রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫:০০ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
শাহজালালে ইএম -১ বিভাগের কর্মচারি কামরুল-হাসানের পাচার বাণিজ্য : গোয়েন্দা নজরদারি

বিশেষ সংবাদদাতা : হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে এক যুগের বেশি সময় ধরে কর্মরত ইএম-১ বিভাগের কর্মচারি কামরুল এবং হাসান মানব পাচার ,মুদ্রা, স্বর্ন পাচার বানিজ্যের সাথে জড়িত বলে গোয়েন্দা সংসস্থা জানতে পেরেছে। তাদের ব্যাপারে গোয়েন্দা নজরদারি করা হচ্ছে। বিমানবন্দরে ডিউটি আওয়ার ছাড়াও প্রটোকলের নামে বিমানবন্দরে ঘুর ঘুর করে থাকেন এবং বিভিন্ন পাচার বাণিজ্যের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েন। তাদের মাদার ডিপার্টমেন্ট ইএম বিভাগ নীরব।ইএম-১-এর সংশ্লিষ্ট সহকারি প্রকৌশলী এবং উপসহকারি প্রকৌশলীর সাথে তাল মিলিয়ে চলেন। এর আগে এদেরকে শেল্টার দিতেন সহকারি প্রকৌশলী এনামুল কবীর। তাকে ইএম বিভাগের ম্যানেজার বিল্ডিংয়ে কিউএস শাখায় বদলি করায় এদেরেকে এখন শেল্টার দেন সহকারি প্রকৌশলী শফিকুল আলম।
খোজখবর নিয়ে জানা গেছে, ইএম-১ বিভাগের দুই কর্মচারি কামরুল এবং হাসান প্রায় একযুগের বেশি সময় শাহজালালে কর্মরত ।আর এ সুবাধে পাচাকারিদের সাথে তাদের দহরম-মহরম সম্পর্ক। ফলে দুহাতে কামিয়ে নিচ্ছেন দুপাইস। রাজধানীর আশকোনায় কামরুলের ৬ তলা বাড়ি রয়েছে- যা তদন্ত করলেই বের হয়ে আসবে। শাহজালালে টাকা কামাই করে ভাই-বোনদের মানূষ করেছেন। বোন বিদেশ থাকে, বলে বেড়ান, ভাই-বোনদের টাকায় বাড়ি বানিয়েছি। আসলে এটা তার সাইনবোর্ড বলে এলাকাবাসি জানান। এয়ারপোর্টে দেখলে অনেকে তাকে প্রথমে নীরিহ মনে করে থাকেন। পরে যখন তার আসল রুপ জানতে পারেন তখন তাকে আর নীরিহ বলে ভাবেন না। ব্রোর্ডিং ব্রীজ এবং কনভেয়ার বেল্ট এলাকায় ডিউটি করার সুবাধে যাত্রী ল্যাগেজ থেকে পণ্য চুরিসহ পাচার বাণিজ্যের সাথে সম্পৃক্ততা বেড়ে গেছে। তার সহযোগি হাসান। তারও রাজধানীতে একাধিক বাড়ি-প্লট রয়েছে বলে আশকোনা-কাওলার এলাকার লোকজন জানান। তাছাড়া চট্রগ্রাম শহরে বাড়ি রয়েছে বলেও শোনা যায়। স্বর্নসহ তাদের এক সহকর্মী গ্রেফতার হয়ে জেল খেটেছেন। কিন্ত কামরুল এবং হাসানের টিকিটিও কেউ স্পর্শ করতে পারেনি।
তাদের ব্যাাপারে ততা¡বধায়ক ও নির্বাহী প্রকৌশলী নীরব। বদলির তালিকায় এই দুজনের নাম আসে না।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।