রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১২:২৮ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
শাহজালালে একযুগ ধরে সেনেটারি ইন্সপেক্টরের পদ শূন্য : সেনিটেশন কাজে ব্যাঘাত, পানির জন্য হাহাকার : সেনেটারি ইন্সপেক্টর প্রভাব খাটিয়ে রয়েছে সদর দপ্তরে!

বিশেষ সংবাদদাতা : হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে একযুগেরও বেশি সময় ধরে সেনেটারি ইন্সপেক্টরের পদ শূন্য। ২০১৬ সালে অস্থায়ী কর্মচারিদের চাকরি স্থায়ীকরণের সময় সেনেটারি ইন্সপেক্টরের একটি পদ সৃষ্টি করে ওই পদে একজনকে পোস্টিং দেয়া হলেও তা গত আড়াই বছরেও পূরণ করা হয়নি। এ পদে চাকরি স্থায়ীকরণকৃত নূরনবী ভুইয়া টিপু রহস্যজনক কারণে পদ না থাকলেও তার সাবেক পদ নিরাপত্তা সুপার পদে দিব্যি সদর দপ্তরের গেটে চাকরি করছেন। প্রশাসন তাকে আগলে রাখছে, শাহজালাল বিমানবন্দরে তার স্ব পদে ফেরত পাঠাচ্ছে না। এ পদধারি টিপু প্রশাসনকে ‘থোরাইকেয়ার’ করছেন , প্রভাব খাটাচ্ছেন।।
খোজখবর নিয়ে জানা যায়, সদর দপ্তরে নিরাপত্তা সুপার পদ নেই। তবুও এই পদে নিরাপত্তা সুপার হিসেবে প্রায় আড়াই বছর ধরে পড়ে রয়েছেন নূরনবী ভুইয়া টিপু, তিনি শাহজালালে যেতে যাচ্ছেন না, কর্তৃপক্ষও তাকে শাহজালালে তার পদে ফেরত পাঠাচ্ছেন না।। অথচ নিরাপত্তা বিভাগ থেকে অন্য বিভাগে চাকরি স্থায়ীকরনের পর অন্যরা তাদের স্ব স্ব পদে পোস্টিং হয়ে চলে গেছে, ব্যতিক্রম শুধু সেনেটারি ইন্সপেক্টর নূরনবী টিপু। টিপু জোর করে , প্রভাব খাটিয়ে সদর দপ্তর ছেড়ে যেতে যাচ্ছে না। প্রশাসনের এডি-২ এবং ডিডি প্রশাসনও তাকে আগলে রেখেছেন , সেনেটারি ইন্সপেক্টরকে শাহজালালে তার স্বপদে ফেরত পাঠাচ্ছেন না। এডি/ডিডিকে ম্যানেজ করে সেনেটারি ইন্সপেক্টর পদধারি হয়ে নূরনবী টিপু নিরাপত্তা সুপার পদে সদর দপ্তরের গেটে একটি রুমে বসে আড্ডা দিয়ে অলস সময় কাটাচ্ছেন আর মাঝেমধ্যে স্যারদের রুমে গিয়ে গদ গদ করছেন।
দেশের প্রবেশদ্বার শাহজালাল বিমানবন্দরের মতো কি পয়েন্টে একযুগেরও বেশি সময় ধরে সেনেটারি ইন্সপেক্টর পদে জনবল নেই, ২০১৬ সালে পদ সৃষ্টি করা হলেও সে পদে জনবল পাঠানো হচ্ছে না। একজন ফায়ার অপারেটরকে দিয়ে সেনেটারি ইন্সপেক্টর পদে প্রক্সি দেয়া হচ্ছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে সেনেটেশনজনিত কাজ। বাথরুম অপরিস্কার-অপরিচ্ছন্ন থাকছে, হজ যাত্রীসহ যাত্রীসেবা ব্যাহত হচ্ছে।
গত ৫ জুলাই শাহজালালে পানির সমস্যা সৃষ্টি হয় , ৪/৫ ঘন্টা ১১ নং ব্রোর্ডিং ব্রীজ সংলগ্ন বাথরমে পানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় হজ যাত্রীদের অবর্ণনীয় কষ্টের সন্মুখিন হতে হয়। এ নিয়ে বিমান মন্ত্রণালয় সিএএবির চেয়ারম্যানকে তলবি চিঠি জারি করে।
সেটোরি ইন্সপেক্টরকে সদর দপ্তরে ধরে রাখা, শাহজালালে না পাঠানোর ব্যাপারে ডিডি প্রশাসন বলেন, সদর দপ্তরের নিরাপত্তা বিঘœ করে একজন নিরাপত্তা সুপারকে কিভাবে শাহজালালে পাঠাবো, তাছাড়া নিরাপত্তা বিভাগ থেকে তার ব্যাপারে অনাপত্তি চিঠি দেয়া হয়নি।নিরাপত্তা বিভাগের আপত্তিতেই তাকে সদর দপ্তরে ধরে রাখা হয়েছে।
ডিডি প্রশাসনের ফাইল থেকে গোয়েন্দা রিপোর্ট গায়েব : ডিডি প্রশাসন যখন এডি প্রশাসন-২ পদে কর্মরত তখন তার বিরুদ্ধে গোয়েন্দা রিপোর্ট হয়। বর্তমানে তিনি ডিডি প্রশাসন পদে কর্মরত। তার ফাইল থেকে ওই গোয়েন্দা রিপোর্ট গায়েব হয়ে গেছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত রিপোর্ট আসছে।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।