রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০১:২৩ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
সিভিল এভিয়েশন : আত্মসাত অসদাচরণের অভিযোগে বিভাগীয় মামলা হয়নি প্রকৌশলী শাহরিয়ার মোর্শেদের বিরুদ্ধে : ভেস্তে গেছে সিএএবি চেয়ারম্যানের আদেশ!

বিশেষ সংবাদদাতা : বিভাগীয় মামলা করে  বরখাস্ত  করা হয়নি ইএম-২-এর চলতি দায়িত্বের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরিয়ার মোর্শেদ সিদ্দিকী। সিএএবির চেয়ারম্যানের আদেশ ভেস্তে গেছে। কারণ সিভিল এভিয়েশনে অনিয়মই যেখানে নিয়ম। এখানে চুরি করলে শাস্তি হয় তিরস্কার , দুদক তলব করলেও দুটি ঘটনা ছাড়া মামলা হয়নি। প্রশাসন থেকে ফাইল গায়েব হয়ে যায়। ইএমের ৬ প্রকৌশলীকে জনপ্রশাসন সচিবের আদেশকে থোরাইকেয়ার করে ‘ভুতাপেক্ষ’ তারিখ থেকে সিনিয়রটি দেয়া হয়, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কোর্ট কনটেম্ট মামলা হলেও জুনিয়র প্রকৌশলী এনামুল কবীরকে সিনিয়রটি দেয়া হয়- এমনি সংখ্য ঘটনার মধ্যে ইএম বিভাগের চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত কিন্ত ডবল দায়িত্ব দিয়ে রাখা – সেই নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরিয়ার মোর্শেদ সিদ্দিকীর ব্যাপারে সিএএবির প্রশাসন নীরব। পাচবার তদন্ত করলেও দুদক তার ব্যাপারে নিশ্চুপ। প্রধান প্রকৌশলীর ‘খয়েরখা’ বলে তার বিরুদ্ধে সব প্রশাসনিক ব্যবস্থা বার বার ভেস্তে যাচ্ছে।
এবার তার বিরুদ্ধে  বিভাগীয় মামলা  করার জন্য  সিএএবির সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন আদেশ দিলেও তা ভেস্তে গেছে, এখনও তা কার্যকর হয়নি। গত ২৬ জুলাই একুশে বার্তার অনলাইন সংস্করণে বিস্তারিত আসছে ঘোষণা দিয়ে ‘সিভিল এভিয়েশন : চাকরি থেকে বরখাস্তের বদলে এখনও বহাল ! ডবল দায়িত্ব’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পরও সিএএবির প্রশাসন নীরব। এখনও প্রকৌশলী শাহরিয়ার মোর্শেদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়নি। হাকিম নড়ে তো হুকুম নড়ে না। কিন্ত সিএএবিতে এর উল্টো ঘটনা ঘটছে। হাকিম আদেশ দিয়ে চলে গেছেন , এর পর আরো দুজন হাকিম চলে গেলেন কিন্ত হুকুম তামিল হলো না।
সুত্রে জানা গেছে, বিএনপি সরকারের আমলে সাবেক প্রতিমন্ত্রীর আর্শিবাদে চাকরি পাওয়া প্রকৌশলী শাহরিয়ার মোর্শেদ সিদ্দিকীকে প্রায় এক বছর ধরে চলতি দায়িত্ব দিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী ইএম-২ বিভাগে ন্যস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি সদর দপ্তরের কিউএসের দায়িত্বও দেয়া হয়েছে। কিন্ত তার চাকরিতে ডিপিসি হয়নি। ডিপিসি ছাড়া একজন প্রকৌশলীকে কিভাবে এক বছরের অধিক সময় ডবল দায়িত্ব দিয়ে রাখা হয়েছে- তা রহস্যজনক। অথচ সিএএবির প্রশাসন এ ব্যাপারে নীরব।
সূত্র জানায়, প্রধান প্রকৌশলীর ‘খয়েরখা’ হওয়ায় তাকে বদলির সুপারিশ করা হয় না।
এ দিকে প্রকৌশরী শাহরিয়ার মোর্শেদ সিদ্দিকী ডবল দায়িত্ব দিয়ে রাখায় তার কাজের দায়িত্ব পালনে অবহেলার নজির ফুটে ওঠেছে। ফলে শাহজালাল বিমানবন্দরে পানি-বিদ্যুতের হাহাকার চলছে। ৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ- পানি না থাকলেও যৌথভাবে সমাধান হওয়ায় কর্তৃৃপক্ষ ‘থ্যাংকিং’ দিলেও এক্ষেত্রে শাহরিয়ার মোর্শেদের কৃতিত্বের ছিটেফোটাও নেই। তার দায়িত্বে অবহেলার জন্য শাহজালালে বার বার বিদ্যুৎ- পানির হাহাকার চলছে, আগুন লাগছে।
কিন্ত তার চেয়েও অধিকতর যোগ্য, অভিঙ্ঘ, বুয়েটের প্রকৌশলী থাকলেও তাদেরকে কম গুরুত্বপুর্ন জায়গায় দায়িত্ব দিয়ে রাখা হয়েছে বছরের পর বছর।
প্রকৌশলী শাহরিয়ার মোর্শেদ সিদ্দিকী ঠিকাদারি কাজের ইস্টিমেট থেকে শুরু করে ফাইনাল বিল, টেন্ডারে ‘সিমিলিয়ার’ শব্দ জুড়ে দেয়া ,‘ওয়ানম্যান ওয়ান টেন্ডার’ নিয়ন্ত্রণ করা-সবই তিনি করেন বলে ঠিকাদাররা অভিযোগ করেন- যা তদন্ত করলেই বের হয়ে আসবে।দুদক তার সম্পর্কে ৫ বার তদন্ত করলেও আমলে নেয়নি।
প্রকৌশলী শাহরিয়ার মোর্শেদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ইএম-২-এর গোডাউন থেকে পণ্য এধার-ওধার করার অভিযোগে গঠিত তদন্ত কমিটি তার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ কর্।ে সিএএবির তৎকালিন চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করে চাকরি থেকে বরখাস্তের আদেশ দেন।কিন্ত পরবর্তীতে তা তদবিরের জোরে ধামাচাপা পড়ে যায়।
এ ব্যাপারে প্রকৌশলী শাহরিয়ার মোর্শেদ সিদ্দিকী জানান, আমার সম্পর্কে দুদক ৫ বার তদন্ত করেও কোন দুর্নীতি পায়নি। আমার নিয়োগ ভুয়া তদন্ত করেও দুদক সঠিক তথ্য পায়নি। ঠিকাদারি কাজে আমি আমার কোন আত্মীয়কে প্রশ্রয় দেই না।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।