শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ১২:১৩ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
২০০৬ বিশ্বকাপে জিদান যার কারণে লাল কার্ড দেখেছিলেন ; সেই রেফারিকে কেউ কাঠগড়ায় দাড় করায়নি

খেলা ডেক্স :বিশ্বকাপের ইতিহাসটা বেশ জমকালো। গল্প বলে শেষ করা কঠিন। কোনো গল্প বীরোচিত, কোনো গল্প অনুপ্রেরণা দেয়, আবার কোনো গল্প বেদনা জাগায়। তবে যে ঘটনা হতবাক করে দিয়েছিল সবাইকে, এমন তালিকা করলে সবার আগে জিনেদিন জিদানের লাল কার্ডের ঘটনাটিই এগিয়ে থাকবে। বিশ্বকাপ ট্রফির পাশ দিয়ে জিদানের আস্তে আস্তে মাঠ ছেড়ে যাওয়ার সে দৃশ্য এখনো দাগা দেয় সবাইকে।
ফুটবলকে সে দৃশ্য উপহার দিয়েছিলেন হোরাসিও এলিজোন্দো। ২০০৬ বিশ্বকাপের ফাইনালে ইতালিয়ান ডিফেন্ডার মার্কো মাতেরাজ্জিকে ঢুস মেরেছিলেন জিদান। ফলে ওই লাল কার্ডের জন্য আর্জেন্টাইন এই রেফারিকে কেউ কাঠগড়ায় দাঁড় করায় না। কিন্তু জিদানের সে ঢুস-কাণ্ড নিজের চোখে দেখেননি এলিজোন্দো। তাহলে কীভাবে এমন মহাতারকাকে লাল কার্ড দেখানোর সাহস খুঁজে পেয়েছিলেন এই রেফারি?
এলিজোন্দো জানাচ্ছেন, এর কৃতিত্ব চতুর্থ রেফারি লুইস মেদিনা কান্তালেহোর। চার দায়িত্বপ্রাপ্তদের মধ্যে শুধু এই স্প্যানিশই নাকি ঘটনাটি সরাসরি দেখেছিলেন। এলিজোন্দোর ভাষায়, ‘আমি দেখলাম মাতেরাজ্জি ৩০–৪০ মিটার দূরে মাটিতে শুয়ে আছে। তাই আমি খেলা থামালাম। আমি নিজেকে জিজ্ঞেস করলাম, “ওহ্‌, কী হতে পারে?”’সহকারীদের জিজ্ঞেস করলাম ঘটনা কী? বিস্ময়কর ব্যাপার, দুজনই জবাব দিল, তারা কিছুই দেখেনি। আমি ভাবতে শুরু করলাম, বিশাল ঝামেলায় পড়তে যাচ্ছি। তখনই যেন আমার দেবদূত হয়ে এল লুইস মেদিনা কান্তালেহো। সেদিনের চতুর্থ রেফারি। সে বলে উঠল, “হোরাসিও মাতেরাজ্জিকে ভয়ংকরভাবে গুঁতা দিয়েছে জিদান। হোটেলে গিয়ে যখন সে ভিডিও দেখবে, তোমার বিশ্বাস হবে না।”’
‘আমি তাই ঘটনাস্থলে গেলাম। আমার কাছে দরকারি সব তথ্যই ছিল এবং আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম জিদানকে মাঠ থেকে বের হয়ে যেতে বলব।’
এলিজোন্দোর সে সিদ্ধান্তের পরও ম্যাচ পেনাল্টি শুট আউটে গিয়েছে এবং সেখানে ইতালির কাছে হেরে গেছে ফ্রান্স। তবে অনেকের ধারণা, জিদান মাঠে থাকলে উল্টোটাই ঘটত। মানুষ এবার ভাবতেই পারে, কান্তালেহো যদি সেদিন অন্যদিকে তাকিয়ে থাকতেন তাহলে তো ফ্রান্স দ্বিতীয় বিশ্বকাপ ২০০৬ সালেই পেয়ে যেতে পারত। তখন যে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি ছিল না!

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।