বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৭:১১ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
সরকারের ৩য় ৫১তম বাজেট পেশ আজ : জীবন-জীবিকায় প্রাধান্য সুদৃঢ় আগামির পথে বাংলাদেশ- শ্লোগানের এ বাজেটে ৩ খাতে গুরুত্ব

নিউজ ডেক্স : ‘জীবন-জীবিকায় প্রাধান্য দিয়ে সুদৃঢ় আগামীর পথে বাংলাদেশ’ শিরোনামে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আজ ৩ জুন/২১ বেলা ৩টায় অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের তৃতীয় বাজেট এটি। আর বাংলাদেশের ৫১তম বাজেট। সরকারের অতীতের অর্জন এবং উদ্ভূত বর্তমান পরিস্থিতির সমন্বয়ে এবারের বাজেট প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দের ক্ষেত্রে তিনটি খাতকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্য খাতে। এরপর রয়েছে খাদ্য নিরাপত্তা ও সামাজিক নিরাপত্তা।

পাশাপাশি অগ্রাধিকার থাকছে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, সেচ ও বীজে প্রণোদনা, কৃষি পুনর্বাসন ও সারে ভর্তুকি প্রদান, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে। সেই সঙ্গে শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নসহ সার্বিক মানবসম্পদ উন্নয়ন, পল্লী উন্নয়ন ও কর্মসৃজন, গৃহহীন দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য গৃহনির্মাণ এবং নিম্নআয়ের মানুষের মধ্যে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচিতে অগ্রাধিকার থাকছে। তবে করোনাকালের এই বাজেটকে সামনে রেখে দেশজুড়ে সবচেয়ে বড় প্রশ্নটি হলো করোনায় গরিব হয়ে যাওয়া বা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য বাজেটে কি থাকছে?
সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কঠোর সতর্কতা মেনে জাতীয় সংসদের বাজেট (্‌ত্রয়োদশ) অধিবেশন শুরু হয়েছে। গত ১ জুন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশন শোক প্রস্তাব গ্রহণ শেষে মুলতবি করা হয়েছে। আজ আবার বিকাল ৩টার অধিবেশনে ২০২১-২২ অর্থ বছরের বাজেট প্রস্তাব উত্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার বাজেটকে সামাজিক অবকাঠামো, ভৌত অবকাঠামো, সাধারণ সেবা এবং সুদ-ভর্তুকি-ঋণ প্রদানের আওতায় মোট চারটি বৃহত্তর খাতে বিভক্ত করে অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব করা হবে। করোনার বছরেও ৭.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ হতে যাচ্ছে। মূল্যস্ফীতির হার ৫.৩ শতাংশে বেঁধে রাখার লক্ষ্য থাকছে।
করোনাকে সামনে রেখে এবারের বাজেটেও অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ সরকারকে মোকাবিলা করতে হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে করোনায় কর্মহীনদের জন্য কাজের ব্যবস্থা করা। খাদ্য মজুত বাড়িয়ে খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা, রাজস্ব আয় বাড়ানো, করোনার টিকা নিশ্চিত করা, চলমান অগ্রাধিকার পাওয়া প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নেয়া, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব সংগ্রহ, বৈদেশিক ঋণের ওপর নির্ভরতা কমানো ও দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো ইত্যাদি।

অর্থমন্ত্রী বলেছেন, নতুন বাজেট হবে করোনা মোকাবিলা করে এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ প্রত্যয়ের বাজেট। আগামী বাজেট হবে সাধারণ মানুষের বাজেট। দেশের মানুষ বাঁচানোর ও ব্যবসায়ী বাঁচানোর বাজেট। তবে সামনের দিনগুলোয় আমাদের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ হতে পারে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা অব্যাহত এবং প্রধান রপ্তানি বাজারগুলোতে মন্দা অব্যাহত থাকলে। আরেক বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে প্রধান শ্রমবাজারগুলোতে শ্রমিক পাঠানো ব্যাহত হলে।

জানা গেছে, আগের বেশ কয়েক বছরের মতো এবছরও অর্থনীতির প্রয়োজনেই কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য মোট রাজস্ব ও বৈদেশিক অনুদান মিলিয়ে আয়ের লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছে ৩ লাখ ৯২ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। কর বাবদ পাওয়া যাবে ৩ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা। এরমধ্যে এনবিআর নিয়ন্ত্রিত কর ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা এবং এনবিআর বহির্ভূত কর ১৬ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া পাওয়া যাবে ৪৩ হাজার কোটি টাকা। বৈদেশিক সহায়তা বাবদ পাওয়া যাবে ৩ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা।

