মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ০৮:০৬ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
দেশ সেরা প্রধান শিক্ষক শাহনাজ কবীর

শিক্ষা ডেক্স : দেশের সেরা ‘প্রধান শিক্ষক’ নির্বাচিত হয়েছেন কিশোরগঞ্জ শহরের এসভি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহনাজ কবীর।

গত ২০ জুন (বৃহস্পতিবার) মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর তাকে দেশের সেরা ‘প্রধান শিক্ষক’ হিসাবে নির্বাচিত করে।

আগামী ২৬ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে শাহনাজ কবীরকে পুরস্কৃত করা হবে।

এর আগে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পর্যায়ে ও পরে কিশোরগঞ্জ জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছিলেন শাহনাজ কবীর।

এর পর ময়মনসিংহ অঞ্চলের সেরা প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হন। সে গৌরব অর্জনের পর জাতীয় পর্যায়ের বাছাইয়ে নাম লেখান তিনি।

শাহনাজ কবীরের তত্ত্বাবধানে এসভি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাধ্যমিক পরীক্ষায় বেশ সুনাম অর্জন করে আসছে।

দেশের সেরা ‘প্রধান শিক্ষক’ হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে মোবাইল ফোনে শাহনাজ কবীর জানান, ‘আমার এ অর্জন একক কোনো কৃতিত্ব নয়। বিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের ভালোবাসা এবং সহকর্মীদের সহযোগিতায় আমি এ সাফল্য অর্জন করেছি। ’

তিনি জানান, যোগদানের পর থেকেই এসভি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়মানুবর্তিতা, পারস্পারিক সহযোগিতা ও পড়াশোনায় আগ্রহ দেখে অভিভূত হন। এ বিদ্যালয়কে আরও এগিয়ে নেয়ার দৃঢ় প্রত্যয়ী হয়ে ওঠেন।

এসএসসি পরীক্ষায় বিদ্যাপীঠটি বরারই ভালো করে আসছে জানিয়ে শাহনাজ কবীর বলেন, ‘আমি প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নেয়ার পর ২০১২ ও ২০১৩ সালে টানা দুইবার এসভি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কিশোরগঞ্জ জেলার সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা লাভ করে। এই বিদ্যালয় একদিন দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা লাভ করবে সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।’

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ৬ মার্চ এসভি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করেন শাহনাজ কবীর। পরবর্তীতে পদোন্নতি পেয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হন । ২০১০ সালে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক হন তিনি।

প্রসঙ্গত ২০১৫ সাল থেকে শতভাগ পাস ও সর্বাধিক জিপিএ-৫ পেয়ে কিশোরগঞ্জ জেলায় ধারাবাহিকভাবে প্রথমস্থান দখল করে আসছে বিদ্যাপীঠটি।

একই ধারাবাহিকতায় এবারের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলেও জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে প্রতিষ্ঠানটি।

এবার বিদ্যালয়টির ২৩৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৩৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে এবং শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করেছে।

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।