নির্ধারণের ক্ষেত্রে এর কোনো প্রভাব পড়বে না।

জানা যায়, আগামী সপ্তাহেই এনসিটিবি থেকে বিস্তারিত নম্বর বণ্টন প্রকাশ করা হবে। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান, বুয়েটের সাবেক শিক্ষক ইনামুল হক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক, অতিরিক্ত সচিব ড. মোল্লা জালাল উদ্দিন, জাবেদ আহমেদ, অরুণা বিশ্বাস, রওনক মাহমুদ, যুগ্ম সচিব সালমা জাহান, এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) মো. মশিউজ্জামান প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, গত ৮ মে আন্ত শিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটি জেএসসি ও জেডিসিতে ২০০ নম্বরের পরীক্ষা কমাতে প্রস্তাব করেছিল। তাদের প্রস্তাব অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।