শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৮:১৯ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
সিভিল এভিয়েশন : প্রধান প্রকৌশলীর পদে যেন না বসতে পারেন- সে জন্যই কি মাদার ডিপার্টমেন্ট থেকে আউট প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান : দায়িত্ব পেলেন ফ্লাইট সেফটি এন্ড রেগুলেশনে!

স্টাফ রিপোর্টার : সিভিল এভিয়েশনে একজন তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (সিভিল ডিভিশন) চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্ব পাবার বিষয়টিকে ওভারলুক করে পিআরএল-এ যাওয়া প্রধান প্রকৌশলীর চাকরি মেয়াদ একবছর পর বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে প্রাপ্য চেয়ারে বসতে পারলেন না তত্বাবধায়ক প্রকৌশীল হাবিবুর রহমান। তাকে ডিভিশন-৩ পিএন্ডডিকিউএস থেকে সরিয়ে একটি প্রকল্পের পিডি করা হয়। পরে তাকে আবার তার মাদার ডিপার্টমেন্ট প্রকৌশল বিভাগ থেকে আউট করে পরিচালক ফ্লাইট সেফটি এন্ড রেগুলেশনের দায়িত্ব দেয়া হয়। ফলে তিনি ভবিষ্যতে প্রধান প্রকৌশলী হবেন- এমন আশা আপাতত ভেস্তে গেছে। তাছাড়া তিনি একবছর পরই পিআরএলএ যাবেন বলে জানা যায়।
এ দিকে পিআরএল-এ যাওয়া প্রধান প্রকৌশলীর চাকরির মেয়াদ ১ বছর বৃদ্ধির পর আবারও ১ বছর বৃদ্ধি করার প্রক্রিয়া চলছে- এমন কানাঘোষ শোনা যাচ্ছে।
তাহলে পরবর্তী প্রধান প্রকৌশলী কে ? বর্তমান পিআরএল-এ যাওয়া প্রধান প্রকৌশলীর যদি চাকরি আরেক বছর নবায়ন না করা হয় তাহলে পরবর্তী প্রধান প্রকৌশলী কে ? এ প্রশ্ন সিএএবিতে ঘুরপাক খাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান প্রকৌশল ডিপার্টমেন্ট থেকে আউট। তার পরের সিরিয়ালে যিনি আছেন সেই ততা¡বধায়ক প্রকৌশীকে বিভাগীয় মামলায় তার পদ কনফার্ম/স্থায়ী করা হয়নি, তাকে চলতি দায়িত্ব দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সিভিল ডিভিশনের আরো ২ প্রকৌশলীকে চলতি দায়িত্ব দিয়ে তত্বাবধায়ক প্রকৗশলীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ ২ জনকে যদি কনফার্ম করা হয় তাহলে মোস্ট সিনিয়র তত্বাবধায়ক প্রকৗশলী তার কাংক্ষিত পদ না পেয়ে ঝুলে থাকবেন। প্রক্রিয়া সে দিকে এগুচ্ছে বলে সূত্রে আভাস দেয়া হয়েছে। জুনিয়রদের ফাইল ওপরের দিকে ধাবিত হচ্ছে। সিনিয়রকে ডিংগিয়ে ২ জুনিয়রের যে কোন একজনকে ততা¡বধায়ক প্রকৌশলী পদে স্থায়ী করে প্রধান প্রকৗশলী করার বিষয়টিকেও উড়িয়ে দেয়া যায় না বলে অনেকে মনে করেন।
আর এ দিকে সিভিল ডিভিশনেই নীচের পর্যায়ে ২ জন মোস্ট সিনিয়রকে ডিংগিয়ে ২ জন জুনিয়রকে সহকারি প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে।
এসডিই চালাচ্ছে নির্বাহির দপ্তর : সিএএবিতে ৬ জন এসডিই ( সাব ডিভিশনাল ইনজিনিয়ার) দিয়ে নির্বাহি প্রকৌশীর দপ্তর চালনো হচ্ছে। ৫ বছর পর এদের পদোন্নতি দিলে সিএএবিতে নির্বাহি প্রকৌশলীর অভাব দেখা দেবে।
৬ মেম্বার অপস, মেম্বার এডমিন ১ : সিএএবিতে ৬ জন মেম্বার অপসকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে মেম্বার এডমিন মাত্র ১জন। ৬ মেম্বার অপসকে এয়ারফোর্স থেকে প্রেষণে আনা হয়েছে। মাথাভারি হচ্ছে প্রশাসন, সরকারকে বছরে কোটি টাকা বেতন দিতে হচ্ছে।
এফসেকের ২০ অফিস : শাহজালাল বিমানবন্দরে এফসেকের প্রায় ২০ টি অফিস করা হয়েছে বলে সিএএবির সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। ২০ জায়গায় বসে এফসেক সদস্যরা অফিস করছেন।
সেই সেলিম এখন ডমেস্টিক ম্যানেজার : শাহজাললে দীর্ঘদিন ডবল দায়িত্ব পালন করা সেই কর্মকর্তা ( এডমিন অফিসার) সেলিমকে ডমেস্টিক ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে সবেধন নীলমনি সেই স্যানিটারি ইন্সপেক্টরকে সিলেট বিমানবন্দরে বদলি করা হয়েছে বলে জানা যায়।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।