এবারের বাজেটের অনুদানসহ ঘাটতির পরিমাণ ২ লাখ ১১ হাজার ১৯১ কোটি টাকা। যা জিডিপির ৬.১ শতাংশ। অনুদান ছাড়া বাজেট ঘাটতির পরিমাণ ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা (জিডিপির ৬.২ শতাংশ)।
যেসব খাতকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে: নতুন বাজেটে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় টিকাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে ১০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল থাকছে। চলতি বাজেটের চেয়ে যা প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি।

নতুন বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি খাতে বরাদ্দ থাকছে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা। নিম্নআয়ের মানুষ জীবিকা নিয়ে চরম ভোগান্তিতে আছে। এসব বিবেচনায় রেখে এবার সামাজিক নিরাপত্তা খাতের আকার ও বরাদ্দ দুটোই গুরুত্ব পাচ্ছে।

বোরোর উৎপাদন ভালো হলেও আগামীতে আমনের ফলন কেমন হবে তা আগাম বলা যাচ্ছে না। প্রয়োজন হতে পারে চাল আমদানির। এ কারণে সরকার এ বছর খাদ্যেকেও গুরুত্ব দিচ্ছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে ৩০০ কোটি টাকা বাড়তি বরাদ্দ পাচ্ছে খাদ্য খাত। সবমিলিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় বরাদ্দ পাচ্ছে সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকা।
মহামারি করোনার কারণে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয় কমেছে। অনেকে কাজ হারিয়েছেন। অন্যদিকে চাল, আটা, তেল, চিনির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। এতে দরিদ্র ও দুস্থ জনগোষ্ঠীর জীবনযাপন হয়ে উঠেছে আগের চেয়ে কষ্টের। এ পরিস্থিতিতে গরিব মানুষের জীবনযাপন সহজ করতে দেশের অর্থনীতিবিদরা খাদ্য ও নগদ সহায়তা বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন। আগামী বাজেটে দরিদ্র মানুষের প্রতি নজর কিছুটা বাড়বে। বাড়ানো হবে মোট উপকারভোগীর সংখ্যাও। তবে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বেশির ভাগ ভাতার পরিমাণ অপরিবর্তিত থাকছে।
এমনিতেই প্রতিবছর সুবিধাভোগীদের সংখ্যা ১০ শতাংশ হারে বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, যোগ্যদের ৪৬ শতাংশ এখনো সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বাইরে রয়েছে।

এবারের বাজেটে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জন্য প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব করা হচ্ছে। চলতি বাজেটে বরাদ্দ ছিল ৯ হাজার ২৬৩ কোটি টাকা।

গত পাঁচ বছর ধরে বয়স্ক এবং বিধবা ও স্বামী নিগৃহীত নারীদের ভাতা বাড়েনি। এ দুই কর্মসূচিতে সরকার জনপ্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে ভাতা দিচ্ছে। এবারো তা অপরিবর্তিত থাকছে। আর প্রতিবন্ধীদের ভাতা গত দুই অর্থবছরের মতো ৭৫০ টাকাই থাকছে। এর আগে দুই অর্থবছর প্রতিবন্ধীরা ৭০০ টাকা করে ভাতা পেতেন। তবে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাড়ছে। মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ভাতা আট হাজার টাকা বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করা হচ্ছে। এজন্য অতিরিক্ত তিন হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি নির্মাণেও বাজেটে বরাদ্দ রাখা হবে। বর্তমানে সারা দেশে এক লাখ ৮৬ হাজার ৪০৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাচ্ছেন।

বয়স্ক ভাতা বাবদ আগামী অর্থবছরে তিন হাজার ৪৪৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে, যা চলতি অর্থবছরের তুলনায় ৫০৪ কোটি টাকা বেশি। বিধবা ও স্বামী নিগৃহীত নারীদের জন্য বরাদ্দ ২৬৫ কোটি টাকা তা বাড়িয়ে এক হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা করা হচ্ছে। আর অসচ্ছল প্রতিবন্ধীদের ভাতা এক হাজার ৬২০ কোটি টাকা থেকে ২০০ কোটি বাড়িয়ে এক হাজার ৮২০ কোটি টাকা করা হচ্ছে।

অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ ২২ কোটি টাকা বাড়িয়ে ৪৮ কোটি টাকা করা হচ্ছে। তৃণমূল পর্যায়ে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী উদ্যোক্তাদের বিকাশের জন্য ৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে, যা চলতি অর্থবছরে রয়েছে মাত্র সোয়া দুই কোটি টাকা।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, মানুষ যাতে এই বাজেটের সুফল পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হবে। খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে। এখন সবার আগে টিকা দরকার। এজন্য বরাদ্দ বাড়াতে হবে।

