রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
রাফি হত্যা মামলা : ওসি মোয়াজ্জেমের ৮ বছরের জেল

ডেক্স রিপোর্ট : মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির জবানবন্দির ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়ানোর অভিযোগে ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম  হোসেনের ৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

২৮ নভেম্বর  দুপুরে বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেন আসামীর উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে সকাল পৌনে ১০টার দিকে ওসি মোয়াজ্জেমকে কেরানীগঞ্জ কারাগার  থেকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায় নিয়ে আসা হয়। পরে দুপুর ২ টা ১৭ মিনিটে আসামীর ডকে ওঠানো হয় তাকে।

গত ২০ নভেম্বর বিকালে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত।

গত ১২ নভেম্বর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রীমা সুলতানার সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে এই মামলার ১২ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। এরপর গত ১৪ই নভেম্বর ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পান ওসি মোয়াজ্জেম। ওই সময় তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।

চলতি বছরের গত ১৫ এপ্রিল মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

এই আবেদন গ্রহণ করে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন।

সোনাগাজীর ইসলামিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ দিতে থানায় গিয়েছিলেন নুসরাত। সে সময় ওসি মোয়াজ্জেম তার অভিযোগ গ্রহণ না করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। ওই জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিও ধারণ করে অনলাইনে ছড়িয়েও দেন ওসি  মোয়াজ্জেম।

উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ নুসরাত জাহান রাফিকে নিজরুমে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগে সোনাগাজী ইসলামিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাকে আটক করে পুলিশ। কারাগারে থেকেই নুসরাতের পরিবারকে মামলা তুলে নিতে চাপ দিতে থাকেন সিরাজ। তবে মামলা তুলে না নিলে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন অধ্যক্ষের সহযোগীরা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১০ই এপ্রিল রাতে নুসরাতের মৃত্যু হয়। নুসরাত হত্যা মামলায় গত ২৪ অক্টোবর ১৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশীদ।

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।