শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫৫ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
টাংগাইলের ঐতিহ্য : শতবর্ষের করটিয়া কাপড়ের হাট: ভারতীয় শাড়ির দখলে চলে যাবার সম্ভাবনা

একুশে বার্তা ডেক্স : টাঙ্গাইল একটি ঐতিহ্যবাহী জনপদ। বহু অতীত ঐতিহ্য আর বাংলার চির-পরিচিত লোক-সংস্কৃতির ইতিহাসে ক্রমঃধারার উত্তরাধিকারী। প্রাচীন ইতিহাস-ঐতিহ্য আর লোক-সাহিত্য ও সংস্কৃতির ঐতিহ্যে টাঙ্গাইল জেলার অবস্থান অনেক উঁচুতে। টাঙ্গাইলের লোক-ঐতিহ্য নিয়ে বহু প্রবাদ বচন রচিত হয়েছে। যেমন- ‘চমচম, টমটম ও শাড়ি, এই তিনে টাঙ্গাইলের বাড়ি’- প্রবাদের ছড়াটিতে টাঙ্গাইলের তিনটি লোক ঐতিহ্যের কথা উঠে এসেছে। টাঙ্গাইলের তৈরি চমচম (মিষ্টি) আর তাঁতের শাড়ি পৃথিবীখ্যাত। টমটম গাড়িও একদা ছিল টাঙ্গাইলের লোক ঐতিহ্যের উল্লেখযোগ্য যানবাহন। দেশের প্রাচীন বৃহৎ কাপড়ের হাটগুলোর মধ্যে টাঙ্গাইলের করটিয়া হাট অন্যতম। ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা শহরে অবস্থিত হওয়ায় আর তুলনামূলক কম দাম আর বিখ্যাত টাঙ্গাইল শাড়ির প্রাপ্তিস্থান হওয়ায় দেশ ও পার্শ্ববর্তী দেশের পাইকারী শাড়ি ব্যবসায়ীদের অন্যতম পছন্দের শাড়ির হাট এটি।

বাংলাদেশের তাঁত শিল্পের ইতিহাস অতি প্রাচীন। বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের ন্যায় টাঙ্গাইল জেলা সুপ্রাচীন ঐতিহ্যের উত্তরাধিকার। এই শিল্পের সাথে জড়িত আছে এদেশের সংস্কৃতি। আর তাঁত শিল্প আমাদের অন্যতম ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। দেশের সর্ববৃহৎ কুটির শিল্প বা লোকশিল্পও এটি। টাঙ্গাইল জেলার তাঁত শিল্প সেই সর্ববৃহৎ শিল্পের অন্যতম অংশীদার। প্রাচীন কাল থেকে টাঙ্গাইলের দক্ষ কারিগররা তাদের বংশ পরম্পরায় তৈরি করছেন নানা জাতের কাপড়। আর সেই কাপড় দেশ ও বিদেশের ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে বিখ্যাত করটিয়া হাটের বিক্রেতাদের মাধ্যমে।

করটিয়া হাটের ইতিহাস: টাঙ্গাইল শাড়ীর ইতিহাসের সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত করটিয়া হাটের ইতিহাস। যদিও করটিয়া হাটের উৎপত্তিসময় সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায়নি। প্রায় ২০০-২৫০ বছর পুরাতন এই হাটের রয়েছে লোকমুখের নানা ইতিহাস। করটিয়া হাটের প্রবীন শাড়ি ব্যবসায়ীরা জানান, প্রাচীনকালে টাঙ্গাইলের তাঁতীরা মসলিন শাড়ি বুনতেন বলে শোনা যায়।

এক সময় দিল্লির মোঘল দরবার থেকে বৃটেনের রাজপ্রাসাদ পর্যন্ত এই মসলিনের ছিল বিশাল কদর। তবে বিদেশী বণিক চক্রের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে মসলিন কাপড় কালের প্রবাহে হারিয়ে গেছে। কিন্তু তার স্বার্থক উত্তরাধিকারী হয়ে আজও টিকে রয়েছে টাঙ্গাইলের জামদানী, বেনারসী ও তাঁতের শাড়ি।

প্রাচীনকালে মুসলমান তাঁতীদেরকে বলা হতো জোলা। এই জোলা তাঁতীদের সংখ্যাধিক্য ছিল টাঙ্গাইল, কালিহাতী ও গোপালপুর এলাকায়। আবার যুগী বা যুঙ্গীদের নাথপন্থী এবং কৌলিক উপাধি হিসেবে দেবনাথ বলা হয়। ক্ষৌম বস্ত্র বা মোটা কাপড় বোনার কাজে এদের একচেটিয়া অধিকার ছিল। সূঁতো কাটার চরকা এদের প্রত্যেক পরিবারেই ছিল এবং পুত্র কন্যাসহ পরিবারের নারী-পুরুষ সবাই সূঁতো কাটা ও কাপড় বুনতে সারাদিন ব্যস্ত থাকতো। টাঙ্গাইল কালিহাতী ও গোপালপুর এলাকায় যুগী সম্প্রদায়ের বসতি ছিল। যুগীরা ক্ষৌম, গামছা, মশারী তৈরি করে প্রায় স্বাধীন ভাবেই ব্যবসা চালাত।

