বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
এবার সচিবকে ‘ঘুষ সাধলেন চায়না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান : পরে মন্ত্রীর নির্দেশে চায়না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কালো তালিকাভুক্ত

একুশে বার্তা প্রতিবেদন :  এবার প্রশাসনের একদম উচ্চ পর্যায়ে অর্থাৎ সচিবকে ঘুষ সাধলেন এক চায়না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। অবশ্য ঘুষ সাধার অপরাধে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

জানা গেছে,  সড়ক পরিবহন ও সেতু বিভাগের সচিবকে ঘুষের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের নির্দেশে ওই প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। চায়নার ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আর বাংলাদেশে ঠিকাদারি কাজ করতে পারবে না। ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার ঢাকা সফররত বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট এনেট ডিক্সনের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে  অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, কোম্পানিটি যোগাযোগ সচিবকে ৫০ লাখ  টাকা ঘুষ দিতে চেয়েছিল। সুনির্দিষ্ট কোনো কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য নয়, ওই সচিবকে খুশি রাখার চেষ্টা করা হয়েছিল। সম্ভবত কাজে চুরি করবে – এ জন্য। কিন্তু সচিব তাদের অবৈধ অফার গ্রহণ করেননি। বরং তিনি সময়মত সরকারকে ঘটনাটি জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি একটি ভাল দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন।

প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে। ওইসব প্রকল্পের কী হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, কেবলতো ব্ল্যাক লিস্টেড। এখন সরকার সিদ্ধান্ত নেবে, ওইসব প্রকল্প কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। তবে চলমান প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রতিষ্ঠানটির জন্য কঠিন হতে পারে- এমন ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, সাধারন নিয়ম হলো – কালো তালিকাভুক্ত মানে ‘কালো তালিকাভুক্তই’।

বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ফোরামের (বিডিএফ) আসন্ন বৈঠক উপলক্ষে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেন প্রকল্পে ‘কিছু সমস্যা’ হওয়ার কথা বলেছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, চীন অর্থায়ন করবে না। তাই এই প্রকল্প এখন আমরা নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করব। চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব এ কোম্পানিটি নির্মাণ শিল্পে বিশ্বের শীর্ষ কোম্পানিগুলোর একটি। এটি বিশ্বের ৭০টির বেশি দেশে কাজ করছে। সার্ভিস লেনসহ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত করতে দুই বছর আগে কোম্পানিটির সঙ্গে চুক্তি হয় বাংলাদেশ সরকারের।

এদিকে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যানেট ডিক্সন সাংবাদিকদের বলেন, বৈদেশিক ঋণ সহায়তা ব্যবহারের সক্ষমতা ও দক্ষতা বেড়েছে। এজন্য বিশ্বব্যাংকও বাংলাদেশে সহায়তা বাড়িয়েছে। তিন বছরে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশে সাড়ে চার বিলিয়ন বিনিয়োগ করছে। এছাড়া অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যুতেও আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

‘আপত্তি সত্ত্বেও পাশ হবে ব্যাংক কোম্পানি আইনের সংশোধনী’: ব্যাংক কোম্পানির আইন সংশোধনের ক্ষেত্রে কারো কারো আপত্তি থাকলেও সংসদে পাশ হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, আপত্তি থাকলে থাকুক। আজকের (মঙ্গলবার) অধিবেশনেই এ বিলটি নিশ্চয়ই পাশ হবে।

ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে একসঙ্গে একই পরিবারের চার সদস্য থাকা এবং পরিচালক পদে টানা ৯ বছর থাকার সুযোগ রেখে বহুল আলোচিত ব্যাংক কোম্পানি আইনের সংশোধনীর পাশ করতে যাচ্ছে সরকার। গত সেপ্টেম্বরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিলটি উত্থাপন করেন। তবে গত বছরের ৮ মে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সংশোধিত আইনের খসড়া অনুমোদনের পর থেকে ব্যাংক খাত সংশ্লিষ্টরা সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে আসছেন। নতুন এই সিদ্ধান্তে বেসরকারি ব্যাংকে ‘পরিবারতন্ত্র’ কায়েমের সুযোগ তৈরি হবে বলেও কেউ কেউ মনে করছেন।িএবার

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।