রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৪:০৪ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
অনুসন্ধান চলাকালেই অবৈধ সম্পদ জব্দ করবে দুদক

একুশে বার্তা রিপোর্ট : অনুসন্ধান চলাকালেই অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ জব্দের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের বিশেষ সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয় বলে সূত্র জানায়।

দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের সভাপতিত্বে নবগঠিত ‘অপরাধলব্ধ সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা ইউনিটের’ কার্যক্রম নিয়ে জরুরি সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা গেছে।

সভায় দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ২০০৪ সাল থেকে আজ পর্যন্ত অবৈধ সম্পদ-সংক্রান্ত চলমান এবং কমিশনের পক্ষে রায় হয়েছে এমন সব মামলায় সম্পৃক্ত সকল প্রকার অবৈধ সম্পদ জব্দ/ক্রোক বা অবরুদ্ধ করে মামলার তালিকা অনুযায়ী রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করে কমিশনে উপস্থাপন করতে হবে।

এসব কার্যক্রমে যারা যুক্ত থাকবেন তাদের ফরোয়ার্ড ডায়েরি অনুসরণ করতে হবে।

এদিকে বিকালে দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, এখন থেকেই দুর্নীতির অনুসন্ধান বা তদন্তকালে অবৈধভাবে অর্জিত সম্পত্তি দুদকের আওতায় নিয়ে আসা হবে। কোনোক্রমেই দুর্নীতিবাজ কিংবা অন্য কাউকে এই সম্পদ ভোগ করতে দেয়া হবে না। দুদকই ওই সম্পত্তির ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করবে।

তিনি আরও বলেন, শুধু তাই নয় ২০০৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দুদকের মামলায় যত সম্পদ ফ্রিজ বা ক্রোক হয়েছে, তাও দুদকের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

এ সময় উপস্থিত অপর মহাপরিচালক (আইন) মঈদুল ইসলাম বলেন, দুদক যখনই চাইবে অনুসন্ধান বা তদন্ত পর্যায়ে সম্পদ জব্দ করতে পারবে।

অন্যদিকে, দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সভায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান বলেছেন, যেসব মামলায় আসামিদের শাস্তির পাশাপাশি আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে অথবা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাও রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করতে হবে। এখন থেকে প্রতিটি অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সম্পদ জব্দ/ক্রোক করতে হবে। অবৈধ সম্পদ ভোগ করার সুযোগ কাউকেই দেয়া হবে না। অবৈধ সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে আনার জন্য দুদক ব্যবস্থা নেবে।

এসব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় যাতে কোনো প্রকার দুর্নীতি, সম্পদের ক্ষতিসাধন কিংবা অব্যস্থাপনার সুযোগ না থাকে এমন একটি নীতিমালা প্রণয়নের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে একটি যৌথসভায় আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে সম্পদ ব্যবস্থাপনা করা যায় কি না-তা পরীক্ষা করারও নির্দেশ দেন তিনি।

সম্প্রতি একটি আলোচিত অবৈধ সম্পদ অর্জনকারী সরকারির কর্মকর্তার (আবজাল হোসেন) প্রসঙ্গ টেনে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, তার জব্দকৃত ব্যাংক হিসাবের বাইরেও ব্যাংক হিসাব থাকতে পারে। তার সব ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইউনিটকে চিঠি দেয়ার নির্দেশনা দেন তিনি।

কমিশন আইনের তফসিলভুক্ত অপরাধ দণ্ডবিধি ১৬৬ ধারা উল্লেখ করে ইকবাল মাহমুদ বলেন, কোনো ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে সরকারি কর্মচারী কর্তৃক আইন অমান্য করা দণ্ডনীয় অপরাধ। যা কমিশনের তফসিলভুক্ত অপরাধও। তাই আইন অমান্য করে জনগণের কোনো ক্ষতিসাধন কিংবা ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করা হলে তার বিরুদ্ধে আরও কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ সময় কমিশনের অপরাধলব্ধ সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা ইউনিটের পরিচালক, গোয়েন্দা ইউনিটের পরিচালক, আইন অনুবিভাগর পরিচালক ও বিশেষ তদন্ত অনুবিভাগের পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।