আরো জানা যায়, টাঙ্গাইলের হিন্দু তাঁতীদের মৌলিক উপাধি বসাক। বাজিতপুর ও নলসুন্দা গ্রামেই এদের সংখ্যাধিক্য। কিন্তু বল্লা ও রতনগঞ্জে মুসলিম কারিগর (জোলা) সংখ্যায় হাজার খানেক এবং অনেকেই বেশ ধন সম্পদশালী। ইতিহাস থেকে জানা যায়, বসাক সম্প্রদায়ের তাঁতীরাই হচ্ছে টাঙ্গাইলের আদি তাঁতি অর্থাৎ আদিকাল থেকেই এরা তন্তুবায়ী গোত্রের লোক। এদেরকে এক শ্রেণীর যাযাবর বলা চলে – শুরুতে এরা সিন্ধু অববাহিকা থেকে পশ্চিম বঙ্গের মুর্শিদাবাদে এসে তাঁতের কাজ শুরু করেন। কিন্তু সেখানকার আবহাওয়া শাড়ির মান ভালো হচ্ছে না দেখে তারা নতুন জায়গার সন্ধানে বের হয়ে পড়েন, চলে আসেন বাংলাদেশের রাজশাহী অঞ্চলে।

সেখানেও আবহাওয়া অনেকাংশে প্রতিকূল দেখে বসাকরা দু’দলে ভাগ হয়ে একদল চলে আসে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, অন্যদল ঢাকার ধামরাইয়ে। তবে এদের কিছু অংশ সিল্কের কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে রাজশাহীতেই থেকে যায়।

ধামরাইয়ে কাজ শুরু করতে না করতেই বসাকরা নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সংঘাতে লিপ্ত হয়ে পড়ে। ফলে ভাগ হয়ে অনেক বসাক চলে যান প্রতিবেশী দেশের চোহাট্টা অঞ্চলে। এর পর থেকে বসাক তাঁতীরা চৌহাট্টা ও ধামরাইয়া’ এ দু’ভাগে স্থায়ীভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েন।

ধামরাই ও চৌহাট্টায় তন্তুর কাজ ভালোই হচ্ছিল। তবে আরো ভালো জায়গায় খোঁজ করতে করতে অনেক বসাক টাঙ্গাইলে এসে বসতি স্থাপন করেন। এখানকার আবহাওয়া তাদের জন্য অনকূল হওয়াতে পুরোদমে তাঁত বোনার কাজে লেগে পড়েন। টাঙ্গাইলে বংশানুক্রমে যুগের পর যুগ তারা তাঁত বুনে আসছেন। এককালে টাঙ্গাইলে বেশিরভাগ এলাকা জুড়ে বসাক শ্রেণীর বসবাস ছিলো, তারা বসাক সমিতির মাধ্যমে অনভিজ্ঞ তাঁতীদেরকে প্রশিক্ষণ দান ও কাপড়ের মান নিয়ন্ত্রন করতেন।

১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে দেশভাগ ও ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর অনেক বসাক তাঁতী ভারত চলে যান। এ সময় বসাক ছাড়াও অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোকেরাও তাঁত শিল্পের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে পড়েন। তারা বসাক তাঁতীদের মতোই দক্ষ হয়ে উঠেন।

করটিয়া হাট প্রতিষ্ঠার পটভূমি : দেশ ভাগের পূর্বে টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ির বাজার বসতো কলকাতায়। টাঙ্গাইলের বিভিন্ন অঞ্চলের তাঁতীরা চারাবাড়ি ঘাট, পোড়াবাড়ি ঘাট, নলছিয়া ঘাট ও সুবর্ণখালী বন্দর থেকে স্টিমার লঞ্চ ও জাহাজে চড়ে কলকাতায় যেতেন। কলকাতা তথা পুরো পশ্চিমবঙ্গের শাড়ি ব্যবসায়ীরা কিনে নিত এতসব সুন্দর সুন্দর ডিজাইনের তাঁতের শাড়ি।

দেশ ভাগের পর হতে টাঙ্গাইল তাঁতের প্রধান হাট ছিলো টাঙ্গাইলের বাজিতপুর। বাজিতপুর হাট টাঙ্গাইল মূল শহর থেকে দেড় কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। সেখানে জেলা শহরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া লৌহজং নদী দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বড় বড় স্টিমার নিয়ে টাঙ্গাইল শাড়ি কিনতে আসতো পাইকাররা। শুধু দেশীয় পাইকাররাই নয়, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, সূদূর ইংল্যান্ড থেকেও শাড়ি কিনতে আসতো ক্রেতারা।

