বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১:০৪ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
প্রকৌশলী আছির গ্রেফতারের পর সিএএবিতে আতংক বিরাজ করছে

নিজস্ব প্রতিবেদক  : প্রকৌশলী আছির উদ্দিন গ্রেফতার হওয়ার পর সিভিল এভিয়েশনে আতংক বিরাজ করছে। সিএএবির একডজন প্রকৌলীকেও দুদক বার বার চিঠি দিয়ে তলব করে। তলবের তালিকায় সিএএবির প্রধান প্রকৌশলী সুধেন্দু বিকাশ গোস্বামীও রয়েছেন। গত ৮ ডিসেম্বরও তিনি দুদকে হাজিরা দিয়ে এসেছেন বলে সিএএবির প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। কিন্ত একমাএ প্রকৌশলী আছির উদ্দিন ব্যতীত কারো নামে মামলা রুজু করেনি দুদক। তাই এবার প্রকৌশলী আছির উদ্দিনকে গ্রেফতারের পর অন্যান্য প্রকৌশলী অজানা আতংকে ভুগছেন- কখন জানি দুদক আমাদের টুটি চেপে ধরে বসে। এ দিকে গত ১২ ডিসেম্বর দুদক প্রকৌশলী আছির উদ্দিনকে তার অফিস থেকে গ্রেফতারের পর সিএএবিতে আলোচনা- সমালোচনা চলছে। অনেকে বলছেন, আছির উদ্দিনকে সাবধান করা হয়য়েছিল কিন্ত আছির উদ্দিন কারো কথা শুনেননি। তিনি ডেমকেয়ার ভাব দেখিয়েছেন। প্রকৌশলী আছির উদ্দিনকে গ্রেফতারের পর সিএএবির মানসন্মান নিয়ে টান দিয়েছে বলে অনেকে মন্তব্য করেন। প্রধান প্রকৌশলীর খুব কাছের লোক আছির উদ্দিন দুদকের জালে আটকা পড়ায় প্রধান প্রকৌশলী গোস্বামীকেও ভাবিয়ে তুলছে।

সূত্রে জানা গেছে, গত অথ বছরে ইজিপির বাইরে এলটিম পদ্ধতিতে  প্রায় ২ শ’ কোটি টাকার টেন্ডার ও কার্যাদেশ বিষয়ে বিমান মন্ত্রনালয় তদন্তে নেমেছে। বিষয়টি দুদকও তদন্ত করছে। এই ইজিপির বাইরের এলটিএম নায়করা অনেকটাই মানসিক যন্ত্রনায় ভোগছেন বলে জানা গেছে। দুদক সিএএবির দুই দফায় ১৫ জন ঠিকাদারকেও তরব করেছে। এরমধ্যে সাবেক সচিবের মেয়ের নামও রয়েছে। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত দুই কোটি টাকার বেশি সম্পদ অর্জনের মামলায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচকের)  প্রকৌশলী আছির উদ্দিনকে  গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গ্রেপ্তারকৃত মো. আছির উদ্দিন বেবিচকের ইঅ্যান্ডএম বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত।

মঙ্গলবার সকালে দুদকের উপপরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মনজুর আলম শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন।

দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য জানান , দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে আছির উদ্দিন ভিত্তিহীন ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তিনি দুই কোটি ৪৮ লাখ ৭৮ হাজার ৫৯৬ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।

এছাড়া রাজধানীর উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর রোডের ২৪ নম্বরের চারতলা যে বাড়িটি তিনি তৈরি করেছেন, সম্পদ বিবরণীতে সেটার প্রকৃত নির্মাণব্যয়ের চেয়ে ৬৩ লাখ ২৫ হাজার ৭৪১ টাকা কম দেখানো হয়েছে।

এসব অভিযোগে গত ১৪ মে রাজধানীর রমনা থানায় দুদকের উপপরিচালক মাহফুজা খাতুন বাদি হয়ে মামলাটি করেন।

এর আগে গত বছরের ৯ নভেম্বর আছির উদ্দিনকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে দুদক নোটিস দেওয়ার পর ২৯ নভেম্বর তিনি তা দাখিল করেন।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।