বিশেষ সংবাদদাতা : সিভিল এভিয়েশনে নিয়োগ কেলেংকারির পর এবার পদোন্নতি কেলেংকারি, কেলেংকারি যেন সিএএবির পিছু ছাড়ছে না। তবে এই পদোন্নতি কেলেংকারির ঘটনাটি শেষ পর্যন্ত উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। কোর্ট অবমানানর জন্য সিএএবি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কোর্ট কন্টটেম্প মামলাও হয়েছে। কিন্ত এসব ‘ডেমকেয়ার’ করছেন সিএএবির প্রশাসনের কি পয়েন্টে বসে থাকা- যাকে দুই দুইবার বদলি করা হয়েছে- সেই সরকারের অতিরিক্ত সচিব, সিএএবির সদস্য ( প্রশাসন) মো. হেমায়েত হোসেন। এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে, সিএএবির ইমেজ নষ্ট হচ্ছে। প্রশ্ন ওঠছে, দুইবার বদলির পর কেন সদস্য (প্রশাসন) সিভিল এভিয়েশন থেকে যাচ্ছেন না, তিনি সিএএবিতে কি মধু পেলেন। কানাঘুষ চলছে এবং সিএএবিতে চাউড় হয়েছে-নিয়োগ বাণিজ্য আর ডিপিসিতে একজন উপসহকারি প্রকৌশলীর পদোন্নতি দিয়েই নাকি তিনি সিএএবি ছাড়বেন। তিনি নাকি বলে বেড়ান ৩০ বছরের চাকরিতে অনেকবার বদলি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ডিপিসি কমিটি সংস্থার জুনিয়র উপসহকারি প্রকৌশলী এনামুল হককে পদোন্নতি দিয়ে সহকারি প্রকৌশলী করা হয়। এতে সংক্ষুব্ব হয়ে মোস্ট সিনিয়র উপসহকারি প্রকৌশলী আবুবকর উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন মামলা ঠুকে দেন। কিন্ত সিএএবির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আদালতে হাজির না হওয়ায় গত ১৮ নভেম্বর কোর্ট অবমাননার জন্য কোর্ট কন্টটেম্প মালা দায়ের করা হয়। এ মামলায় সিএএবির চেয়ারম্যানকে সশরীরে উচ্চ আদালতে ৭দিনের মধ্যে হাজির হওয়ার জন্য আদেশ দেয়া হয়েছে।
এ দিকে এবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে যাচ্ছিলেন ডিপিসি কমিটির সভাপতি। এবার সিনিয়রদের ডিংগিয়ে জুনিয়র উপসহকারি প্রকৌশলী মাহমুদ হোসেন সেলিম ( যিনি গত বার জুনিয়র হয়েও পদোন্নতি পাওয়ার কোর্ট কন্টটেম্প মামলা হয়েছে) সেই এনামুলের বড় ভাই।গত ২৭ নভেম্বরের ডিপিসি মিটিংয়ে ডিপিসি কমিটির ৯ সদ্স্যের মধ্যে ৫ জনই উপস্থিত ছিলেন না। ফলে সিদ্ধানহীনতায় ডিপিসির মিটিং শেষ হয়েছে।
এ দিকে দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তাদের ডিপিসির মাধ্যমে পদোন্নতি ক্ষেত্রে ডিপিসির একজন সদস্য যিনি সংস্থার প্রধান প্রকৌশলী তিনি এক দাপ্তরিক চিঠিতে উল্লেখ করেছেন- যাদের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত চলমান আছে তাদের ডিপিসির মাধ্যমে পদোন্নতি প্রদান করা হবে না দুদকের ক্লিয়ারেন্স ছাড়া।
কিন্ত এ নিয়মের ব্যত্যয় হয়েছে সংস্থার একজন প্রকৌশলী ক্ষেত্রে। ক্রমশ