সেসময় টাঙ্গাইল শাড়ির এমন চাহিদা আর দেশ-বিদেশের ক্রেতাদের আগমন দেখে ১৮শত শতকের শেষের দিকে টাঙ্গাইলের বিখ্যাত করটিয়া জমিদার পরিবার একটি হাটের প্রয়োজন অনুভব করে। করটিয়ার জমিদার বিখ্যাত পন্নী পরিবারের সদস্য ওয়াজেদ আলী খান পন্নী ওরফে চাঁদ মিয়া তাদের অধুষ্ঠিত করটিয়ার বিশাল এলাকাজুড়ে এই হাট স্থাপন করেন।

সেই সময়ে করটিয়া ছিলো একটি নদী বন্দর। সেখানে সাড়া সপ্তাহ জুড়েই হাট বসতো। শুধু টাঙ্গাইলের শাড়িই নয়, গবাদি পশু, হাতের তৈরী তৈজসপত্র সহ নানা সামগ্রী বিক্রি হতো। প্রতিষ্ঠার পর পাট আর গবাদি পশুর জন্য বিখ্যাত হয়ে গেলেও, পরবর্তীতে টাঙ্গাইল শাড়ির জন্য জনপ্রিয় হয়ে উঠে করটিয়া হাট। সে সময়ের জনপ্রিয় যাতায়াত মাধ্যম নৌপথে যোগাযোগের ভালো সুবিধা থাকায় দিন দিন বাড়তে থাকে এই হাটের জনপ্রিয়তা।

সেই প্রাচীনকাল থেকেই এই হাটটি করটিয়া হাটের পাশাপাশি মাহমুদগঞ্জ কাপড়ের হাট হিসেবেও পরিচিত লাভ করে।

হাঁটের বর্তমান অবস্থা : প্রায় ৫০-৬০ একর (দেড় থেকে দুইশ বিঘা) জমির উপর প্রতিষ্ঠিত শতবছরের পুরাতন এই হাঁটটি বর্তমান সময়ে টাঙ্গাইল শাড়ির জন্য বিখ্যাত। শুধু টাঙ্গাইল শাড়িই নয়, দেশ সেরা শালের হাটও করটিয়া হাট। এই হাট থেকেই টাঙ্গাইল ও তার পার্শ্ববর্তী জেলা শহরগুলোর শাল বা চাদর কারিগরদের তৈরি চাদর ভারত, বার্মাসহ বিভিন্ন দেশগুলোতে রপ্তানী করা হয়।

বর্তমানে সপ্তাহে ২দিন বসে এই হাট। প্রতি সপ্তাহের মঙ্গলবার বিকেল থেকে শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে শেষ হয় এই হাট। এই দুইদিন দিন-রাত চলে কেনা-বেচা। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকাররা এখান থেকে শাড়ি কিনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে খুচরা বিক্রি করেন।

প্রতি সপ্তাহে এই হাটে ২শ থেকে ৩শ কোটি টাকার লেনদেন হয়। খোলা মাঠে শাড়ি বিক্রির পাশাপাশি হাটে তৈরি করা হয়েছে বেশ কয়েকটি বহুতল মার্কেট। এই হাটে টাঙ্গাইল শাড়ির পাশাপাশি প্রিন্টের শাড়ি, ইসলামপুর, বাবুর হাটের শাড়ি, বেলকুচি, এনায়েতপুর থেকে শাড়ি আসে। শাড়ি ছাড়াও পাবনা দোগাছির লুঙ্গি, বেলকুচি শাহজাহানপুরের লুঙ্গি, ডিসেন্টের লুঙ্গি ছাড়াও জনপ্রিয় চাদর পাওয়া যায়।

এই হাটে বর্তমানে লক্ষাধিক ব্যাবসায়ী ব্যবসা করছেন। শাড়ি ছাড়াও বর্তমানে থ্রি-পিস, বাচ্চাদের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। পাইকারী বিক্রির পাশাপাশি চলে খুচরো বিক্রি।

ক্রেতা-বিক্রেতাদের কণ্ঠে করটিয়া হাট : নিত্ত দাশ, শাড়ি ব্যবসায়ী: করটিয়া হাটের সুনাম দিন দিন বেড়েই চলছে। তাই শুধু দেশের বিভিন্ন স্থান থেকেই নয়, দেশের বাইরে থেকেও ক্রেতারা শাড়ি কিনতে আসছে। এই হাটের মতো কম দামে ভালো শাড়ি খুব কম যায়গাতেই পাওয়া যায়।