এডিপি: বাজেটে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৩৭ হাজার ৭৮ কোটি টাকা। এরমধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে এডিপির আকার চূড়ান্ত করা হয়েছে।

ব্যবসায়ীদের জন্য কর ছাড়: করোনাভাইরাস পরিস্থিতিকে গুরুত্ব দিয়ে গতবারের মতো এবারো ব্যবসায়ীদের কিছু ছাড় দেয়া হতে পারে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির করহার বিদ্যমান সাড়ে ৩২ শতাংশ থেকে আড়াই শতাংশ কমে ৩০ শতাংশ হতে পারে। একক ব্যক্তির কোম্পানিকে উৎসাহিত করতে করহার আরো কমে হতে পারে ২৫ শতাংশ। এর বাইরে অন্যান্য কোম্পানির ক্ষেত্রে করহার অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এদিকে প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আলোচনা শেষে আগামী ৩০শে জুন বাজেট পাস হবে। করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতার কারণে অধিবেশনের আগে কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক হয়নি। কঠোর সতর্কতায় শুরু হওয়া এই অধিবেশনে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ স্বল্প সংখ্যক সংসদ সদস্য অংশ নেন। সংসদ উপনেতা সাজেদা চৌধুরী বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদসহ সিনিয়র সংসদ সদস্যরা অনুপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত সংসদ সদস্যরা গত দিনের আসন বণ্টন এড়িয়ে করোনা সতর্কতা মেনে আসন গ্রহণ করেন। অধিবেশন কক্ষে এক থেকে দু’টি আসন পর পর তারা বসেছিলেন। অধিকাংশের মুখে মাস্ক, হাতে গ্লাভস ও মাথায় ক্যাপ ছিল। সংসদ পরিচালনায় দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও একই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। সংসদ ভবনের প্রবেশমুখে সকলকেই জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়। এমপিসহ সংশ্লিষ্টদের তাপমাত্রা মাপা হয়।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমের শুরুতেই সকলকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে শুরু হওয়া বাজেট অধিবেশন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এরপর সংসদের অনুমতি নিয়ে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে সংসদ অধিবেশন পরিচালনার জন্য সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার, এ বি তাজুল ইসলাম, মাজহারুল হক প্রধান, ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও বেগম রুমানা আলীকে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নির্বাচিত করেন স্পিকার। প্রথম দিনে অধিবেশনের প্রধান কার্যসূচি ছিল শোক প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনা। চলতি সংসদের সদস্য আবদুল মতিন খসরু ও আসলামুল হকসহ কয়েকজন সাবেক সংসদ সদস্য ও বিশিষ্টজনদের মৃত্যুতে এই শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।

সাবেক সংসদ সদস্য চলচ্চিত্র অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী, মেরাজ উদ্দিন মোল্লা, গাজী ম ম আমজাদ হোসেন মিলন, খোন্দকার আব্দুল মালেক শহীদুলল্লাহ, আবুল হাসেম, মাহবুবুর রহমান, মোহাম্মদ ইউনুস, জিয়াউর রহমান খান, আব্দুল বারী সরদার, দিলদার হোসেন সেলিম, আব্দুর রউফ খান, ফরিদা রহমানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয়।

সংসদে শোক প্রকাশ করা হয় ভাষাসৈনিক আবুল হোসেন, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী, বাংলা একাডেমির সাবেক সভাপতি শামসুজ্জামান খান, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের মা ফৌজিয়া মালেক, শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. সাহিদা আখতার, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি হাসান শাহরিয়ার, রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী মিতা হক, লোকসংগীত শিল্পী ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, অভিনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম মহসীন, পরিবেশ অধিদপ্তরের একেএম রফিক আহাম্মদ, সাবেক প্রধান তথ্য কর্মকর্তা হারুন-উর-রশিদ, অভিনেতা ওয়াসিমের মৃত্যুতে। এ ছাড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশ-বিদেশে যারা মারা গেছেন তাদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয়।
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে নৌ দুর্ঘটনা, ফিলিস্তিনে ইসরাইলি হামলায় নিহত, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ভারত ও বাংলাদেশে হতাহতদের জন্যও শোক প্রকাশ করা হয়।

আলোচনায় অংশ নেন সরকার ও বিরোধীদলীয় সদস্যরা। আলোচনা শেষে সর্বসম্মতিতে শোক প্রস্তাবটি গ্রহণ করা হয়। এরপর প্রয়াতদের স্মরণে নীরবতা পালন ও মোনাজাত করা হয়। এরপর দিনের অন্যান্য কার্যসূচি স্থগিত করে অধিবেশন মুলতবি করা হয়।

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।