মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ১১:১৩ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
সিভিল এভিয়েশনের গ্রেফতারকৃত নিরাপত্তারক্ষী তালেবের জবানবন্দী : ‘আমি সিএসও’র নির্দেশে অফিসে আসি, হাজিরা খাতায় সই করে এদিক-ওদিক ঘুরাফিরা করি, বাবুর ফোন পেয়ে যাত্রীর নিকট যাই, কিন্ত গোয়েন্দারা এর আগেই যাত্রীকে সোনাসহ ধরে ফেলে’

বিশেষ সংবাদদাতা : প্রায় আড়াই কেজি সোনা পাচারের সাথে জড়িত অপরাধে গোয়েন্দাদের হাতে গ্রেফতারকৃত সিভিল এভিয়েশনের নিরাপত্তারক্ষী তালেব গোয়েন্দাদের জিঙ্ঘাসাবাদে সোনা পাচারের কথা স্বীকার করে এক লিখিত জবানবন্দী প্রদান করেছে। এর আগে প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা (সিএসও)সহ কার কার সাথে তার মোবাইলে কথা হয়েছে সেই কললিষ্ট ধরে তদন্ত করলেই থলের বিড়াল বের হয়ে আসবে।
বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সিভিল এভিয়েশনের নিরাপত্তা রক্ষী তালেবসহ প্রায় একডজন সিনরাপত্তারক্ষী সোনা পাচারের সাথে জড়িত রয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থা এদের ব্যাপারে খোজখবর নিচ্ছে। এর মধ্যে নিরাপত্তারক্ষী রেজাউল সোনা পাচার করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে জেলে অন্তরীন রয়েছে। নিরাপত্তারক্ষী তালেব ইতিপূর্বেও সোনা পাচার ঘটনায় গ্রেফতার হয়ে জেল খেটেছে। কিন্ত সিভিল এভিয়েশন প্রশাসন বিভাগ তাকে ফৌজধারি আইন লংঘন করার অপরাধে সাসপেন্ড করেনি। জেল থেকে জামিনে এসে আবার শাহজালাল বিমানবন্দরে বহাল রয়েছে। প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তার সাথে দহরম-মহরম সম্পর্ক রয়েছে বলে সিএএবির সূত্রে জানা গেছে। প্রায় আড়াই কেজি সোনা পাচার ঘটনায় ধরা পড়ার আগে নিরাপত্তারক্ষী তালেব সিএসওর রুম থেকে বের হয়ে সোনা পাচারে নেমে পড়ে। কিন্ত বাধসাধে গোয়েন্দা সংস্থা, তাকে সোনা পাচার ঘটনায় ধরে ফেলে।
সোনা পাচার ঘটনায় ধরা খাওয়ার পর সিভিল এভিয়েশনের নিরাপত্তারক্ষী তালেব গোয়েন্দাদের কাছে লিখিত জবানবন্দী প্রদান করেছে। তার বিরুদ্ভে সিএএবির নিরাপত্তা সেকশনে লুজনোটও করা হয়েছে।
লিখিত জবানবন্দীতে নিরাপত্তারক্ষী তালেব বলেছে, ‘ আমি ঘটনার দিন গত ৩০ জানুয়ারি সিএসও‘র নির্দেশে অফিসে আসি। সিএসও মেডাম আমাকে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত এদিক-ওদিক ঘুরাফিরা করে ৫টা সময় ব্রোর্ডিং ব্রীজে যেতে বলেন। এর আগে বাবুর মোবাইল থেকে আমার মোবাইলে একটি কল আসে। কল পেয়ে আমি ব্রোর্ডিং বীজে যাই। তার আগেই গোয়েন্দারা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যাত্রীকে সোনাসহ ধরে ফেলে এবং যাত্রীর স্বীকারোক্তি মোতাবেক ব্রোর্ডিং ব্রীজ এলাকা থেকে গোয়েন্দারা আমাকে গ্রেফতার করে।
গোয়েন্দাদের কাছে জবানবন্দীতে সিভিল এভিয়েশনের স.নিরাপত্তারক্ষী মো. আবু তালেব বলেছে, ‘ আমি মো. আবু তালেব,স.নি.প্র.। অদ্য ৩০.০১.২০১৮ আমার ডিউটি ছিল সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত। সকাল ১১টার সময় সিএএবির কর্মচারি বাবু আমাকে একটি নকিয়া মোবাইল দেয় যাহার সিম নম্বর-০১৮৫৭৫১৬৮০০ দিয়ে বলে এসভি-৮০৮ ফ্লাইটে একজন যাত্রী আসবে এবং তাকে রিসিভ করার জন্য বলেন। আমি ৭ নং ব্রোর্ডিং ব্রীজের নিকট দাড়িয়ে থাকা অবস্থায় মোবাইল ০১৮৫১৫৩৭৯০৭ হইতে একটি কল আমার মোবাইলে আসে। উক্ত যাত্রীকে রিসিভ করার ক্ষেত্রে আমাকে চিহ্নিত করার জন্য আমার বা হাতে লিখা ‘২১০’ একটি নম্বর দেয়। কিন্ত কাস্টমস ব্যাগেজে উক্ত যাত্রীর থেকে ২১ টি স্বর্নবার যার ওজন ২৪৪০ গ্রাম উদ্ধার করে। একই সাথে উক্ত যাত্রীর সাথে বিমান থেকে নামার পর মোবাইলে আমার সাথে যাত্রীর ফোনালাপের জের ধরে যাত্রীসহ আমাকে শুল্ক গোয়েন্দাদের হেফাজতে রাখেন। আমি স্বেচ্ছায়, স্বঞঘানে এবং অন্যের বিনা প্ররোচনায় স্বহস্তে লিখিত এই বিব্রতি পড়িয়া স্বাক্ষর করিলাম। ওই লিখিত জবানবন্দীতে স.নি প্র, তালেব আরো জানায়, উল্লেখ থাকে যে সিএসও মেডাম আমাকে বলেন যে, তুমি শুধু ডিউটিতে এসে স্বাক্ষর করিবে এবং এদিক ওদিক থাকবে। কিন্ত বিকাল ৫টার আগে কোথাও যাবে না।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।