রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০২:৫৬ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
সিভিল এভিয়েশন ; ডিপিসি হয়নি : এক বছরের বেশি সময় ডবল দায়িত্ব : ভুয়া নিয়োগের অভিযোগ : প্রধান প্রকৌশলীর পছন্দের লোক বলে কথা!

বিশেষ সংবাদদাতা : সিভিল এভিয়েশনে অনিয়মই যেখানে নিয়ম। এখানে কাউকে দায়িত ডবল দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে আবার কাউকে কম দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে , কাউকে দায়িত্ব ভাতাও দেয়া হচ্ছে, চোরকে লঘু শাস্তি দেয়া হচ্ছে, আবার কাউকে গ্রেড পডরিবর্তন করে চকিদার থেকে পিএ পদে বসিয়ে দেয়া হয়েছে। আবার একজন মেট্রিক পাসকে এডি করা হয়েছে। একজন মহিলা কর্মচারিকে কাওলার কোয়ার্টারে ডরমেটরি-১ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আবার সিনিয়রকে ডিংগিয়ে জুনিয়রকে পদোন্নতি দেয়ায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কোর্ট কনটেম্প মামলাও হয়েছে। এমনি একাধিক উদাহরণের মধ্যে ইএম-২ ডিভিশনের একজন নির্বাহী প্রকৌশলীর নাম সিএএবিতে সবার মুখে মুখে।
ওই প্রকৌশলীর নাম শাহরিয়ার মোর্শেদ সিদ্দিকী । বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বিমান প্রতিমন্ত্রীর সুপারিশে তার চাকরি হয়। তার নিয়োগ ভুয়া নিয়েও কথা ওঠে। দুদকের সহকারি পরিচালক মাহবুবুর রহমান এ নিয়ে তদন্ত করেন। সাবেক উপপরিচালক ক্যাপ্টেন অব. ইকরামুল্লাহ দপ্তরে এসে তিনি তদন্ত করেন। পরে এক সময় তা তদন্তে ধামাচাপা পড়ে যায় বলে শোনা যায়।
বর্তমানে ওই প্রকৌশলীকে প্রায় ১ বছর যাবত ডবল দায়িত্ব দিয়ে রাখা হয়েছে। ইএম-২-এর পাশাপাশি সদর দপ্তরে কিউএসের দায়িত্বও দেয়া হয়েছে। কিন্ত তার সম পর্যায়ের প্রকৌশলীদের কম গুরুত্বহীন পদে বছরের পর বছর দায়িত্ব দিয়ে রাখা হয়েছে। প্রধান প্রকৌশলীর সাথে সম্পর্কের কারণেই তাকে ডবল দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে অন্য প্রকৌশলীরা বলাবলি করছেন।
গত দুই বছরে প্রকৌশলী শাহরিয়ার মোর্শেদের ডিপিসিও হয়নি। ফলে চলতি দায়িত্ব দিয়েই তাকে বছরের পর বছর ডবল দায়িত্ব দিয়ে রাখা হয়েছে। নির্বাহী প্রকৌশলী পদে তাকে পদোন্নতি দেয়া হয়নি।
৬ প্রকৌশলীর সিনিয়রটি বহাল : সংস্থাপন সচিবের আদেশ লংঘন করে ভুতাপেক্ষ তারিখ হতে সিনিয়রটি দেয়া ৬ প্রকৌশলীর সিনিয়রটি এখনও বহাল। এ ব্যাপারে সিএএবির প্রশাসন ‘কম্ভুকর্ন’। এ ৬ প্রকৌশলী সবাই ইএম বিভাগে কর্মরত। এরা হলেন : প্রকৌশলী জাকারিয়া হোসেন, শুভাশিষ বড়–য়া, শফিকুল আলম, আয়েশা হক, আছালত হোসেন খান। এ ব্যাপাওে সিএএবি চেয়ারম্যান বরাবর একাধিক অভিযোগ আমলে নেয়া হয়নি। ফলে একজন অভিযোগকারি ক্ষোভে চাকরি ছেড়ে গেছেন। ফুসে ওঠছেন সরসরি রাজস্ব খাতের প্রকৌশলীরা।
কামরুল- হাসান বহাল : ইএম-১ বিভাগের কর্মচারি কামরুল ও হাসান শাহজালাল বিমানবন্দরে প্রায় ৫ বছর ধরে কর্মরত থাকার ফলে বিভিন্ন অনৈতিক কাজে জড়িত হয়ে পড়লেও এদেরকে শাহজালাল থেকে বদলি করা হচ্ছে না। শাহজালালে দীর্ঘদিন কর্মরত থাকার কারণে তারা পাচার বাণিজ্যের সাথে জড়িয়ে বহু বিত্ত-বৈভবের মালিক। কামরুলের রাজধানীর আশকোনা এলাকায় বহুতল বাড়ি রয়েছে। বলে বেড়ােচ্ছে বাড়িটি আমার ভাইয়েরা করেছে।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।