রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১১:০৭ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
প্রেস ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘ মুখপাত্র স্টিফান : খালেদা জিয়ার কারাবন্দির বিষয়ে উদ্বিগ্ন জাতিসংঘ : আগামি নির্বাচনে খালেদাকে দূরে রাখতেই শাসকগোষ্ঠি এমন ব্যবস্থা নিয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেক্স : জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফান ডোজারিক বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গ্রেপ্তার ও কারাদ- পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহের দিকে গভীর নজর রাখছে জাতিসংঘ। একই সঙ্গে দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে প্রত্যাশা তার।

তিনি বলেন, বিএনপি প্রধানের কারাবন্দির ঘটনায় জাতিসংঘ উদ্বিগ্ন এবং আমাদের উদ্বেগ অব্যাহত আছে। আমরা আশা করি বাংলাদেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ সৃষ্টি হবে।

গত শুক্রবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ডোজারিক। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনবিষয়ক অপর এক প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের এই মুখপাত্র বলেন, প্রত্যাবাসন হতে হবে স্বেচ্ছায় ও মর্যাদাপূর্ণ। জোরপূর্বক নয়।

সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী কারান্তরীণ আছেন। বাংলাদেশের লাখ লাখ জনতা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে তার মুক্তি দাবি করছে। যা এএফপিসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে উঠে এসেছে। খালেদা জিয়াকে আগামী নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে বাংলাদেশের শাসকদল তার বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নিয়েছে মর্মেও রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। ইইউ, যুক্তরাষ্ট্রসহ বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার অনেক দেশের কূটনৈতিক প্রতিনিধিরা বিএনপি নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করে খালেদা জিয়ার খোঁজখবর নিচ্ছেন। খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের তরফে কি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে? কেননা খালেদা জিয়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলার মুখামুখি।

জবাবে মুখপাত্র ডোজারিক বলেন, আপনারা জানেন, আমরা এর আগেও বলেছি পুরো পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। ইতোমধ্যে খালেদা জিয়ার বিষয়ে আমরা আমাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। আমরা আশা করছি বাংলাদেশে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ সৃষ্টি হবে। এসব ক্ষেত্রে সব দেশের জন্য আমাদের অবস্থান শক্ত ও অভিন্ন।

সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বর্তমানে ঢাকা সফর করছেন। বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ ৮ হাজার ৩২ রোহিঙ্গা শরণার্থীর একটি তালিকা প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছে। আপনি কি মনে করেন রোহিঙ্গাদের এই ফিরে যাওয়া নিরাপদ হবে? জবাবে মুখপাত্র বলেন, প্রত্যাবাসন বিষয়ে জাতিসংঘের অবস্থান অত্যন্ত পরিষ্কার। আমি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই প্রত্যাবাসন হতে হবে স্বেচ্ছায়।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।