চিত্র বসাক, শাড়ি ব্যবসায়ী: আমাদের টাঙ্গাইল শাড়ির প্রধান হাট এই করটিয়া হাট। কিন্তু দিন দিন ভারতীয় শাড়ি আসাতে আমাদের এই ব্যবসায় লোকসানের মুখোমুখী হচ্ছে। মানুষ এখন টাঙ্গাইল শাড়ি না খুঁজে জাকযমক ভারতীয় শাড়ি খুঁজে।

আনসারী মিঞা, শাড়ি ব্যবসায়ী: আমার দাদা এই হাটে শাড়ি ব্যবসা করতেন। তারপর আমার বাবা এখানে ব্যবসা করছেন। এখন আমি করছি। ছোট সময় থেকেই বাপ-দাদার মুখে এই হাটের কথা শুনেছি। তারাও শুনেছেন তাদের বাপ-দাদার মুখে।

মুক্তার হোসেন, ঢাকা থেকে আসা ক্রেতা/ টপটেনের পার্চেশ এক্সিকিউটিভ: এখানকার শাড়িগুলো খুব ভালো মানের। দেখতেও সুন্দর। তাই ক্রেতাদের সহজেই আকর্ষণ করে। আর যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো থাকায় এখান থেকেই শাড়ি নিয়ে আমরা বিক্রি করি।

সুমি খন্দকার, ক্রেতা: এক সাথে হাজারো শাড়ির দেখা মেলে এখানে। ডিজাইন আর মনের মতো শাড়ি-থ্রিপিস কেনা যায়। আর ভালো মানের পাশাপাশি দামও কম।

ঐতিহ্যবাহী এ হাটের বৈশিষ্ট্য : পণ্যের দরদাম: দেশের বিভিন্ন পাইকারী বা যে কোন খুচরা দোকান থেকে প্রায় অর্ধেক দামে এই হাটে মেলে জগৎ বিখ্যাত টাঙ্গাইল শাড়ি। সস্তার পাশাপাশি পাওয়া যায় আসল মান।

পন্য কিনতে ক্রেতাদের দিতে হয় না খাজনা : দুশো বছরের পুরাতন এই হাটের প্রতি হাটবারে গড়ে ২শ থেকে ৩শ কোটি টাকার লেনদেন হয়। বিক্রি হয় হাজার হাজার পিস শাড়ি-থ্রি পিস। কিন্তু বিপুল পরিমান এই পন্য কেনা বেচায় ক্রেতাদের নিকট থেকে কোন টোল বা খাজনা নেয়া হয় না। শুধু তাই নয়, হাটে গড়ে উঠা অর্ধশত বহুতল মার্কেটের মালিক আর ব্যবসায়ীরা সম্মিলিতভাবে এই খাজনা পরিশোধ করে। ফলে ক্রেতাদের বাড়তি খরচের বোঝা টানতে হয় না।

রয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা : কোটি টাকার লেনদেন হয় এই হাটে। পন্য কিনতে টাকার বান্ডিল নিয়ে আসেন ক্রেতারা। কিন্তু তারপরও হাটে দেখা মেলে না কোন চুরি বা ছিনতাইয়ের।

হাটের নিরাপত্তায় হাট কমিটির পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ। পুরো হাট এলাকা জুড়ে স্থাপিত আছে অসংখ্য সিসি ক্যামেরা। এই সকল ক্যামেরায় সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হয়। এতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ক্রেতাদের চুরি বা ছিনতাইয়ের ভোগান্তিতে পরতে হয় না। এছাড়াও রয়েছে হাটের নিরাপত্তায় নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক।

যাতায়াত ব্যবস্থা: রাজধানী ঢাকা থেকে সড়ক বা রেল পথে সহজেই যাওয়া যায় করটিয়া হাটে। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ থেকেও আছে একই যোগাযোগ ব্যবস্থা। রাজধানী থেকে সড়ক পথে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক দিয়ে টাঙ্গাইল শহর বাইপাসের পূর্বে করটিয়া বাইপাসে নেমে সহজেই যাওয়া যায় করটিয়া হাটে। আর রেলপথে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী যে কোন ট্রেন থেকে ঘারিন্দা রেল স্টেশনে নেমে সিএনজি যোগে যাওয়া যায় করটিয়া হাটে। অপরদিকে দক্ষিণাঞ্চল দিয়ে ঢাকা-আরিচা-নাগরপুর মহাসড়ক দিয়ে আসা যায় করটিয়া হাটে।

রাজধানী পাশের জেলা শহর আর ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশেই অবস্থিত হওয়ায় এই হাটের যোগাযোগ ব্যবস্থাও সন্তোষজনক। পন্য কেনার পর সহজেই ক্রেতারা ক্রয়কৃত পণ্য পরিবহনে নিয়ে যেতে পারে। তাই প্রতিনিয়ত ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় চলে আসছে করটিয়া হাট।  ঘাটাইর ডটকম

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।